২২শে শ্রাবণ কবি প্রণাম---আমরা বাঙালীর

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২২শে শ্রাবণ বিশ্ববরেণ্য কবিগুরু, সত্যদ্রষ্টা ঋষি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস স্মরণে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন রবীন্দ্রনাথের বৈদুষ্যের স্পর্শে ভারতবর্ষ সহ সমগ্র বিশ্বই নন্দনস্পন্দিত হয়েছিল৷ রাজনৈতিক জগতেও রবি ঠাকুরের দৃঢ়, স্পষ্ট অবস্থান ছিল৷ ভারতের রাজনৈতিক জগতে যখন সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে দেশীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একটা ঘৃণ্য চক্রান্ত কষছে , সেই সময় আপোষহীন সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক সুভাষ বসুর পাশে দাঁড়ালেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তিনি বুঝেছিলেন, ধনতন্ত্রবাদীরা প্রকাশ্য মুক্তিসংগ্রামকে পছন্দ করতেন না৷ দেশীয় পুঁজিপতিদের মনে এই ভয়ের সঞ্চার হয়েছিল যে, মুক্তিসংগ্রামের পথে স্বাধীনতা এলে সেই স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ভারতবর্ষের দরিদ্র জনগণ ধনতন্ত্রকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেবে৷ এই উদ্বেগেই দেশীয় পুঁজিপতিরা সুভাষ বসুর বিরোধিতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপথে পরিচালনা করার চেষ্টা করে৷ সেই সংকটময় মূহুর্তে রবি ঠাকুর দৃঢ় ন্ট্রে বললেন ‘যখনই মানুষ বা রাষ্ট্র দুর্গতির ঘূর্ণ্যাবর্তে পড়ে জীবনসংশয়ে এসে পড়ে তখন সেই সামাজিক ও রাষ্ট্রিক মাৎস্যন্যায় থেকে বাঁচবার জন্য কবি-সাহিত্যিককে পথনির্দেশনা দিতে হয়৷ আমাকে লোকে কবি বলে মানে৷ আমিও তাই পথনির্দেশনা দেব৷’ রবীন্দ্রনাথ পর্বত প্রমাণ বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে বললেন ‘আমি কবি৷ দেশের রাষ্ট্রের স্বাচ্ছন্দের কথা আমাকে ভাবতে হবে৷ সুভাষ, আমি তোমাকে নেতৃত্বে বরণ করলাম৷’ ….. রবীন্দ্রনাথের প্রতি মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের শ্রদ্ধাশীল মনোভাবের বক্তব্যই আমার এই চিন্তাধারাকে আরো সুস্পষ্ট ও জোড়ালো করে তুলেছে৷

আজ, ২২শে শ্রাবণ ১৪৩১ (৭ই অগাস্ট ২০২৪ইং) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করি ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠনের পক্ষ থেকে৷ রবীন্দ্রনাথ যে পুঁজিবাদী, ফ্যাসিস্ট শক্তির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন৷ আজও ভারতবর্ষে শাসনতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে সেই দেশীয় পুঁজিপতি ফ্যাসিস্টরা রয়েছে৷তারা চায় দেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথকে ভুলে যাক, সুভাষ বসুকে ভুলে যাক৷দেশের মানুষের উচিত, বিশেষত রাজনৈতিক চেতনা সম্পন্ন ও বৈপ্লবিকতার বীজে দীক্ষিত বাঙালী জাতির উচিত রবি ঠাকুরের মানব কল্যাণের স্বপ্ণ সার্থক করতে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া৷ ‘আমরা বাঙালী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই আকাঙ্খিত স্বপ্ণের বাস্তবায়নে সদা জাগ্রত৷