October 2019

দ্বিশত জন্মবর্ষে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বিশ্বের সকল বাঙালীর নিকট ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একটি প্রাতঃস্মরণীয় নাম৷ প্রতিটি বাঙালী মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলা শেখে মা-বাবা-আত্মীয় পরিজনদের মাধ্যমে ৷ আর বাঙলায় প্রথম আক্ষরিক পরিচিতির জন্যে হাতের কাছে পায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত ‘বর্ণপরিচয়’৷ বাঙালী মাত্রেরই বিদ্যাশিক্ষার ভিত্তি রচিত হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাধ্যমে৷ তাঁর পিতৃদত্ত নাম শ্রী ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের পদবী হিসেবে আমরা সাধারণতঃ ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ ব্যবহার করি না৷ স্বামীজী বললে যেমন স্বামী বিবেকানন্দকে, কবিগুরু বললে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে, নেতাজী বললে সুভাষচন্দ্র বসুকে আমরা বুঝি---ঠিক তেমনই বিদ্যাসাগর বা

মহিষাসুরমর্দিনী  দুর্গা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের  মিলিত শক্তির  প্রতীক

মোহন সরকার

 প্রাচীনকালে ৪ ধরনের সাহিত্য গ্রন্থ লেখা হত ৷ কাব্য, ইতিবৃত্ত, ইতিহাস পূরাণ৷ বাক্যং রসাত্মক কাব্যং--- ছন্দ, উপমা  প্রভৃতি দিয়ে রসাত্মক কাব্যরচনার নাম কাব্য৷ সমাজে যা ঘটছে--- তার  হুবুহু পঞ্জীকরণ হ’ল ইতিবৃত্ত৷ কোনো এক রাজন, তাঁর ৪ ছেলে৷ তাদের ছেলে-পুলে তাদের রাজ্য বিস্তার  বা জীবনযাত্রার কাহিনী--- এসব ঘটনাপঞ্জীর বিবরণ হ’ল ইতিবৃত্ত৷ ইতিবৃত্ত কিন্তু ‘ইতিহাস’ নয়৷ ইতিবৃত্তের  মধ্যে যে অংশ শিক্ষাপ্রদ---সে অংশটাই  হল ‘ইতিহাস’৷  আর পুরাণ হ’ল--- লোকশিক্ষার্থে রচিত কল্পিত কাহিনী৷  পুরাণের ঘটনাগুলো কাল্পনিক হলেও তার মাধ্যমে মানুষকে নানান্ শিক্ষা দেওয়া হয়৷ যেমন বলা হয়েছে, 

পরমানু ও মাইক্রোবাইটামের  অবস্থান ও এদের গবেষণা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু ও মাইক্রোবাইটার অবস্থান, গবেষনার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন৷

আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ প্রসঙ্গে

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

আজ থেকে প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে মানুষ সৃষ্টির প্রথম ঊষার আলো দেখে থাকলেও মানব সভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে৷ বিবর্তনের পথ ধরে সভ্যতা এগিয়ে চলেছিল৷ প্রায় সাত হাজার বছর আগে প্রথম তারকব্রহ্ম সদাশিবের আবির্ভাব মানব সভ্যতার ইতিহাসে ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা৷ সেদিনের সেই প্রায় অন্ধকারে থাকা আদিম যুগের মানুষকে সদাশিবই প্রথম আলোর সন্ধান দিয়েছিলেন৷  তিনি শিখিয়েছিলেন তন্ত্র যোগ ভিত্তিক আধ্যাত্মিক সাধনা৷ প্রথম ছন্দ, সুর, তাল, লয় সমৃদ্ধ গীত বাদ্য ও সুরসপ্তকের উদ্গাতা ছিলেন তিনিই৷ সদাশিবই দিয়েছিলেন বিবাহ পদ্ধতিও৷ তার আগে সমাজে বিবাহ প্রথা ছিল না৷ সে যুগে মানব-মানবী স্বৈরী-স্বৈরিণী মত ঘুরে ব

মহানগরী দিল্লীতে প্রভাত সঙ্গীত অনুষ্ঠান

১০ সেপ্ঢেম্বর দিল্লী রাওয়া কমিটির উদ্যোগে চিত্তরঞ্জন পার্ক বঙ্গীয় সমাজে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য-গীত-অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ সফল প্রতিযোগীদের পুরসৃকতও করা হয়৷

১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে প্রথম সঙ্গীত রচনা করেন ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ গানটি দিয়ে৷ আট বছরে তিনি মোট ৫,০১৮টি গান রচনা করে ও তাতে সুর সংযোজনাও করেন৷ এই সঙ্গীত সম্ভারকে প্রভাত সঙ্গীত বলা হয়৷

হাওড়া আজানগাছিতে মেডিকেল ক্যাম্প

২১ সেপ্ঢেম্বর ঃ হাওড়া জেলার বাগনানের আজানগাছিতে আনন্দমার্গ সেবা দলের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়৷ এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ চাঁদমোহন পাল৷ ক্যাম্পটির আয়োজন করেছিলেন অবধূতিকা আনন্দ চিরমধুরা আচার্যা ও আচার্যা রত্নদীপ ব্রহ্মচারিণী৷ প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী এই চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ও প্রয়োজনীয় ওষুধও সংগ্রহ করেন৷

শ্যামপুরে সেমিনার

  হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের সুলতানপুর আনন্দমার্গ স্কুলে গত ৭ই সেপ্ঢেম্বর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারটির আয়োজন করেন স্বতন্ত্র বৈতালিক৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আমতা আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীলক্ষ্মীকান্ত হাজরা৷ শ্রী হাজরা আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন৷ প্রায় ষাট জন মার্গী ভাইবোন এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷

মল্লারপুরে সেমিনার

বীরভূম জেলার  মল্লারপুর গ্রামে  আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে  আলোচনার জন্যে একটি সভা  আয়োজিত হয় ১৫ সেপ্ঢেম্বর৷ সারাদিন ব্যাপি  এই আলোচনা সভায়  আনন্দমার্গ দর্শণের বিভিন্ন দিক দিয়ে আলোচনা  ও বিকালে  বটতলা  মোড়ে একটি প্রকাশ্য সভা  অনুষ্ঠিত হয়৷  আলোচনা সভায় প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত৷ অপরাহ্ণে প্রকাশ্যসভায় বক্তব্য রাখেন--- চিত্ত মন্ডল,  আচার্য দিব্যজ্যোতি ব্রহ্মচারী, আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত৷ আলোচনা সভায় আয়োজন করেন স্থানীয় মার্গীভাই বোনেরা৷

কোলাঘাটে সেমিনার

গত ১৫ই সেপ্ঢেম্বর  পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট আনন্দমার্গ স্কুলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ আলোচ্য বিষয় ছিল ‘সৃষ্টিচক্র’ ও ‘যম নিয়ম’৷ এই বিষয়গুলির ওপর আলোচনা করেন আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত ও শ্রী সুভাষ প্রকাশ পাল৷

সেমিনারটির আয়োজন করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভুক্তিপ্রধান মানস কালসার ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷ মার্গী ভাইবোন ছাড়াও স্থানীয় অধিবাসীরা যথেষ্ট সংখ্যায় এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷

বাঁকুড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৫ই সেপ্ঢেম্বর  বাঁকুড়া জেলার রাইপুরে বক্সী গ্রামে তিন ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কীর্ত্তন চলে৷ এরপর সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পরে কীর্ত্তন ও আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনি কীর্ত্তনের মহত্ত ও বর্তমান সমাজে আনন্দমার্গের যোগ সাধনার গুরুত্ব বিষয়ে বলেন৷ তিনি আরও বলেন বিজ্ঞানের অগ্রগতির পাশাপাশি আধ্যাত্মিক চর্র্চ তথা যোগ সাধনার অনুশীলন মানুষ যদি না করে তবে বিজ্ঞান অভিশাপ  হয়ে দেখা দেবে৷ সভ্যতার  সঙ্কট ঘনিয়ে  আসবে৷ সমাজ মনুষ্য বাসের উপযুক্ত থাকবে না৷ এরপর বক্তব্য রাখেন আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত৷