প্রবন্ধ

নেতাজীর ভারত গড়ার স্বপ্ণ ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের শোষনমুক্ত বিশ্বের চিন্তা

এইচ.এন.মাহাত

ভারতের স্বাধীনতার মুক্তি সূর্য, ব্রিটিশকে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য করার মূল কান্ডারী, মহান বিপ্লবী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যে মহান বানী উৎসর্গ করেছেন তাহা হলো---’’ পৌরুষের বজ্র কৌস্তব... রাজনীতির জ্বলন্ত ধুমকেতু... উল্কার অনলশিখা, সেই সুভাষচন্দ্রও ছিলেন বংশধারা সূত্রে রাঢ়ের মানুস৷’’ তার জন্মের  ১২৫ বছর পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নানা রকমের লোক দেখানো অনুষ্ঠানের অবতারনা করেছেন৷ আজকের নব প্রজন্ম জানতেই পারলেন না নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের স্বাধীনতার পূর্বে ভারতের মাটিতে ও বিদেশে যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার উদ্দেশ্য কী?

এপারেও প্রয়োজন ২১-এর আন্দোলন

মনোজ দেব

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ মাতৃভাষার গৌরব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বিশেষভাবে স্মরণীয় একটা দিন৷ ওই দিন ওপার বাঙলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবিস্মরণীয় এক ভাষা আন্দোলনের দিন৷

নীলকণ্ঠ দিবসের আহ্বান---শোষণ মুক্ত নোতুন বিশ্বের

পথিক বর

জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর একটি বাণীতে বলেছেন ---

‘‘ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষ ধার্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে স্পষ্ট কথা বলেছে, সন্দেহের নিরসন করেছে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, তখনই তার বিরুদ্ধে পাপ শক্তি ষড়যন্ত্র করেছে, বিষ প্রয়োগ করেছে, অপপ্রচার করেছে, ক্ষেপে মরিয়া হয়ে উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে৷ নিষ্ঠুর ভাবে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে, কিন্তু সেই আঘাতই আবার প্রত্যাহত হয়ে তারই কাছে ফিরে গেছে৷ নিজের আঘাতের প্রত্যাঘাতেই পাপশক্তি বিনষ্ট হয়েছে৷ তোমরা জেনে রেখো, ইতিহাসের অমোঘ বিধানে পাপ শক্তিকে বিধবস্ত হতেই হবে৷’’

স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশ্বৈকতাবাদের ভিত গড়ে তুলবে

প্রাউটিষ্ট

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে •socio-economic unit— বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা •potentiality—

নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রকৃত পথ– প্রাউট

পথিক বর

পথিক বরমহাকালের কালচক্রে দিন, মাস, বছর নিয়মিত আসে যায়৷ কিন্তু এরই মধ্যে বছরের এক একটা দিন এমনই স্মরণীয় হয়ে থাকে যে, আমরা এটিকে পবিত্র দিন হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হই৷ এমনি একটা পবিত্র দিন ২৩শে জানুয়ারী–নেতাজী জয়ন্তী৷ এই দিন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পুন্য জন্মদিন, যিনি আজীবন দেশের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার জন্যে কঠোর তপস্যা করে গেছেন৷

জাতির নামে বজ্জাতি

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

এখন প্রশ্ণ হল কোনটা ধর্মমত তা এক নজরে বুঝব কী করে? এর কতগুলো বৈশিষ্ট্য আছে৷ যেমন---

ক) প্রবর্তক---প্রত্যেক ধর্মমতের একজন প্রবর্তক আছেন৷ যেমন খ্রীষ্ট্রধর্মের যীশুখ্রীষ্ট, ইসলাম ধর্মের হজরত মহম্মদ, বৌদ্ধধর্মের গৌতম বুদ্ধ, ইত্যাদি৷

খ) ধর্মগ্রন্থ--- প্রতিটি ধর্মমতের নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থ আছে৷ যেমন খ্রীষ্টানদের বাইবেল, বৌদ্ধদের ত্রিপিটক, মুসলমানদের কোরান ইত্যাদি৷

গ) ধর্মগুরু--- সব ধর্মমতেরই ধর্মগুরু থাকে, প্রবর্তকরাই প্রথম ধর্মগুরু, পরেও ক্রমান্বয়ে ধর্মগুরু নির্দিষ্ট হয়৷

আদর্শ ও জীবন–সাধনা প্রসঙ্গে

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

প্রত্যেক  ব্যষ্টির বা জাতির একটা ধর্ম বা আদর্শ আছে৷ সে Ideal  বা আদর্শকে অবলম্বন বা আশ্রয় করিয়া সে গড়িয়া ওঠে৷ সেই Ideal –কে সার্থক করাই তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং সেই Ideal  বা আদর্শকে বাদ দিলে তার জীবন নিষ্প্রয়োজন ও অর্থহীন হয়ে পড়ে৷ দেশ ও কালের গণ্ডীর মধ্যে আদর্শের ক্রমবিকাশ বা অভিব্যক্তি একদিনে বা এক বৎসরে হয় না৷....আদর্শ একটা প্রাণহীন বস্তু নয়৷ তার বেগ আছে, গতি আছে৷ প্রাণ–সঞ্চারিণী শক্তি আছে৷....

নেতাজীর লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আবার আসছে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?