অসমে এন.আর.সি তালিকা থেকে আরও  লক্ষাধিক নাম বাদ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসমের নাগরিকপঞ্জীর নূতন তালিকা থেকে আবার লক্ষাধিক বাঙালীর নাম বাদ পড়ল৷ আগে ৪০ লক্ষ ৭হাজার  ৭০৭ জনের  নাম বাদ পড়ে গিয়েছিল৷ এবার তার সঙ্গে আরও ১ লক্ষ ২হাজার ৪৬২ জনের নাম বাদ পড়ল৷ অর্থাৎ মোট বাদ পড়ল ৪১,১০,১৬৯ জনের  নাম৷

বলা বাহুল্য, অসমের উগ্র অসমীয়াদের সন্তুষ্ট করতেই এইভাবে  অসমে  স্থায়ী বসবাসরত  লক্ষ লক্ষ মানুষকে  বিদেশী বলে চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷

এই নাগরিকপঞ্জী থেকে বাংলাভাষী হিন্দু ও মুসলমান ছাড়াও কিছু কিছু অন্যান্য ভাষাভাষীও রয়েছে৷ যেমন বর্তমানে অসমের শোণিতপুরের বাসিন্দা  অমিলা শাহ (৪০)৷ তাঁর পিতা  কেশবপ্রসাদ  গুপ্ত আদতে বিহারের নালন্দার বাসিন্দা৷ ১৯৪৮ সালে তাঁর  বাবা চা-বাগানে চাকরি নিয়ে অসমের  প্রতাপগড়ে আসেন৷ মহিলার ভাই (এঁর নাম নাগরিকপঞ্জীতে আছে) ভোলা শাহ বলেন , তাঁর  দিদি অমিলা শাহের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সবই অসমে৷

বাবা মারা যাওয়ার পর মাায়ের সঙ্গেই তিনি থাকতেন৷ উনি (মা)  তেজপুর  আদালতে  এসবের  বৈধ কাগজপত্র দাখিল করা সত্ত্বেও তাঁকে  বিদেশী বলে চিহ্ণিত  করা হয়েছে৷ তাঁর অভিযোগ ভারতীয়  হলে কি অসমের নাগরিক হতে পারবে না? এ ব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রী সর্র্বনন্দ সোনেওয়ালকে  চিঠি লিখবেন  ও তাঁর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করবেন৷  এইভাবে, দেশের  প্রাক্তন  সেনা অফিসার  ও কার্গিল যুদ্ধের  নায়ক মহম্মদ  সানাউল্লাহকে সম্প্রতি বিদেশী বলে পুলিশ  আটক করেছে৷ অবশ্য গত ৭ই জুন  গুয়াহাটি  আদালত তাঁকে  জামিনে মুক্তি  দিয়েছে৷

এক কথায়  অসমে  নাগরিকপঞ্জী তৈরী নিয়ে খামখেয়ালী চলছে ও তাদের খামখেয়ালীপনার  জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে ডিটেনসন ক্যাম্পে (জেলে) চরমভাবে নির্যাতীত হতে হচ্ছে৷ নোতুন করে যাদের নাম খসড়া তালিকা  থেকে বাদ গেছে যদিও তাদের  ৫ই জুলাই থেকে পুনরাবেদনের  সুযোগ  দেওয়া হচ্ছে, তবে এতে কোন লাভ হবে না, কেবল হয়রানি  বাড়বেই বলেই ভুক্তভোগীদের  ধারণা৷