March 2020

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

‘সংগঠন’ শব্দটি ভুল, হবে ‘সংঘটন’

সংস্কৃতে ‘গঠন’ বলে কোন শব্দই নেই–আছে ‘ঘটন’৷ এই ‘ঘটন’ শব্দ বিকৃত হয়ে ‘গঠন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তাই শুদ্ধভাবে লিখতে গেলে ‘সংঘটন’ লেখাই সমীচীন৷

সংঘটন শব্দটি (সম্–ঘট্  ল্যুট) আমরা এই ‘ঘট্’ধাতু থেকে পাচ্ছি যাকে ভুল করে আমরা ‘সংগঠন’ বলি বা লিখে থাকি৷ আবার এই ‘সংগঠন’–কে ঠিক ভেবে আমরা ‘সংগঠিত’, ‘গঠনাত্মক’, ‘সুসংগঠিত’,‘সংগঠনী শক্তি’, ‘গঠনমূলক কার্য’ প্রভৃতি শব্দগুলি অবলীলাক্রমে ব্যবহার করে থাকি৷ বুঝি না গোড়াতেই ভুল৷ ‘সংগঠন’ শব্দটি ভুল৷ আসলে ঠিক শব্দটি হ’ল ‘সংঘটন’৷ ঘটন>ঘডন>ঘড়ন>গড়ন৷ একটি কবিতাতেও দেখেছিলুম–

প্রাউট সঙ্গীত

সাক্ষীগোপাল দেব

বিশ্বভুবন ঘুরে এলাম

ভরল না মন ভাই

বাংলা মায়ের মত এমন

কোথা  ও দেখি নাই৷৷

 

কোথায় এমন ছয়টি ঋতু

সাতটি রঙে সাজে

সকাল সাঁঝে  পাখির কুজন

সুর হয়ে কাণে বাজে৷

রঙ ছড়িয়ে প্রজাপতি

হাওয়ায় উড়ে ইতিউতি

মৌমাছিরা মধুর লোভে

ফুলে ফুলে ধায়৷৷

 

নীল আকাশে অর্কপ্রভা

রাতে তারা চন্দ্রশোভা

জলভরা মেঘ কখনো বা

মলয় পবন বায়৷৷

 

কত নদী ঝর্ণাধারা

সাগর মাঝে হয় যে হারা

ভাটিয়ালী বাউল গানে

মন হারিয়ে যায়৷৷

 

কাঁসর ঘন্টা আজানের সুর

করোনা বাইরাস

কবি রামদাস বিশ্বাস

শূন্য থেকে মাইক্রোবাইটা

            করোনা যে এল৷

এমন মারণ ব্যাধি আগে

            মানুষ কবে পেল!

পায়নি কেহ পায়নি কেহ

            এই যে পাপের শাস্তি৷

ভুলে গেছে ন্যায়-অন্যায়

            ভুলে অস্তি-নাস্তি৷

দুষ্টকর্মে অণুজীবৎ

            নেতিবাচক রূপে

মেরে মেরে দেয় যে ফেলে

            নরক নামক কূপে৷

দুই রকম অণুজীবৎ

            চরাচরে আছে৷

মন্দ কাজে মরে মানুষ

            ভালো কাজে বাঁচে৷

মানুষ হয়ে মানুষ যদি

            পশুর কর্ম করে,

মন্দ অণুজীবৎ পেয়ে

ফুটবলার শৈলেন মান্না ইতিহাসের ইতিহাস

পাড়ার ছোট্ট এক চিলতে মাঠে খেলার পর ক্ষুদ ফুটবলাররা বিশ্রাম নিচ্ছিল৷ এমন সময় একজন বলে উঠল---এত খেটে কি হবে, চান্স তো পাবোই না, চাকরিও পাবো না, টাকাও কামাতে পারবো না৷ অন্য জন জবাব দিল---অতশত ভেবে লাভ নেই রৃে আমাদের কাজ ভাল খেলা৷ সেই কাজটাই ভালোভাবে করতে হবে৷ ঠিক সেই সময় ওদের কোচ আসলেন, বললেন---তোদের কথা আমি পাশ থেকে শুনেছি৷ আমাকে দেখ, আমি কি দামী খেলোয়াড় হতে পেরেছি?

বাঙালী ক্রিকেটারদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে সুদূর অতীত থেকে

একটা কথা প্রচলিত আছে ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা৷ অথচ ভারতীয় দলে বাঙালী ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করতে ভদ্রলোকের মুখোশ পড়ে নির্বাচকরা অভদ্রভাবে অনীহা প্রদর্শন করেছেন সুদূর অতীত থেকে আজ পর্যন্ত৷ বঞ্চণার বিরুদ্ধে লড়াই করে মাঠে নিজেদের যোগ্যতার বাবার প্রমাণ দিয়ে তারপর হাতে গোনা কয়েকজন ভারতীয় দলের জার্সি ছিনিয়ে নিয়েছেন৷৷ প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অজানা কারণে দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছেটা বাস্তবে রূপায়িত হতে পারেনি অনেক বাঙালী ক্রিকেটারের জীবনে৷ বহু বছর আগে প্রণব রায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার ছিলেন৷ নিয়মিত ভাবে ভাল খেলার জন্যে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া যায়নি৷ তারপর দীর্ঘস্থায়ীভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাঙালী সদস্যের