প্রবন্ধ

ভারতের ভয়ঙ্কর দশা থেকে বাঁচতে  শোষিত নাগরিকদের  ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

প্রভাত খাঁ

আজ সবই দেখছেন ও শুণছেন৷ হত দরিদ্র কোটি কোটি ভারতের নাগরিকগণ৷ যাঁরা বর্তমানে দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের  অপশাসনে একেবারে রক্তশূন্য ও নিঃস্ব হয়ে শুধু বেঁচে থাকার  যন্ত্রণা ভোগ করছেন৷ মনে পড়ে সেই দেশ প্রেমিক নেতাজীর আবেদন তৎকালীন দেশের নেতাদের কাছে ---ইংরেজের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিয়ে ধৈর্য্য ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান পুর্ন স্বাধীনতার জন্য৷ তখন নেহেরু  কর্ণপাত করেননি৷ গদীর মোহে ইংরেজের  দেশভাগকেই অবনত মস্তকে স্বীকার করে নিলেন ভারতবর্ষ খণ্ডিত হয়ে গেল! সেই হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান! আজ তারই অভিশাপে দেশের মানুষ ভুগছে! কুড়িয়ে পাওয়া সেই ১৪ আনা দেশ স্বাধীন হলো!

প্রকৃত দেশপ্রেমিক ঋষি ডঃ আবদুল কালাম

দেবর্ষি দত্ত

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ইফতার পার্টির রেওয়াজ বহুকাল  ধরে চলে এলেও, ছন্দপতন ঘটিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম৷ তিনি যদিও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবন তার আমলে ছিল ইফতার পার্টিমুক্ত৷ আসলে তিনি মনে প্রাণে ছিলেন একজন ভারতীয়, আর এটাই ছিল তাঁর আসল ধর্ম, প্রথম পরিচয়....

চেরাপুঞ্জীর থেকে একখানা মেঘ

অসিত দত্ত

কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত প্রকৃতির পক্ষপাতিত্ব দেখে এক সময় বলে উঠেছিলেন, চেরাপুঞ্জীর থেকে একখানা মেঘ ধরে দিতে পারো গোবি সাহারার বুকে?

দুর্নীতিতে দেশ ডুবে যাচ্ছে ঃ মুক্তির উপায়?

সুকুমার সরকার

পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতবর্ষের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এটাই প্রমাণ করেছে যে, চরম এক মাৎস্যনায় অবস্থায় বিরাজ করছি আমরা৷ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর যে মাৎস্যন্যায় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, বর্তমান অবস্থা তার থেকেও খারাপ৷ সেই যুগের সেই মাৎস্যন্যায় অবস্থা থেকে বাঁচতে মানুষ একজন গোপালকে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন৷ তারপর প্রায় তিনশো বছর বাঙলা তথা ভারতবর্ষ একটি সমৃদ্ধ সুশাসনে এসেছিল৷ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় কী?

ভারত কী শ্রীলঙ্কার পথে

ভারতের মতন খনিজ, কৃষিজ, বনজ ও নদীবহুল সম্পদশালী দেশ কি শেষে! অকর্মণ্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দূর্বুদ্ধির কবলে পড়ে অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার  পথে হাঁটতে চলেছে৷ তাই যদি হয় তবে এরজন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দায়ী হবে ও কেউই সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি থেকে পার পাবে না৷

আনন্দমার্গ ও প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব

খগেনচন্দ্র দাস

গীতার ধ্যানে বলা হয়েছে ---

‘‘সর্র্বেপনিষদো গাবো দোগ্দা গোপালনন্দনঃ৷

পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্দং গিতামৃতং মহৎ৷৷’’

অর্থাৎ উপনিষদসমূহ গাভীর ন্যায় শ্রীকৃষ্ণ সেগুলো দোহন করছেন অর্জুন গোবৎস স্বরূপ আর সুধীজন অমৃতস্বরূপ গীতাদুগ্দ পান করছেন৷ আমাদের ধারণা ঠিক তদ্রুপ সমগ্র আনন্দসূত্রমের নির্যাস হচ্ছে প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্ব আর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তার অমৃতরস দহন করে আমাদের দিয়েছেন পান করার জন্য৷