October 2020

একমাত্র সমবায়ই সমাধান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

 সংসদে বাস্তবিক পক্ষে অগণতান্ত্রিকভাবে পাশ হওয়া কৃষি-বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ সই করার পর এগুলি আইনে পরিণত হল৷ এই আইন যে কর্ষকদের স্বার্থসিদ্ধি করবে না, বরং পুঁজিপতি হাঙ্গরদের মুখে  তাদের ঠেলে দেওয়া হ’ল তা এর আগের দিন সম্পাদকীয়তে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছি৷ মোদিজী যুক্তি দেখাচ্ছেন, চাষীরা গ্রামের মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা শোষিত হচ্ছিল, এখন তারা এই শোষণ থেকে মুক্তির রাস্তা পেল৷ আশ্চর্যের ব্যাপার, যে চাষীরা গ্রামীণ ছোট-খাটো মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে তাদের উৎপন্ন ফসলের দরকষাকষিতে পেরে উঠছিলেন না, তারা তাহলে  বড়ো বড়ো কর্র্পেরেট পুঁজিপতি হাঙ্গরদের সঙ্গে পেরে উঠবে কী করে?

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

বাঙালীর সবচেয়ে বড়ো উৎসব শারদোৎসবের আর একমাস বাকি নেই৷ প্রকৃতি তার নিয়মানুযায়ী সেজে উঠেছে৷ চতুর্দিকে কাশফুলের সমারোহ দেখতে পাচ্ছি৷ শিউলি, শালুক, পদ্ম ও ফুটছে৷ কিন্তু বাঙালীর মন ভারাক্রান্ত৷ উৎসবের  আনন্দে মেতে ওঠার মত পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি৷ করোনাসুর যেভাবে থাবা বসিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার সাথে এই বাংলাতেও তাতে বাঙালীর মন ভালো থাকার কথাও নয়৷ কবে আবার সবাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়  ফিরে আসতে পারবে সেই চিন্তায় ছোট থেকে  বড়ো সকলেই উদ্গ্রীব হয়ে রয়েছে৷ অথচ বাঙালীর প্রাণের এই উৎসবের মধ্যে জড়িয়ে আছে আবেগ, আনন্দ ও অর্থনীতি৷ রাজ্যের বা দেশের বাইরে কর্মরত বাঙালীরা সারা  বছর অপেক্ষা করে থাকে এইসময় ঘ

দেশে এ কেমন সরকার আর কেমন গণতন্ত্র!

নিরপেক্ষ

যতো দিন যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে ভারতের মতো বহুভাষাভাষীর দেশে যে ধর্মমত নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের দুরবস্থা বাড়ছে  সেটা মূলতঃ শাসকদলের চরম ব্যর্থতার কারণে৷ অত্যন্ত লজ্জার ও বেদনার কথা যারাই দেশ শাসনে আসছে তারাই সংবিধানকে মান্যতা না দিয়ে নিজেদের মতো করে দলীয় শাসন চালাতে সেই সংবিধানের উপর আঘাত করে সংবিধানকে সংখ্যাধিক্যের অধিকার বলে পরিবর্তন করে বিরোধী দলের ন্যায় সঙ্গত বক্তব্যকে সংখ্যার জোরে পায়ে দলেই এগুচ্ছে সেই প্রথম থেকেই৷ তাতে এদেশের গণতন্ত্র এক ভয়ঙ্কর প্রহসনে এসে দাঁড়িয়েছে৷

যোগ মানব সমাজের  সুদৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

যোগ মানব সমাজের সুদৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর৷ অনেকেই এই কথাটি শুণে হাসবেন৷ পাণ্ডিত্যের অহংকারে মত্ত হয়ে এই কথাটির মূল্যায়নের কোনো প্রয়াসই করবেন না৷ তাদেরও বলি, দয়া করে ধৈর্য্য ধরে এই বক্তব্যটির অন্তর্নিহিত অর্থ উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন৷ কেন এতবড় কথা বেশ জোরের সঙ্গে বলছি, তাই আমি সংক্ষেপে ব্যক্ত করছি৷

‘সমাজ’ শব্দের তাৎপর্য হচ্ছে সবাইকে নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে চলা৷  কবির ভাষার --- ‘সকলের তরে সকলে আমরা,/প্রত্যেকে মোর পরের তরে’৷

সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০২০ সনের ২৬শে সেপ্ঢেম্বর, ইংরেজী সাল-তারিখ গণনা অনুসারে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহোদয়ের জন্মদ্বিশতবর্ষ পূর্তি দিবস (জন্মঃ ১৮২০ খ্রীষ্টাব্দের ২৬শে সেপ্ঢেম্বর) আমরা উদযাপন করলাম৷ বাঙালী জাতির জীবনে এই প্রাতঃ স্মরণীয় মনীষীর অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম৷ অবিস্মরণীয় কীর্তির অধিকারী পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘‘বর্ণপরিচয়’’ এর মাধ্যমেই বাঙালীর অক্ষর জ্ঞানের শুভারম্ভ৷ এই সেপ্ঢেম্বর মাসেরই ৫ তারিখ ‘‘শিক্ষক দিবস’’ ও   ৮ তারিখ ‘‘বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস’’ হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়৷ তাই শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে সেপ্ঢেম্বর মাসের সম্পর্ক  অত্যন্ত নিবিড়৷  মানুষের প্রথাগত শিক্ষার সূচনা হয় অক্ষর পরিচি

বর্তমান কেন্দ্রীয় কৃষি বিল কার স্বার্থে?

এইচ. এন. মাহাতো

কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ভোটাভুটিতে পরাজয় জেনেই সংসদের উচ্চকক্ষে কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল অসৎ উপায়ে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে পাস করিয়ে নিল বিরোধী পক্ষকে কোন প্রকারের আলোচনা করার সুযোগ না দিয়ে৷ এভাবে ধাপ্পা দিয়ে একতরফাভাবে কৃষি ও কর্ষকদের বিরুদ্ধে যে বিল পাস করিয়ে নিল তাহা ব্রিটিশ আমলের  নীলচাষের কথা মনে করিয়ে দিল৷

রসায়নাগার-জাতক ও মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে প্রাউট প্রসঙ্গে  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের অভিমত

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 ১৯৬১ সালের জুলাই মাসে রাঁচীতে মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রাউট প্রসঙ্গে  যে প্রবচন দিয়েছিলেন, সেই প্রবচনে তিনি বহু সমস্যার সমাধান এর কথা, বলে গিয়েছেন৷ যেমন--- শ্রমিক সমস্যার  কথা, ভূমি সংস্কারের কথা পণপথার সমাধান, বিশ্বরাষ্ট্র গড়ার পথ, লিপি ও সংসৃকতি কেমন হবে, পরিবার পরিকল্পনা, জন্ম-নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রসায়নাগার জাতক প্রভৃতি সম্পর্কে বহুবিধ সমস্যার সমাধান  এই প্রাউটের প্রবচনে বলেছেন৷

আজকের আলোচ্য বিষয় হ’ল---রসায়নাগারে-জাতক বা রসায়নাগার -শিশুদের নিয়ে শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের অভিমত৷

শ্রীরামপুরে বিদ্যাসাগরের  জন্মদিবস পালন

গত ২৬শে সেপ্ঢেম্বর ২০২০, প্রাতঃস্মরণীয় বাঙালী মনীষী তথা বাঙালী জাতির গর্ব পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহোদয়ের  জন্ম দ্বিশতবর্ষ দিবস হুগলী জেলার  শ্রীরামপুরে  শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে ‘আমরা বাঙালী’রজেলা কমিটি৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খান, জেলা সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, জেলা কমিটির সদস্য শ্রী অমলেশ গুই, শ্রী অভিরাম বাগ প্রমুখ৷

স্বচ্ছ বাঙলা

বিরোধীদল ও রাজ্যপাল যতই রাজ্যসরকারের জমা খরচের হিসেবে অনিয়মের অভিযোগ আনুক কম্পট্রোলার এ্যাণ্ড অডিটর জেনারেল অব ইণ্ডিয়া (ক্যাগ) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গত অর্থবর্ষে দাখিল করা হিসেবের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ গত অর্থবর্ষে ১০০ শতাংশ জমা ও ৯৯.৬২ শতাংশ খরচের  হিসেব রাজ্যসরকার দাখিল করে৷ ক্যাগ এর শীর্ষ কর্র্ত রাজ্যের অর্থসচিবকে এক চিঠি লিখে জানান হিসেব পেশের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বচ্ছতা প্রশংসনীয়৷ সমস্ত দপ্তরের হিসেব নিরীক্ষণে সরকারের অনলাইন ব্যবস্থাও ক্যাগের কাছ থেকে প্রশংসা পায়৷ ক্যাগের এই  রিপোর্টে বিরোধীদের তোলা বেনিয়মের অভিযোগের জবাব দেবে৷

 

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবী

গত ২৬শে সেপ্ঢেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বাঙালী ছাত্রযুবসমাজের পক্ষ থেকে বারাসাত ষ্টেশনে বিদ্যাসাগরের স্মরণে একটি সভার আয়োজন করা হয়৷ সভার শুরুতে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান বাঙালী ছাত্র যুবসমাজের সচিব তপোময় বিশ্বাস অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷ বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করার দাবী তোলা হয় সভা থেকে৷