February 2025
জ্ঞান ও কর্মের ত্রুটি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
মানুষের অভীষ্ট পরমপুরুষকে লাভ করতে জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি তিনেরই প্রয়োজন৷ জ্ঞান ও কর্মের মাধ্যমে ভক্তির জাগরণ হয়৷ আর এই ভক্তিই মানুষকে ভুমানন্দ প্রাপ্তির পানে নিয়ে চলে৷
ভক্তি ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত কিন্তু জ্ঞান ও কর্ম তা নয়৷ জ্ঞানলাভ প্রায়শঃই মানুষকে অলস ও অহংকারী রূপে তৈরী করে৷ আর কর্মও মানুষের মধ্যে আনে আত্মম্ভরিতা৷ সাধক এই দু’য়ের ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে না পারলে কেবলা ভক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় না যা পরমপুরুষকে পাবার জন্যে অতীব প্রয়োজন৷ তাই ৰুদ্ধিমান সাধক সেই উপায়ই অবলম্বন করবে যা তাকে জ্ঞান ও কর্মের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখবে৷
কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ংনির্ভরতা
কৃষি সম্পর্কে এই সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী থাকলে তবেই কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ংনির্ভরতা অর্জন করা সম্ভব৷ আর এই নীতিই আমাদের গ্রহণ করা উচিত৷
কৃষি (Agriculture) বলতে ৰোঝায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে জমি চাষ, পশুপালন ইত্যাদি৷ মুখ্য ফসলের উৎপাদন এর অন্তর্ভুক্ত –– যেমন, বিভিন্ন রকমের ডালশস্য, খাদ্যশস্য, মোটাদানার শস্য, তৈলৰীজ, ইক্ষু ও শাকসব্জী ইত্যাদির উৎপাদন৷ ডাল থেকে শরীরের জন্যে অত্যাবশ্যক প্রোটিন তো পাওয়া যায়ই, তাছাড়া ডালচাষ জমিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা প্রাকৃতিক ভাবে ৰাড়িয়ে দেয়৷ ডালচাষে অবশ্য ক্যালসিয়াম ফসফেট, পটাশ ইত্যাদি সার প্রয়োগেরও দরকার হয়৷
ঢেঁকি
ঢেঁকি ঃ ‘ঢেঁকি’ মানে ভারী বস্তু৷ প্রাচীনকালে আর্যরা যখন ভারতে এসেছিল তারা তখন যব, রাই ও অন্যান্য শস্যের খোসা ছাড়ানোর জন্যে উদূখল্ (উখ্ড়ি) ব্যবহার করত৷ ভারতের সাবেকী ৰাসিন্দারা ব্যবহার করত ঢেঁকি৷ উখ্ড়ি চালাতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ঢেঁকিতে পাট দিতে গেলে তার চেয়ে অনেক কম শক্তির প্রয়োজন৷ তাই কালক্রমে, ঢেঁকি উদূখল্কে স্থানচূ্যত করলে৷ ঢেঁকির কোন সংস্কৃত প্রতিশব্দ নেই৷
ধানের তুষ ছাড়াবার অথবা ধান থেকে চিড়ে তৈরী করবার এক একটি দেশীয় যন্ত্রবিশেষ৷ ঢেঁকি একটি অনার্য উপকরণ৷
সেয়ানে সেয়ানে
‘চাবি’ শব্দটি আমরা পোর্তুগীজদের কাছ থেকে পেয়েছি৷ এঁদের ভাষায় ‘cha’–এর উচ্চারণ কতকটা ‘শ’–এর মত৷ তাই ‘চাবি’–কে আমি স্পেন ও পোর্তুগাল দু’য়েতেই ‘শাবি’ উচ্চারণ করতে শুনেছি৷ আজ এই ‘চাবি’ শব্দটি বাঙলা তথা সমগ্র উত্তর ভারতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত৷ অথচ আজ থেকে ৪৫০ বছর আগেও শব্দটির সঙ্গে এদেশের কারো পরিচয় ছিল না৷ উত্তর–ভারতে ‘চাবি’–কে বলা হত ‘কুঞ্জী’ আর বাঙলায় বলা হত ‘কাঠি’৷ তালা–চাবিকে রাঢ়ে এখনও কেউ কেউ ‘কুলুপ–কাঠি’ বলে থাকেন৷ এমনকি যাঁরা ‘চাবি’ বলেন তাঁরাও কেউ কেউ ‘চাবিকাঠি’ বলে থাকেন৷ বলেন–সিন্দুকটি তোমার চাবিকাঠিটি আমার৷ ‘কুঞ্জী’ শব্দটি এককালে উর্দু ভাষায় ব্যাপকভাবে চলত৷ আজ তার প্রভাব কমে এসেছে৷ সেই
ধরা আর সরা
দেশজ শব্দে ‘ট’ যথাযথভাবেই বজায় থাকে৷ আর ‘ড’ বা ‘ড়’ মৌলিক শব্দ হিসেবেই থেকে যায়৷ যেমন, আজ ভুলোর সঙ্গে ভোঁদার আড়ি হয়ে গেল৷ ওরা বলছে, ওরা আর একসঙ্গে মার্ৰেল খেলবে না, একটা পেয়ারাও আর কামড়াকামড়ি করে খাবে না৷ গোপনে কান পেতে শোনাকেও আড়িপাতা বলে৷ এটিও বাংলা দেশজ শব্দ৷
মোদির বিকাশীল ভারতকে আশঙ্কার কথা শোণাল আই.এম.এফ
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (ইন্টার ন্যাশনাল মনিটারি ফাণ্ড) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিষ্টালিনা জর্জিয়েভা ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন---২০২৫ সালে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল থাকবে৷ তাঁর কথায় আমেরিকা অর্থনীতিতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে৷ তবে আগামী ২০শে জানুয়ারী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন বাণিজ্য নীতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী এক অনিশ্চয়তা দেখা দেবে৷ ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি জানার জন্যে অপেক্ষা করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা৷ তবে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কোন কারণ জানায়নি জর্জিয়েভা৷
নিউব্যারাকপুরে মার্গগুরু দেবের পদার্পণ দিবস
১৯৭৯ সালের ১৪ই জানুয়ারী আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী উঃ২৪পরগণা জেলার নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন৷
শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি তাঁর পার্থিব দেহত্যাগ করার পর থেকে প্রতিবছর ১৪ই জানুয়ারী নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গগুরুদেবের পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷
ক্যালিফর্নিয়ার আল্টাডেনায় দাবানল
লস অ্যাঞ্জেলসের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷ তার সঙ্গে হাওয়ার গতিবেগ বেশী থাকায় আগুন হু হু করে ছড়াচ্ছে৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪০ হাজার একেররও বেশি এলাকা পুড়ে গিয়েছে৷ আগুনের গ্রাসে পুরোপুরি ভস্মীভূত ১২ হাজারর বাড়ি৷ ভিটোমাটিছাড়া এক লক্ষেরও বেশি মানুষ৷
কয়েকটি জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও আরও ছ’টি জায়গায় আগুন জ্বলছে৷ তার মধ্যে রয়েছে পালিসেডস, ইটন, কেনেথ, লিডিয়া, হার্স এবং আর্চার৷ পালিসেডে আরও ১০০০ একরে নতুন করে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে৷ সেখানে ২২ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে গিয়েছে৷ পাঁচ হাজার বাড়ি ভস্মীভূত৷
কর্মীদের মনের জোর ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আগুন গিলে খাওয়ার নিদান দিল চিনের সংস্থা
কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করার একটি অংশ হিসাবে এই অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি৷ সংস্থারই এক কর্মী এই তথ্যটি ফাঁস করে দেওয়ার ফলে সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কর্মীর দাবি, সংস্থাটি কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এবং ভয়কে জয় করার পদ্ধতি হিসাবে আগুন খেতে বাধ্য করেছে৷ ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রংরং নামের এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এই আজব নির্দেশের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের মুখে একটি জ্বলন্ত তুলোর টুকরো ফেলার নির্দেশ দেয় ওই সংস্থা৷