August 2018

আনন্দমার্গ পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ২১শে জুলাই কোচবিহারের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমতী দীপিকা ভৌমিক পরলোকগমন করেন৷ গত ১লা আগষ্ট আনন্দমার্গীয়  সমাজশাস্ত্রানুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে প্রভাতসঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন শ্রী কোলেন দাস৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ প্রমিতা আচার্যা৷ প্রয়াতা দীপিকা ভৌমিকের স্মৃতিচারণ করেন শ্রীমতী অনুরাধা সরকার ও অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রীকালিপদ দেবনাথ৷ অনুষ্ঠানে শতাধিক ব্যষ্টি উপস্থিত ছিলেন৷

আমতায় আনন্দমার্গের সেমিনার

হাওড়া ঃ গত ৬,৭,৮ জুলাই  হাওড়া জেলার  আমতাতে স্থানীয় আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গের এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷  এই সেমিনারে  শ্রীশ্রীআন্দমূর্ত্তিজীর আধ্যাত্মিক দর্শন ও সমাজদর্শন---‘প্রাউট’-এর বিভিন্ন দিকের  ওপর আলোচনা  করেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত ও  আচার্য সর্বজয়ানন্দ অবধূত৷ এই সেমিনারে হুগলি, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, দুমকা প্রভৃতি জেলা থেকে  প্রায় দুই শতাধিক আনন্দমার্গী যোগদান করেছিলেন৷

বনগাঁয় আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ১৩,১৪ ও ১৫ জুলাই উত্তর ২৪ পরগণার বঁনগা শহরে আনন্দমার্গের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দমার্গের এই প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ থেকে দুই শতাধিক আনন্দমার্গী যোগদান করেছিলেন৷ এই সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত ও আচার্য সর্বজয়ানন্দ অবধূত৷ এই সেমিনারে আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল ‘তারকব্রহ্ম’, ‘সংগ্রামে বৈপরীত্যম্’, ‘সুসংবদ্ধ কৃষি’ ও ‘সামাজিক সুবিচার’৷

মণিপুরের জিরিবামে  নাগরিকত্ব ও অস্তিত্বের দাবীতে   বাঙালীদের মিছিলের উপর  পুলিশের গুলি বর্ষণ ঃ গুলিবিদ্ধ ৪

গত ২৭ শে জুলাই  মণিপুরে জিরিবাম জেলার  মুখ্য রাস্তার ওপর অবস্থিত লালপাণী বাজারে  বাঙালীদের পক্ষ থেকে ‘মণিপুর পিপলস্ বিল ২০১৮  ভিত্তিবর্ষ ১৯৫১’ বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মিছিলে  পুলিশ গুলি চালিয়ে নারী ও শিশুসহ  চারজন গুলিবিদ্ধ হয়৷ ‘আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ শিলচর হাসপাতাল থেকে  এই খরবটি প্রাথমিকভাবে জানায়  পরে  মণিপুরে  বাঙালী আন্দোলনের নেতা  ফৈজ আহম্মেদ ও  মহম্মদ তাজউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে  ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ জানা যায়৷ এদিন জিরিবামের  লালপাণী বাজারে প্রায় ১ হাজার  বাঙালী নারী , পুরুষ, শিশু,  বৃদ্ধরা এক ধর্ণায় সমবেত হয়৷ মণিপুরের বিশেষ করে বাঙালী অধ্যুষিত এলাকায় মণিপুর স

বাঁশপাতাও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি ক্ষৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷

জ্বর ও জণ্ডিসের উপকারী আনারস

বিশেষ প্রতিনিধি

আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল৷ পৃথিবীতে প্রায় ৯৫টি প্রজাতির আনারস চাষ হয়৷ পশ্চিমবাঙলার উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার সংলগ্ণ এলাকাতে এর বহুল চাষ করতে দেখা যায়৷ অসম, ত্রিপুরাতে আনারস চাষ একটি অর্থকরি ফসল৷ আনারসের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়৷ এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টির উপাদান রয়েছে৷ ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, শ্বেতসার ৬.২ গ্রাম, ০.১ ভাগ সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১২.০ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি–১,০.০৪মি. গ্রাম ভিটামিন–২, ভিটামিন সি ২১ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রা.

নিয়মিত ব্যায়ামে লিভার ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব

বিশেষ প্রতিনিধি

নিয়মিত ও সময়মত ব্যায়াম করলে লিভারের ক্যানসারের প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে এর ফল পাওয়া গেছে৷ হেপাটোসেলুলার কারকিনোমা (এইচ সি সি) বা লিভার ক্যানসারের প্রতিরোধ করার জন্যে কিছু রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে আসন করানোর ফলে রোগীরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ গবেষকরা বলেছেন এটা তাদের মধ্যে দারুণ আশা জাগিয়েছে৷ উল্লেখ্য এইচ সি সি লিভার কোষে ক্যানসার হতে সহায়তা করে৷ আর লিভার ক্যানসার এমন এক রোগ যাতে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা যায়৷ এইচ সি সি পুরুষের শরীরে ক্যানসার বিস্তারের পঞ্চম সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত, মেয়েদের বেলায় সাধারণত অষ্টম কারণ৷ গবেষণার শু

নারী ও সামাজিক সুবিচার

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷         –সম্পাদক)

প্রতিবাদ

তীরন্দাজ

আমি এক প্রতিবাদ

ফীনিক্স পাখীর মত

উঠে আসি বারবার

আমি দুর্দম দুর্বার৷৷

যতই আসুক ঝড়

সাইক্লোন তুফানের বান,

ততই এগিয়ে যাব

করে দিয়ে ছারখার

শোষণ আর অবিচার

আর দমনের কারাগার৷৷

একটাই লক্ষ্য আমার

একটা এমন পৃথিবী,

যেখানে অরুণের রাঙা আলো

অন্ধকার করে দিয়ে দূর

ছেয়ে দেবে উজ্জ্বল রোদ্দুর

এনে দেবে আলোর সকাল

যে সকাল তোমার আমার৷৷

চলো আঁধার পেরিয়ে যাই

আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত

চলো আঁধার পেরিয়ে যাই আলোর পানে৷

এসো ভূবন ভরিয়ে দিই গানে গানে৷৷

এসো গিরি-মরু-কান্তার যাই পেরিয়ে,

এসো সুনীল আকাশ-সীমা যাই ছাড়িয়ে

জাগি নূতন দিনের নব স্বপ্ণ নিয়ে---

যত দুঃখ-ব্যথা মোরা ভাগ করে’ নিই৷৷

যত বিঘ্ন বাধা এই ধরণী তলে,

চলো যাই চলো যাই দু’পায়ে দলে’৷

বলো, ‘‘অমৃত-পু মোরা মৃত্যুঞ্জয়,

যত অত্যাচারীর ত্রাস, মোরা দুর্জয়

মোরা ভোরের পাখী যত আঁধার রাতে---

ভোর হলো, ভোর হলো ডাক দিয়ে যাই’’৷