আমরা প্রবীন নাগরিকগণভাবে ভারতযুক্তরাষ্ট্রের দলতান্ত্রিক সরকারগুলির দলীয় শাসন চলছে তাতে বৃহত্তম সংখ্যক নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র নাগরিকদের জীবন পরিবার এর পুত্র কন্যাদের নিয়ে বাস করতে হচ্ছে সেটা চরম জীবনমরণ সমস্যা ও নিরাপত্তাহীনতার ও চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে তা কহতব্য নয়৷ দেখা যাচ্ছে সেই যে দলের সরকার তারা ও মুষ্টিমেয় উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনীরাই শুখে আছেন৷ সাধারণের পাশে কেউই নেই৷ চরম দুর্নীতি চারিদিকে কেবল শাসকগণ নানাধরণের আশার কথাই শুনিয়ে যাচ্ছেন! বাস্তবে কোন সুরাহা নেই! চরম দুঃখের কথা এদেশে মাতৃজাতির তো নিরাপত্তা নেই! বড় লজ্জার ও দুঃখের ঘটনা ঘটে গেল এই পশ্চিম বাঙলায় তা হলো একটি বড়ো বুদ্ধিমতী ও সাহসী মেয়ে অভয়া যিনি চরম প্রতিকূলতায় মধ্য দিয়ে ডাক্তার হতে যাচ্ছিলেন যিনি জনসাধারণকে সেবা দেবার ব্রতে আত্মনিবেদিতা ও প্রাণ তাঁকেই অকালে প্রাণ হারাতে হলো সেই হাসপাতালে চরমভাবে নির্যাতিতা ধর্ষিতা হয়ে৷ এটা আমরা গৃহী তাই আমরা মরমে মরে গেলাম৷ আমরা কোথায় আছি! ট্রেনিং এর মধ্যেই এমন নিরাপত্তাহীনতা হয় কেমন করে এটাই বড়ো প্রশ্ণ! তাই সারা দেশবাসীর মনে নানা প্রশ্ণ জাগছে পদে পদে অনেকেই সন্দেহ মনে থেকে তা হলো সঠিক তদন্ত হয়নি! সবটাই যেন চেপে দেওয়া হয়েছে!
এখন প্রশ্ণ মহামান্য আদালতের মহান বিচারপতি এই কঠিন ঘটনার বিচার করবেন তাঁর কাছে যেসব ঘটনাগুলি আসবে তারই উপর বিশেষ করে লোয়ার কোর্টে কারণ এই বিচারকের রায়ের বিরুদ্ধে উপর মহলের বিচারপতিগণ বিচার করবেন৷ তাই মনে হয় মহামান্য বিচারপতি শ্রী দাস অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন৷ সাধারণত যা হয় তাই সেই সন্তানহীন পরিবারকে কয়েক লক্ষ টাকা দেবার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারকে৷ এবার দেখা যাচ্ছে শাসকবর্গ ও অন্যান্য নিম্ন আদালতে কেন ফাঁসী দেওয়া হলো না বলে নানা ধরণের দাবী করছেন৷ একটি জীবনকে শেষ করে দেওয়ার যথেষ্ট প্রমান যদি থাকতো মনে হয় বিচারপতি সেই রায় দিতেন৷ তাই ধৈর্য্য ধরতে হবে সকলকেই উচ্চতম আদালত কি রায় দেয় তারই অপেক্ষায়৷ এটাই বিষয় আমরা জানি না হাসপাতালে কি ঘটনা ঘটেছে৷ এর পশ্চাতে অনেক কিছুই থাকতে পারে যা তদন্তে আসেনি৷ এই ব্যাপারেই শ্রীদাস এই বিচারে এটি বিরলতম ঘটনা একক সেটা মেনে নিতে পারেননি৷ কারণ মৃত্যুদণ্ডটা দেওয়াটা খুবই কঠিন বিষয় বিচারকের৷
তবে খবরের কাগজে যা সংবাদ আমরা পেয়েছি তাতে সত্যই কষ্ট পেয়েছি বড় মনে যখন পড়লাম ঐ কর্ত্তব্য পয়ান অর্দ্ধমৃতা অবস্থায় রাখা হয়েছে যেখানে সেখানে তেমন কোন চিকিৎসকরা কেউ নেই৷ আর তাঁকে পাহারা দিতে কোন মহিলা রক্ষী না রেখে একজন তরুণ পুরুষ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে রাখা হয়েছে! এটা যে কতো বড়ো গাফিলতি কর্মকর্ত্তাদের তা ভাবতেই পারি না৷ শুধু তাই নয় এমন ও নাকি সংবাদ পত্রে? প্রকাশ পার তিনি অসুস্থ তাঁকে দেখতে আসার সংবাদ তাঁর অভিভাবকদের দেওয়া হয়৷ তারা এসে সত্য মৃতা কন্যাকে দেখেন৷ এই ধরণের সংবাদ যদি সত্য হয় তা হলো কর্ত্তৃপক্ষকে কি বলা যায়! যদি বললাম এই কারণে যে আজকাল সংবাদমাধ্যমগুলো সব সময় প্রকৃত সত্য তুলে ধরে না৷ এদেশে এই ধরণের ঘটনাটাই বেশী শোনা যায় ও দেখা যায়৷ অতি দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি তাই হাসপাতালগুলির প্রতি নাগরিকদের মনে এক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে৷ এটা কিন্তু শাসনে যারা আছে তারা মানতে চায় না৷ অনেকে এই রায়কে নানা কারণে মানতে পারছেন না৷ তাই ধৈর্য্য ধরতে হবেই৷ অত্যন্ত দুঃখের ও বেদনার সঙ্গে বলি বর্তমানে দলীয় শাসনব্যবস্থায় উচ্ছৃঙ্খলা ও অপরাধ প্রবণতাটা যেন বেড়েই চলেছে সমাজে! তাই ধর্ষণটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন আখচাই৷ তাই চরম নিম্ন আদালতের বিচারের রায় উচ্চ আদালতে আইনের প্রশ্ণে নানা ধরণের ব্যাখ্যা হয় তাতে নিম্ন আদালতের রায় যদি অন্য রায় হয় তা হলে সেই বিচারক যে সঠিক রায় দিতে পারেন নি সেটা চিহ্ণিত হয়৷ তাই ভেবে চিন্তে নিম্ন আদালতে রায় দিয়ে থাকেন বিচারক৷ দেখা যায় অনেক সময় মৃত্যুদণ্ডটা নয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডটাই গ্রাহ্য হয়৷ এটা অপ্রিয় সত্যতা হলো মৃত্যুদণ্ডে অপরাধীর মৃত্যু হলো তাতে অপরাধের জন্য জীবিত অবস্থায় কারা যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় না কিন্তু বেঁচে থেকে কারাগারে শাস্তি ভোগের মাধ্যমে অপরাধ হয়তো কিছুটা উপলব্ধি করে তা অপরাধের শাস্তিটা কতো ভয়ঙ্কর যাতে সে সমাজচ্যুত হয়ে যায়৷
এ প্রসঙ্গে আর ধর্ষণের অপরাধী ধনঞ্জয়ের কথা এসে যায়৷ যাকে প্রায় জোর করেই ফাঁসীতে চাপিয়ে দেয় তৎকালীন বাম সরকার৷ উঃপ্রদেশে বিচারের আগেই এন.কাউন্টারের নামে মেরে দেওয়া হয়৷ তাই জনমনে একটা সন্দেহ থাকেই অপরাধীকে চরমদণ্ড দেওয়ার পেছনে শাসকের কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকে৷
- Log in to post comments