July 2024

কাঁথিতে মেডিকেল ক্যাম্প

গত ২০ শে মে কাঁথি ৩ নং ব্লকের কুমিরদা অঞ্চলে অবস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ, জ্যেঠাইবাড়ী ইউনিটের ব্যাবস্থাপনায় ও ভি এস এস, পূর্ব মেদিনীপুর ভূক্তির উদ্যোগে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়৷ উক্ত ক্যাম্পে চিকিৎসা করেন উত্তর আমেরিকার হাইতি দেশ থেকে আগত প্রখ্যাত জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. পরমেশ ,এম. ডি. মেডিসিন, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আচার্য ইন্দুভূষন ও জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা.

মহাসমারোহে কাঁথিতে উদযাপিত হল আনন্দ পূর্নিমা-২০২৪

গত ২৩ শে মে ,কাঁথি ঃ সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি ইউনিটের সাথে সাথে কাঁথি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ইউনিটেও আজ মহাসমারোহে পবিত্রতার সঙ্গে পালিত হল আনন্দ পূর্নিমা - আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তিজীর ১০৩ তম জন্মতিথি৷ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬ টা ৭ মিনিটে বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও আভা রানী দেবীর কোল আলো করে আবির্ভূত হন প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ ১৯৩৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি প্রথম ধর্মগুরু তথা আধ্যাত্মিক গুরু হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করেন৷ ঐ বছর শ্রাবণী পূর্নিমার তিথিতে গঙ্গার কাশিমিত্র ঘাটে প্রথম কলিকাতার কুখ্যাত ডাকাত কালীচরণ বন্

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে সাড়ম্বরে পালিত হল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৩ তম জন্মতিথি

গত ২৩শে মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলা ভুক্তিকমিটির উদ্যোগে ও জেলার সমস্ত মার্গী দাদা-দিদি, ভাই-বোনের অকুন্ঠ উৎসাহ ও উদ্দিপনায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ১৫০শোর্ধ ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ঘুর্ণীর মোড়ে হালদার পাড়ায় অবস্থিত পরমারাধ্য মার্গ গুরুদেবের বাসগৃহ ‘মধুপর্র্ণ’য় ভোর ৫টা থেকেই একটি ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারম্বরে পালিত হল ‘‘শুভ আনন্দপূর্ণিমা’’ অনুষ্ঠান৷ শ্রীমতী তাপসী মুখার্জ্জীর পরিচালনায় প্রভাতসঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘‘বাবানাম্‌ কেবলম্‌’’ কীর্ত্তন এর পরে ঠিক সকাল ৬টা ০৭মিঃ পরমারাধ্য মাগরুদেবের ১০৩ তম জন্মমুহূর্তে শঙ্খধবনি, উলুধবনি সহ ১০৩ টি প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্

মেদিনীপুরে RAWA উদ্যোগে ১মবর্ষ ছড়া বলা প্রতিযোগিতা

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার এর ১০৩ তম শুভ জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরে অনুষ্ঠিত হল’ ছড়া বলা প্রতিযোগিতা৷ শহরের কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ স্কুলে সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয় প্রথম বর্ষ ছড়া বলা প্রতিযোগিতা৷ শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের ‘তাড়া বাঁধা ছড়া’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া ‘জীব ঈশ্বরের সৃষ্টি’ ছড়াটির উপর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ৫১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও অতিথি বরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ বিচারকগণের বিচারে সেরা পনের জন প্রতিযোগী হল সমৃদ্ধি মাতববর, সুপ্রভা পট্টনায়ক,ঐশী নায়েক, আরাধ্যা আচার্যা,ঐশানী সিং,

মেদিনীপুরে মার্গগুরুদেবের জন্মোৎসব উদযাপন

মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০৩ তম শুভ জন্মোৎসব নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয় ২৩ শে মে, বৃহস্পতিবার শহরের কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ জাগৃতিতে৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর ৫টায় পাঞ্চজন্যের মধ্য দিয়ে৷ সকাল ৬টা ৭ মিনিটে জন্ম মূহুর্তে শঙ্খধবনি, উলুধবনি ও জয়ধবনি দেওয়া হয়৷ জন্মদিনের প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ কীর্তিলেখা আচার্যা৷ এছাড়াও প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপর্ণা দত্ত, মমতা পাল ও ধৃতি পাল৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান এর পরে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ও সংস্কৃতে আনন্দ বাণী পাঠ করেন পুষ্প ঘোষ,বিশ্ব দেব মুখোপাধ্যায়, আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত ও যূথিকা চন্দ্র৷ বাবার

হাওড়ায় বিপুল উৎসাহে মার্গগুরুদেবের জন্মোৎসব পালন

গত ২৩শে মে হাওড়া জেলায় বিপুল সমারোহে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকি পালন করা হয়৷

এইদিন রাণীহাটিতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মার্গগুরুদেবের জন্মদিবস পালিত হয়৷ পাঁচলা জগৎবল্লভপুর প্রভৃতি গ্রামে গ্রামে ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন পরিবেশন ও প্রচারপত্র বিলি করা হয়৷ এখানে সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেলার ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷ একইভাবে মার্গগুরুদেবের জন্মবার্ষিকি পালন করা হয় ডোমজুড়, আমতা, সুলতানপুর প্রভৃতি অঞ্চলে৷ ডোমজুড়ে পরিচালনায় ছিলেন সেবা ধর্ম মিশনের ভুক্তিপ্রধান সুশান্ত শীল, আমতা সুচিত্রা রীত প্রমুখ৷

দীঘায় পর্র্দপন দিবস পালন

জগদগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষে গত ৪ঠা ও ৫ই মে দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে ২৪ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড বাবানাম কেবলম নামসংকীর্তন অনুষ্ঠিত হল৷ আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, দেবাত্মানন্দ অবধূত, মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, সুবোধানন্দ অবধূত, কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ বিভুকনা আচার্যা প্রমুখ দাদা-দিদি ও বিশিষ্ট মার্গীদের উপস্থিতিতে বাবা কোয়ার্টার কয়েকদিনের জন্য চাঁদের হাটে পরিনত হয়েছিল৷ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, কোলকাতা প্রভৃতি জেলা থেকে বহু মার্গী ভাই-বোন উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সমস্ত রকম অসুবিধাকে মানিয়ে নিয়ে মার্গীরা বাবার উপস্থিতি ও কীর্ত্তন রস আস্বাদন করে নিজেদের

রাসবিহারী বসু

শ্রীমাখনলাল রায়চৌধুরী

১৯১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর দিল্লীতে বিপ্লবী বসন্ত বিশ্বাসের দ্বারা বড়োলাট হার্ডিঞ্জের ওপর যে বোমা নিক্ষেপ করা হয় (মূলত এতে তার হস্তী চালকের মৃত্যু হয়, বড়োলাটের পিঠে গভীর ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়), তার মূল কারিগর ছিলেন ইনিই৷ একথা বেশ কিছুদিন চাপা থাকলেও তিনিই যে এই বোমা কাণ্ডের নায়ক - তা পুলিশের অগোচরে রইলো না আর৷ তাঁকে ধরার জন্য অনেক টাকা পুরষ্কার স্বরূপ ঘোষিত হল৷ অতঃপর ১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সর্বদলীয় বিপ্লবী সম্মেলনের কলকাতা অধিবেশনে স্থির হল যে - ১৯১৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বাধীন ভারত ঘোষণা করা হবে৷ সেইদিন এই মহান মানুষটি পশ্চিম ভারতে বিপ্লবের কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন৷ বাঙলার ভার ছিলো যতীন্দ্রনাথ

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো

Benincasa cerifera Savi

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ৰাংলায় অনেকে চালকুমড়োও ৰলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ৰেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ৰেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

লিচুরও ইতিকথা আছে

লিচু ভারতে এসেছিল সম্ভবতঃ বৌদ্ধযুগে৷ ভারত ও চীন উভয়েরই দেশজ ফল হচ্ছে অংশুফলম৷ ফলটির অনেক নামের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে অংশুফল্৷ এই আঁশফল গাছের পাতা দেখতে লিচু পাতার মত নয়–কিছুটা গোলাকার.......লিচুর চেয়ে একট ছোটও৷ গাছ কিন্তু লিচু গাছের চেয়ে অনেক বড় হয়.....বট, পাকুড়, অশ্বত্থের মত হয়ে যায় বীজ লিচুর চেয়ে কিছুটা ছোট কিছুটা চ্যাপ্ঢা হয়৷ ফল মিষ্টি হলেও তাতে উৎকট ঝাঁঝ ও গন্ধ থাকে৷ ছোটরা ভালবেসে খেলেও বড়রা পছন্দ করেন না৷ এই আঁশফল বাংলার একটি সাবেকি ফল–ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়৷ চীন এই আঁশফল নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করে তৈরী করেছিল লিচু৷ বর্তমান পৃথিবীতে চীনের লিচুই সবচেয়ে বড় আকারের, অধিক রসযুক্ত ও সুস্বাদু৷ চী