April 2023

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘...অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যারা তথাকথিত ভাববাদী অর্থাৎ যারা মনে করেন মানুষের কাণে কেবল আদর্শবাদের কথা শোণালেই একটি আদর্শ সমাজ গড়ে উঠৰে, তাদের সাফল্যে আমি আস্থা রাখতে পারি না৷ আর যাঁরা নিছক শক্তি-সম্প্রয়োগের ওপর নির্ভর করেন তাঁদের আমি একেবারেই সমর্থন করতে পারছি না, কারণ আজ যে মানুষকে বেকায়দায় পেয়ে তার ওপর শক্তি সম্প্রয়োগ করছে  (নিজের ত্রুটি হয়তো সে সব সময় বুঝতেও পারে না৷) সে প্রতি মুহূর্তে রক্তপাতের মাধ্যমে পাল্‌টা শক্তি সম্প্রয়োগের চেষ্টা যে করৰে তাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নেই৷ ’’

                                                ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

*   পৃথিবী সবার জন্য

    হোক সে শহুরে শিক্ষিত বা

    হোক সে নিছক বন্য৷

                 ---শুভ্র ড্যানিয়েল

* সর্বপ্রকার সঙ্গ ত্যাগ করবে, যদি একান্তই সঙ্গ ত্যাগ করতে সক্ষম না হও তবে সৎসঙ্গ করবে৷ আর সর্বপ্রকার বাসনা-কামনা ত্যাগ করবে৷ যদি একান্তই বাসনা-কামনা ত্যাগ করতে না পার তবে মুক্তি কামনা করবে    ---মদালসা

পুলিশি ষড়যন্ত্র ভেদ করে বাংলা ভাষা পড়ানোর দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’র ছাত্রযুব সমাজের স্মারকলিপি প্রদান

সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার জেলার অন্তর্গত আড়িয়াদহের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা ছাঁটাই এর কারণ স্বরূপ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বলা হয়েছে---‘বাংলা ভাষা অস্তিত্বহীন, বাংলা নিয়ে খুব একটা কেউ পড়াশোনা করে না তাই  বাংলা শিক্ষিকার দরকার নেই৷ এরপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের  বুকে বাংলা ভাষাকে ‘অস্তিত্বহীন’ মন্তব্যের পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস৷ পশ্চিমবঙ্গের সরকারী-বেসরকারী সমস্ত বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাকে প্রথম আবশ্যিক ভাষা হিসেবে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে ২৭শে মার্চ পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট এক স্মারকলিপি প্রদানের ডাক দেন তিনি

জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র

কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী-এর উদ্যোগে ‘অলটারনেটিব্‌ পাওয়ার কনজারভেশন’ কি হতে পারে? তা অঙ্কন করে দেখানোর জন্যে দিল্লীতেপ্রতিযোগিতা হয়েছিল৷ এই প্রতিযোগিতায় সারা ভারতবর্ষ থেকে সর্বমোট আশি হাজার প্রতিযোগী ছাত্র-ছাত্রা অংশগ্রহণ করেছিলেন৷  এই প্রতিযোগিতা প্রথমে রাজ্যভিত্তিক হয়৷ তারপর রাজ্যে যারা ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকার করে তাদের কে নিয়ে জাতীয় স্তরে  প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়৷ জাতীয় স্তরে যে দশজন নির্বাচিত হয়েছিল, সেই দশজনের মধ্য থেকে বিশালগড় আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র অংশুমান ভৌমিকও উত্তীর্ণ হয়ে ‘পাওয়ার মিনিষ্টার’-এর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন৷

ভারত সম্পদশালী দেশ অথচ ভারতের মানুষ গরিব

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

শণ উৎপাদনেও ভারত পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য স্থানের অধিকারী৷ পৃথিবীর মোট শণের প্রায় ২৭ ভাগ উৎপাদন করে ভারত৷ রেশম উৎপাদনের পৃথিবীতে ভারতের স্থান দ্বিতীয়৷  প্রাকৃতিক রবার উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে  থাইল্যাণ্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র পরই ভারতের স্থান চতুর্থ৷

এরপর আসি তৈলবীজ প্রসঙ্গে৷ যেমন বাদাম৷ বাদামতেল রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়৷ বনস্পতি, সাবান ও কেশ তেল ও বাদামতেল থেকে হয়৷ তেল নিষ্কাশনের পর বাদামের খোল পশুখাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়৷ রাসায়নিক শিল্পেও চীনা বাদামের তেল ও ওষুধে কাজে লাগে৷ পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ চীনাবাদাম উৎপাদনকারী দেশ ভারত৷

দগ্ধৰীজ

‘‘যাবন্নক্ষীয়তে কর্ম শুভঞ্চাশুভমেবচ,

তাবন্নজায়তে মোক্ষো ণৃণাং কল্পশতৈরপি৷

যথা লৌহময়ৈঃ পাশৈঃ পাশৈঃ স্বর্ণময়ৈরপি,

তথা ৰদ্ধো ভবেজ্জীবো কর্মাভিশ্চ শুভাশুভৈঃ৷৷’’

(তন্ত্র)

বাঙলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন

আজকাল অনেক জায়গাতেই গভীর নলকূপের সাহায্যে জল তুলে চাষ করা হয়, এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়, কারণ যত পরিমাণ জল তোলা হয়, তত পরিমাণ জল ওই গভীরতায় ফিরে যেতে পারে না৷ রোদের তাপে অনেকটা বাষ্প হয়ে যায়, আর কিছুটা গাছপালারা টেনে নেয়৷ এর ফলে জল–তল হু হু করে নেবে যায়৷ মালদা, নদীয়া ও অন্যান্য জেলায় যেভাবে গভীর নলকূপ ব্যবহার করা হচ্ছে তা যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে জল–তল এত নেবে যাবে যে ভবিষ্যতে সেচের জলের অভাবে সমস্ত ফসল ও গাছপালা মরে যাবে৷ চাষীদের এই সমস্যা সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে৷ নদীর জলকে সেচের কাজে লাগানোটাই সর্বোত্তম উপায়৷৪৭

প্রাউটের সমাজ আন্দোলন

প্রভাত খাঁ

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

সঙ্গীতবিদ্ প্রাণী ও বাজনদার কীট–পতঙ্গদের ইতিকথা

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সঙ্গীত গাইতে শিখেছে, আর এই সঙ্গীত গেয়ে মানুষ নিজে আনন্দ পেয়েছে ও অন্যকেও সঙ্গীত শুণিয়ে আনন্দ দিতে শিখেছে৷ এরপর যখন মানুষ বাদ্যযন্ত্র তৈরী করতে শিখল তখন থেকে ওই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ পেয়েছে ও মানুষকে আনন্দ দিয়েছে৷

আচার্য রামানন্দ দাসের প্রয়াণে

খগেনচন্দ্র দাস

ছান্দোগ্য উপনিষদের ঋ ষি বলছেন, ‘জীব কর্ত্তৃক  পরিত্যক্ত হইলে এই দেহ মরিয়া যায়, কিন্তু জীব মরে না৷’ আমরা এই ঋষি উক্তির ব্যবহারিক সত্যতা খুঁজে পাই ঋষি অরবিন্দর একটি বাক্যে, ‘প্রবহমান কালের মধ্যে যদি পরিণামের একটি পর্ব দেখতে পাই, তাহলে তার অতীত আরও পর্ব ছিল– একথা অনস্বীকার্য৷ অতএব এ–জীবনে জীব যদি একটা পরিণত ব্যক্তিভাব নিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তাহলে এখানে হোক আর যেখানেই হোক, পূর্ব জন্মে এর জন্য একটা প্রস্তুতির পর্ব অবশ্যই ছিল৷’’ (দিব্য–জীবন, শ্রী অরবিন্দ, পৃঃ৬৬৭) শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ঠিক এই কথাটিই পুস্তকে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কার্যসূচীতে বলেছেন–(‘‘হে পরমেশ্বর, তাঁর অমর আত্মা উত্তরোত্তর প্রসার লা