প্রবন্ধ

শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই  অর্থনৈতিক কাঠামোয় আমূল পরিবর্ত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অর্থনীতির অর্থ---ধনের বা সম্পদের ব্যবহারিক নিয়ম৷ সেই নিয়ম  এমন হওয়া উচিত যাতে বিশ্বের সকল মানুষ তথা সকল জীবের অস্তিত্ব সুরক্ষিত হয়৷ মহান দার্শনিক প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের ভাষায় ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের  তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত হতে হবে৷’’

দধীচি দিবসের তাৎপর্য

মনোজ দেব

শাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে নয়, নেতা মন্ত্রীদের তোয়াজ তোষামোদ করে নয় জামালপুরের ছোট্ট একটা রেল কোয়ার্টার্স থেকে আনন্দমার্গ বিশ্ব সংঘটন হয়ে ওঠার পিছনে আছে বহু কর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ দুর্জয় সাহসে ভর করে সমস্ত বাধা-বিপত্তি দু’পায়ে দলে এগিয়ে চলার ইতিহাস৷ ১৯৬৭ সাল, বাঙলার ইতিহাসে এক সন্ধিক্ষণ৷ কংগ্রেস দলের ভাঙনকে সহায় করে বাঙলার রাজনীতিতে জড়বাদী কমিউনিষ্টদের উত্থান৷ খণ্ডিত কংগ্রেসের এক অংশের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিষ্ঠিত হ’ল যুক্তফ্রণ্ট সরকার৷ বিরোধী অবস্থানে থেকে যে কমিউনিষ্টরা এত দিন উন্নয়নের বুলি কপচে গেছে, যুক্তফ্রণ্ট সরকারে তারা কোনও উন্নয়নমুখী দপ্তর চায়নি, স্বরাষ্ট্র

মহিলা মহল

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সত্তাগত সমতায় পুরুষের মতই নারীর মধ্যেও প্রভুত সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রাকৃতিক ও দেহসংরচনাগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে পার্থক্য সমমৈত্রীভিত্তিক সহযোগিতাকেই (কো-অর্‌ডিনেটেড্‌ কো-অপারেশন) প্রশস্ত করে৷ কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন সেখানে প্রভু-ভৃত্য সম্পর্কসুলভ সহযোগিতা (সাব-অর্‌ডিনেটেড্‌ কো-অপারেশন) চলে আসছে মহাভারতের যুগের পর থেকে৷ এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে ব্রাহ্মণ্যধর্মের  যুগে এবং এরই প্রভাবে পরেও৷

ভারতীয় অর্থনীতি ও বেকার সমস্যা

হরিগোপাল দেবনাথ

প্রাক্‌-স্বাধীনতা আমলে ভারতবর্ষ ছিল বিদেশী শাসিত৷ আর, ব্রিটিশরা সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ভারতবর্ষে এসে ছিল দাঁড়ি-পাল্লা হাতে নিয়ে বণিকের বেশ-ভূষায় সজ্জিত হয়ে৷ দিয়েছিল রাজদন্ড তথা শাসনদণ্ডরূপে৷ ব্রিটিশরা এদেশ যে শাসন করত এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল এদেশে অবাধ শোষণ চালানো৷ তাই তীব্র শোষণ অবাধগতিতে অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যেই ওই শাসকরা নির্মম নির্যাতন চালাত৷ উল্লেখ্য যে, সমাজে পুঁজিবাদী শোষণটা অতীব সূক্ষ্ম তো বটেই, নির্মম ও অতিমাত্রায়৷ অবশ্য, মার্কসবাদ এক্ষেত্রে শোষণের বিশ্লেষণ দেখাতে গিয়ে মানব-মনস্তত্বের দিক থেকে গোড়াতেই ভুল রয়ে গেছল বলে মার্কসবাদী ভাবাদর্শে যারাই বিশ্বাসী ও অণুপ্রাণিত হয়েছেন ও রয়েছেনও

"বর্ণপ্রধানতা চক্রধারায়াম।"

খগেনচন্দ্র দাস

শিরোনামে উদ্ধৃত সূত্রটি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী সৃষ্ট "আনন্দসূত্রম্" দর্শন গ্রন্থের অন্তর্গত পঞ্চম তথা শেষ অধ্যায়ের প্রথম সূত্র।সূত্রাকারে গ্রন্থিত আনন্দসূত্রম্ গ্রন্থের প্রথম চারটি অধ্যায়ে সৃষ্টির উৎস থেকে শুরু করে মানুষের মানসাধ্যাত্মিক স্তরের সর্বোচ্চ বিকাশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো চর্চা করা হয়েছে।এককথায় এই অংশটি আধ্যাত্মিক। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই পঞ্চম অধ্যায়টিতে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজীর আৰ্থসামাজিক দর্শন "প্রাউট" অর্থাৎ প্রগতিশীলউপযোগতত্ত্ব (Progressive Utilization Theory) সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। আর পঞ্চম অধ্যায়ের এই প্রথম সূত্রটিকে যুগান্তকারী প্রাউট দর্শনের অবতরণিকা বা মুখবন্ধ হিসেবেও ধরা য

‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন  ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 ‘ৰাৰা নাম কেবলম’ কীর্তন হ’ল মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত সঙ্গীত৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল ইষ্টনাম হ’ল পজিটিভ সাউন্ড৷ উচ্চৈ স্বরে পরম পুরুষের  গুন-গান ক’রে পরমপুরুষের আনন্দপ্রাপ্তি হয়৷ এই অবস্থায় ভক্ত নিজেকে ভুলে গিয়ে আত্মহারা হয়ে পরম পুরুষকে  আনন্দ দেওয়াই হয়ে ওঠে ভক্তের  জীবনের লক্ষ্য৷ পজিটিভ সাউণ্ডের পরিবেশ পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হওয়ার পক্ষে অত্যন্ত অনুকূল৷ সেদিক থেকে ‘ৰাৰা’র দেওয়া অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্তনে যে মনোরম স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাতে কোটি কোটি পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হয়৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম হরিপরি ম

সেবামূলক আদর্শের রূপায়ণেই দধীচি দিবসের সার্থকতা

প্রভাত খাঁ

আনন্দমার্গের ইতিহাসে জামালপুর, পটনা, রাঁচি, কলকাতা আর আনন্দনগর (পুরুলিয়ার বাগলতা) চিরস্মরণীয় হয়ে আছে ও থাকবে৷ আনন্দনগরের বুকে আনন্দমার্গের প্রবক্তা মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ দর্শনের বাস্তবায়ন শুরু করেন৷

প্রাউটই হ’ল মানব মুক্তির একমাত্র পথ

নিরপেক্ষ

আজ আমরা যাকে চরম শত্রু হিসাবে মনে করে অত্যাচার করেছি–কাল তাঁর মৃত্যুর পর বর্ত্তমানের প্রেক্ষিতে তাঁকে স্মরণ করি ও তাঁর আত্মত্যাগের বিচার বিশ্লেষণ করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই৷ আপেক্ষিক জগতে এটাই আপেক্ষিকতার দৃষ্টিতে একটা আপেক্ষিক মূল্যায়ণ৷ প্রসঙ্গত বলি, অতীতে মানুষের কল্যাণে যীশু হতভাগ্যদের সঙ্গে থেকে তাদের সঙ্গ দিয়ে যে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে প্রকৃত মানুষ গড়ার কাজ করেছিলেন, তার জন্যে তাঁকে দুর্বিনীত হেরড্ রাজার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে৷ আর দুর্বল বিচারক পাইলেনের হাতে মিথ্যা বিচারের প্রহসনে তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে প্রাণ ত্যাগ করতে হয়৷ আজ সেই আত্মত্যাগী তরুণ মানব দরদী যীশু লক্ষ লক্ষ মানুষের পরম আশ্রয়৷ আর

অসমিয়া ও বাঙালী বিরোধের শিকড় সন্ধানে

হরিগোপাল দেবনাথ

পৃথিবীর বুকে গণতান্ত্রিক জগতে  বৃহত্তম আর বহুভাষিক ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বহুল-প্রচারিত  এক রাজ্য অসম৷ নদী-উপতক্যা ও অববাহিকা সমেত সমতলভূমি আবার পার্বত্য-উষরভূমিসহ উঁচু-নীচু, দুর্গম অরণ্যঘেরা, জঙ্গল-আচ্ছাদিত ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমি নিয়ে রাজ্যটির  ভূ-প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই নবঘটিত এ রাজ্যের  নামকরণ হয়েছিল অসম-রাজ্য৷ অবশ অনেকের  মতে  বার্র্ম থেকে আগত অহোম-দের নাম থেকে  নাকি এ রাজ্যের  এরূপ নাম  হয়ে থাকতে  পারে বলে বলা হয়  কিন্তু তা’ সঠিক নয় বলেই বিদগ্দ জনদের অভিমত৷

রসায়নের ওপর মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মতে---‘একটি কার্বন পরমাণু কোটি কোটি মাইক্রোবাইটামের সমষ্টি মাত্র৷ শুধুমাত্র কার্বন পরমাণুই নয়৷ হাইড্রোজেন, অক্সিজেন,  সালফার প্রভৃতি মৌলগুলিও অসংখ্য মাইক্রোবাইটাম দ্বারা গঠিত৷’ যেহেতু সমস্ত মৌলই মাইক্রোবাইটাম সঞ্জাত অর্থাৎ সমস্ত মৌলের উপাদানই হ’ল মাইক্রোবাইটাম, সুতরাং সমস্ত জৈব ও অজৈব যৌগের সংরচনায় মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ভূমিকা থাকবে৷  বৈবহারিক ক্ষেত্রে মাইক্রোবাইটাম প্রয়োগ করলে রাসায়নিক ফরমূলায় বা সংরচনায় অবশ্যই পরিবর্তন ঘটবে৷ এযাবৎ যত জৈব ও অজৈব যৌগের সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের অভ্যন্তরীণ সংরচনায় মাইক্রোবাইটামের জন্যে আমূল পরিবর্তন ঘটবে৷ বাহ্য