April 2017

আনন্দনগর সংবাদ

২৪ ঘণ্টা অখণ্ড কীর্তন

গত ২রা ও ৩রা ফেব্রুয়ারী আনন্দনগরের বকুলবিতান আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গণে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম্ মহামন্ত্রের অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এদিন কীর্ত্তনান্তে শ্রী গদাধর গড়াঞঁ-এর নাতনী ও বিমল গড়াঞঁ-এর কন্যার নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানও আনন্দমার্গীয় সমাজশাস্ত্রানুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ অনুময়া আচার্যা৷ শিশুর নাম রাখা হয় জয়তী৷ এরপর আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের সাধনামার্গ ও কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷

নীলকণ্ঠ দিবস উৎযাপন

সন্দেশখালিতে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ২রা এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি আনন্দমার্গ  স্কুলে আনন্দমার্গের এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷ে অখণ্ড কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর সেমিনার শুরু হয়৷ উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন ব্লক থেকে ৭৫ জন আনন্দমার্গী এই সেমিনারে যোগ দেন৷ সেমিনারে এই জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন৷ এরপর ডাঃ নির্মল পাল পরবর্তী পর্যায়ের সেমিনার -গুলির স্থান ও তারিখ ঘোষণা করেন৷ পরে আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধুত গুরুতত্ত্ব ও ভক্তি মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন৷ এরপর ভুক্তি কমিটির মিটিংয়ে এই মাষ্টার ইয়ূনিটটির উন্নয়ন সম্পর্কে আলোচনা হয় ৷

বনগাঁয় মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ৩রা মার্চ বনগাঁ পাইপ রোডের মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল৷ স্থানীয় বৈজয়ন্তী মাঠে অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন শ্রী নীলকমল বিশ্বাস ৷ এছাড়া আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রম থেকে আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ স্মৃতিসুধা আচার্যা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করেন৷ স্কুলের শিশুদের অভিভাবক-অভিভাবিকা ছাড়াও স্থানীয় পাঁচ শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে কচিকাঁচাদের বাংলা ছড়া, কবিতা, ইংরাজী রাইমস্, সংস্কৃত শ্লোক, প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য দর্শকদের মোহিত করে দেয়৷ অন

যক্ষ্মা রোগ (টি.বি.)

প্রভাত রঞ্জন সরকার

লক্ষণ ঃ সকালে সন্ধ্যায় গলা ঘর ঘড় করা, স্বরভঙ্গ, শুকনো কাশি অথবা শ্লেষ্মায় লাল রক্তের ছিট থাকা বা রক্ত বমন হওয়া, সন্ধ্যার দিক থেকে ঘুসঘুসে জ্বর হওয়া, বুকে পিঠে বেদনা, দুর্বলতা বোধ ও নৈশ ঘর্ম, বিশেষ করে মাথা ঘেমে যাওয়া–এইগুলি যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ৷ 

প্রসঙ্গ মেদিনীপুর

মেদিনীপুরের যেটা কথ্য বাংলা সেটা কিন্তু  বাংলা ভাষার বেশ একটা পুরোনো রূপ৷ বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনেও মেদিনীপুরের স্থান খুবই উচ্চ৷ শত লাঞ্ছনার ভেতর দিয়ে দিন কাটালেও মেদিনীপুরের মানুষের প্রাণের স্পন্দন কখনও থেমে যায়নি৷ প্রাক্–পাঠান যুগে তো বটেই, পাঠান যুগে ও মোগল যুগেও এমন কি ইংরেজ আমলের গোড়ার দিকেও সেখানে দেখেছি চুয়াড়–বিদ্রোহ–স্বাধীনতার প্রচণ্ড আন্দোলন, তারপর ’৪২ সালের প্রাণ–কাঁপানো নাড়া–দেওয়া আন্দোলন৷

নববর্ষের অঙ্গীকার

দেখতে দেখতে একটা গোটা বছর আমরা কাটিয়ে ফেললাম৷ বিদায় নিচ্ছে ১৪২৩৷ অন্যদিকে নোতুনের গান গেয়ে এসে গেছে ১৪২৪৷ আপামর বাঙ্গালীর কাছে ১লা বৈশাখ দিনটি একটি বিশেষ মাত্রা নিয়ে আসে৷ যদিও পরিতাপের বিষয় যে ইংরেজী নববর্ষকে নিয়ে বিশ্ববাসীর যে উন্মাদনা দেখা যায় তাঁর বিন্দুমাত্র বাংলা নববর্ষের কপালে জোটে না৷ জুটবেই বা কেন এ যে নেহাৎ ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পান না’র মত দশা৷ আমরা বাঙালীরা যতটা ধুমধামে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপন করি বাংলা নববর্ষের বেলায় ততটা অবহেলা করি৷ বাঙালী আত্মবিস্মৃত জাতি হিসেবে নিজেকে দেখতে ও দেখাতে খুশি হয়৷ কিছুদিন হল আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারীর স্মরণে নানা উৎসব অনুষ্ঠান করলাম৷ ‘বাংলা আমার প্রাণের ভাষা’ বল

আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখের উত্তর বিহার সফর

আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুক রঞ্জন সরকার গত ১লা এপ্রিল থেকে পাঁচদিন উত্তর বিহার সফর করেন ও এই এলাকার আনন্দমার্গের বিভিন্ন আশ্রম ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন৷ তিনি সর্বত্র আনন্দমার্গী ও ভক্ত সমাবেশে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহান আদর্শকে সবার সামনে তুলে ধরে বলেনঃ সকল মানুষের ধর্ম এক, প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ আনে না৷ ইষ্টের প্রতি, আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা রেখে মানুষের চলা উচিত৷ সনিষ্ঠ সাধনা ও সেবাই মানুষের ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত জীবনে শান্তি আনতে পারে৷ 

বাঙলার সাল গণনা ঃ ১লা বৈশাখ

সুকুমার সরকার

১লা বৈশাখটাকে হয়তো বা চিনি! তারপর সারা বছর বাংলা মাসের কবে কোন তারিখ বোধ করি বলতে পারব না৷ না, এতে আমার কোন দীনতা নেই! কিংবা আমার দোষও নয়! আসলে ব্যবহারিক জীবনে বাঙলা সাল তারিখের ব্যবহার বর্তমানে নেই বললেই চলে৷ কেবল বাড়ীতে মেয়েরা ব্রত-আচার, পুজো-পাঠ করে তিথি বার দেখে৷ বাঙলায় বড় বড় যে পূজা-উৎসব পালিত হয়, তা সব করে থাকেন পুরোহিতরা পাঁজি পুঁথি দেখে৷ আমরা শুধু কপালে তর্জনী ঠেকিয়ে প্রণাম করি৷ আর একটি দিন শুধু মনে রাখি তা হ’ল ১লা বৈশাখ৷

শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন

শাস্ত্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী মানুষের উন্নতির জন্যে তিনটি তত্ত্ব আবশ্যক৷ তিনটি তত্ত্ব কী?–না, শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন৷ প্রথমে দেখা যাক্শাস্ত্র বলতে কী বোঝায়