September 2024

জনার্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাদপুর চক্রের অন্তর্গত জনার্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩শে আগস্ট, শুক্রবার রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত পঞ্চম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ মেঘলা দিনে জমে উঠেছিল গল্প বলা প্রতিযোগিতা৷ ২২জন প্রতিযোগী মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এর অনুনাসিকতা গল্পটি তাদের নিজস্ব ভঙ্গীমায় উপস্থাপন করে৷ ফলাফল ঘোষণার আগে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র গৌরাঙ্গ সামন্ত ‘বানর ও কুমিরের’গল্পটি সকলের সামনে সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে৷RAWA সংস্থার পক্ষ থেকে প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ মহাশয় ‘শেয়াল ও কুমিরের’ গল্প টি ছাত্র ছাত্রাদের শোনান৷ শিক্ষার্থীরা মনোযোগ স

অশোক

অশোক একটি ভারতীয় প্রজাতির (Indica) গাছ৷ অত্যুষ্ণ বা অতি শীতল অঞ্চল বাদে ভারতের সর্বত্রই অশোক গাছ জন্মায়৷ কেউ কেউ দেবদারু (ঢ়েউ খেলানো পাতা) গাছকে ভুল করে অশোক বলে থাকেন৷ না, দেবদারু ও অশোক এক গাছ নয়৷ দেবদারু (Indian pine) পাইন বর্গীয় গাছ, অশোক তা নয়৷ অশোক ফুল অধিকাংশ ক্ষেত্রে লালচে রঙের৷ কিন্তু শাদা, সোণালী ও হলদে রঙের অশোক ফুলও হয় যদিও তারা দুষ্প্রাপ্য৷ অশোক ফুল, ছাল ও মূল নানান ধরনের ঔষধ প্রস্তুতিতে লাগে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন স্ত্রী–ব্যাধিতে অশোকের ঔষধীয় গুণ সর্বজনস্বীকৃত৷ অশোকাসব, অশোকারিষ্ট, অশোকক্ষীর প্রভৃতি ঔষধগুলি এই অশোক থেকেই প্রস্তুত হয়৷ সূতিকা রোগে অশোকাসব ঃ গর্ভবতী নারী এক বল্কা ঙ্ম

কর্ষক

এমনিতে যাঁরা চাষবাস নিয়ে থাকেন তাঁদের জন্যে সংস্কৃত ভাষায় বেশি প্রচলিত শব্দ দু’টি রয়েছে–কৃষীবল ও কর্ষক৷ ‘কর্ষক’ শব্দটি কৃষ ধাতু থেকে উৎপন্ন৷ যাঁরা এই কর্ষককে ‘কৃষক’ বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা না জেনেই এই ভুল করেছেন৷ আর যাঁরা আজও ‘কৃষক’ লেখেন তাঁরা ভুলকে ভুল না জেনেই লেখেন৷ আমরা ‘আকর্ষক’ ‘বিকর্ষক’ বলবার সময় ঠিক বলি কিন্তু কেন বুঝি না ‘কর্ষক’ বলবার সময় ভুল করে কৃষক বলে ফেলি৷

অসংস্কৃতি

‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ ক্তিন্ ঞ্চ সংস্কৃতি যার মানে যা মানুষকে সূক্ষ্মত্বের দিকে, রুচিবোধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়) মানেই ‘কৃতি’–র উন্নতাবস্থায় অধিরোহণ৷ ‘অপ’ মানে অবনত অবস্থা৷ একসঙ্গে দু’টো চলবে কি করে! এ সোণার পাথর বাটি হয়ে গেল যে! আবার ‘অপকৃতি’–র মানে ‘কুকার্য’ও হয়৷ তাই সংস্কৃতির বিপরীত শব্দ হিসেবে বরং ‘অসংস্কৃতি’ শব্দটা চলতে পারে৷ কেননা ‘সম্’ উপসর্গ সাধারণতঃ ভাল বা শুভ অর্থে প্রযোজ্য হয়৷ তাই ‘অপসংস্কৃতি’ শব্দটি অশুদ্ধ৷

ও, আর/এবং

সংযোজক ‘ও’–এর পরিবর্ত্তে অনেকে প্রায়শঃ ‘এবং’ শব্দটির ব্যবহার করে থাকেন৷ কিন্তু ‘এবং’ মানে ‘ও’ নয়৷ ‘এবং’ বাংলা শব্দও নয় এটি একটি সংস্কৃত শব্দ, যার মানে ‘এইভাবে’, ‘এইরকমে’৷ যেমন, ‘এবং কুরু’ মানে এইভাবে করো৷ সুতরাং ‘ও’–র পরিবর্ত্তে ‘এবং’ প্রয়োগ করলে চলৰে না৷ পরিবর্ত্তে ‘ও’ বা ‘আর’ লিখলেই ভাল হয়৷

সরব/সোচ্চার

আজকাল বহু শিক্ষিত মানুষও ‘সরব’ (vocal) ৰোঝাতে গিয়ে ‘সোচ্চার’ কথাটা প্রায়শঃ লিখে থাকেন বা ৰলে থাকেন৷ শব্দটা আগাপাস্তলা ভুল৷ উচ্চারূণঞ্চঔচ্চার৷ ‘উচ্চার’ মানে ‘বিষ্ঠা’৷ ‘ঔচ্চার’ মানে ‘বিষ্ঠা সম্বন্ধীয়’৷ উচ্চারেণ সহ ইত্যর্থে ‘সোচ্চার’ (তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস) যার মানে হচ্ছে যিনি মলত্যাগ করেছেন কিন্তু এখনও জলশৌচ করেননি৷ মলত্যাগকালে কোঁথ দেওয়াকেও ‘উচ্চার’ ৰলা হয়৷ অতএব ‘সোচ্চার’ শব্দের আরেকটি মানে হ’ল যে মলত্যাগ করবার জন্যে কোঁথ দিচ্ছে৷ কেবল সংস্কৃত বা ৰাংলা ব্যাকরণেই নয়, ৰাংলা ভাষায় অন্য ভাষার যে সব শব্দ আছে সেগুলো একটু মানে ৰুঝে ব্যবহার করলে ভাল হয়৷

মুদ্রাঙ্কিত/মুদ্রিত

ছাপ মারার ফারসী হচ্ছে ‘মোহর’, সংস্কৃতে ‘মুদ্রাঙ্কন’৷ ৰই ছাপানোটাও কাগজে ছাপ মারা৷ তাই ৰই ছাপানোকেও ৰলতে হবে ‘মুদ্রাঙ্কন’, বা পুস্তক ‘মুদ্রাঙ্কিত’ হয়েছে৷ সংস্কৃত ‘মুদ্রিত’ মানে ‘মোদা’ বা ৰোজা বা ‘ৰন্ধ করা’৷ পুস্তক ‘মুদ্রিত হয়েছে’ মানে ৰইটাকে ৰন্ধ করা হয়েছে৷ অনেক ৰইয়েতে লেখা থাকে–‘‘অমুক প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত৷’’ এরূপ না লেখাই উচিত৷ লেখা উচিত ‘‘অমুক প্রেস থেকে মুদ্রাঙ্কিত ও প্রকাশিত’’৷

অভিজাত/সম্ভ্রান্ত

অনেকে বনেদি বা অভিজাত অর্থে ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দটি প্রয়োগ করে থাকেন৷ আসলে ‘সম্ভ্রান্ত’ মানে ‘সম্যক রূপে ভ্রান্ত’৷ মানে, যে বড় রকমের ভুল করে ফেলেছে৷ তাই অভিজাত অর্থে ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দের ব্যবহার রহিত হওয়া বাঞ্ছনীয়৷

ভৌতিক–‘ভুত’

(ghost) সংক্রান্ত অর্থে ‘ভৌতিক’ শব্দ ব্যবহার না হওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ বাংলায় যাকে ভুত বলি তার সংস্কৃত হচ্ছে ‘প্রেত’৷ প্রেত থেকে ‘প্রৈতিক’ শব্দ আসতে পারে যদিও তার ব্যবহার খুবই সীমিত৷ ন্ধড়প্সব্দব্ধ অর্থে ‘ভুত’ শব্দটা যদি রাখতেই হয় তাহলে তার বিশেষণ হোক ‘ভুতুড়ে’–ভৌতিক নয়৷ সংস্কৃত ‘ভূত’ শব্দের ‘ঠ’ ক্ বা ‘ষ্ণিক্’ প্রতয়্যান্ত বিশেষণ ভৌতিক’ (Physical)৷

ভয়

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

পথে যেতে যেতে থমকে দাঁড়াই

দেখি পিছে তুমি আছো কিনা---

সোয়াস্তি নাই, নাইকো শান্তি

ক্ষণে ক্ষণে থামে মনোবীণা৷

ধূলি ধুসরিত পথে যাই হেঁটে,

চলার ছন্দ শুধু যায় কেটে,

এলোমেলো যত ভাবনার দায়ে

নিজেরেই নিজে করি ঘৃণা৷

মনের দেউলে খুঁজি গো তোমায়,

তোমা হতে যে গো গেছি সরি,

যত দূরে যাই পিছু ফিরে চাই

হারিয়ে তোমায় কেঁদে মরি৷

মুদিত নয়নে শয়নে স্বপনে

ধরিতে চাই গো তোমায় মননে

বড় ভয় জাগে পাছে যাও চলে

দেখি পিছে তুমি আছো কিনা৷