September 2024

শ্রদ্ধার্ঘ্য

কৌশিক খাটুয়া

সভ্যতার আলোকবর্তিকা

 যাঁরা পৃথিবীকে দেখায়,

তাঁর মধ্যে অন্যতম শিক্ষক৷

 তাঁরা শিক্ষক, তাঁরা পরীক্ষক,

ছাত্র তথা সমাজের

 চিরন্তন অভিভাবক৷

একটি মানুষ সমাজের এক একক,

উপযুক্ত পরিচর্যায় হয় পথ প্রদর্শক৷

একাধিক মানুষ নিয়ে

                   গড়ে ওঠে সমাজ,

সু-শিক্ষা ও সংস্কৃতি

                   সেথা করুক বিরাজ৷

শিক্ষায়, দীক্ষায়,

          সংস্কৃতিতে হলে অগ্রগণ্য,

সমাজ ও দেশ হয় ধন্য ধন্য!

শিক্ষকের নাই কোনো দেশ-কাল-পাত্র,

সবাইতো একান্ত অনুগত ছাত্র৷

রাজনৈতিক দ্বিচারিতা ভারতীয় কমিউনিস্টদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

মনোজ দেব

স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি রাজনৈতিক দ্বিচারিতায় ভুগছে, তাদের তত্ত্বে ও কর্মে দুমুখো নীতি খুবই স্পষ্ট৷ কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তাহারে কাল মার্কস বলেছেন কমিউনিজমকে এক কথায় বললে---‘পুঁজিবাদের উচ্ছেদ’৷ ভারতের কমিউনিস্ট নেতারা সাধারণ কর্মী সমর্থকদের সামনে পুঁজিবাদ বিরোধী লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখলেও তলে তলে পুঁজিবাদকে তোষণ করে চলেছে৷ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও চেয়েছিলেন৷ তাই তৎকালীন পুঁজিপতিদের অর্থে পরিচালিত জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধী লবির নেতৃত্ব সুভাষ চন্দ্রের বিরোধিতা করেছিল, সুভাষচন্দ্রকে কংগ্রেস ও দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল৷ সমাজতন্ত

শিশু শিক্ষার গুরুত্ব ও বিষয় বুঝতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের

প্রভাত খাঁ

‘অপরাজিতা’ আইন এই পশ্চিম বাঙলার বিধানসভায় পাশ হলো৷ কিন্তু এটি যে কবে বলবৎ হবে সেটা কিন্তু অনিশ্চিত বিষয়৷ এটি যাবে সেই রাজ্যপালের টেবিলে৷ তিনি যে স্বাক্ষর তাড়াতাড়ি করবেন সেটার সম্বন্ধে এই সমস্যা সংকুল বাঙলার অনেক নাগরিকের মনে প্রশ্ণ উঠছে! কারণ রাজ্যের অনেক বিলই রাজ্যপালের টেবিলে পড়ে পড়ে পুরাতন হয়ে যাচ্ছে তাতে মহান রাজ্যপাল নানা অদৃশ্য কারণেই কলম ঠেকাচ্ছে না! কারণ তিনি যে প্রভুদের নির্দেশে এসেছেন তাঁরা দিল্লিশ্বর! সেখান থেকে ইঙ্গিত এলে তবে কলমের চালকের হাত নড়বে!

আর.জি.কর--- সমস্যা ও সমাধান

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আর.জি.কর কোন বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়৷ সারা দেশে, শুধু দেশ কেন সমগ্র মানব সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে এই ধরণের নারকীয় ঘটনা৷ অর্থনৈতিক বৈষম্য, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়, সামাজিক ভেদবিদ্বেষ নৈতিক অধঃপতনে মানব সমাজ এক জটিল সমস্যার সম্মুখীন৷ এই সমস্যার আশু সমাধান না করলে মানবজাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হবে৷

মাতৃজাতির নিরাপত্তা নেই রাষ্ট্রে

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

আমরা কোথায় বাস করছি ৷ এটা কি সত্যই একটি সার্থক যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না একটা হিংস্র মগের রাজ্য? যে দেশে মাতৃ জাতির সামান্যতম সম্মানটুকু সরকার রক্ষা করতে ব্যর্থ সেই সরকারের শাসন ক্ষমতায় থাকার কোন যোগ্যতাই নেই৷ দেশে কোন শাসন ব্যবস্থা আছে বলে মনে হয় না৷ এ কোন বর্বরতার শাসন দেশে চলছে? আর.জি.কর শুধু কেন, অন্য রাজ্যগুলোতে টিভি খুল্লেই, সংবাদপত্র পড়লেই দেখা যায় এমন কোনদিন নেই যেদিন হতভাগ্যগিনী মাতৃজাতির প্রতি এই দেশে নির্যাতন নিপীড়ণ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না৷ কিছু মানুষতো পশুর চেয়ে অধম৷ তারা শিশু মেয়েদের নির্যাতন থেকে রেহাই দেয় না৷ স্বরাষ্ট্র দফতরের কাজটা কী?

অপরাজিতা বিল মনের রোগ নিরাময় করতে পারবে না

তপোময় বিশ্বাস

‘অভয়া’-র খুন ও ধর্ষণের প্রকৃত বিচারের ব্যাপারে আমিও ব্যষ্টিগতভাবে খুবই উদ্বিগ্ণ৷ আমিও চাই প্রকৃত বিচার হোক, দোষীরা শাস্তি পাক৷ তথাপি এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে তা হল অভয়া-র ধর্ষক হল সিভিক ভলেন্টিয়ার সাঞ্জায় রাই (সঞ্জয় রায় নয় মোটেই) কিছু চাটুকার মিডিয়া ‘‘সাঞ্জায় রাই’’কে সঞ্জয় রায় বানিয়ে বাঙালীদের মধ্যে গুলিয়ে দিতে চায় যে সাঞ্জায় গুটকাসেবক অবাঙালী নয়, সে বাঙালীই৷