আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ এক সাক্ষাৎকারে বলেন বিজেপির বহিরাগত পরিযায়ী নেতারা বাঙলায় এসে সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন আত্মনির্ভরতার বুলি প্রচার করছেন৷ তবে এসব দিল্লীকা লাড্ডুতে বাঙালী বিশ্বাস করে না৷ যারা বিশ বছরে গুজরাট সোনার করতে পারল না তারা আবার সোনার বাঙলা গড়বে! তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার অর্থ কি বোঝেন৷ উনি পঙ্গুকে পায়ে হেঁটে পর্বত অতিক্রমের উপদেশ দিচ্ছেন৷ উনি দেশের রুগ্ণ অর্থনীতিকে সাত বছরে পঙ্গু করে দিয়েছেন৷ গোটা দেশটাই ধনকুবেরদের কাছে বেচে দেবার মতলব করেছেন৷ আর জনগণকে আত্মনির্ভরতার ধোঁকা দিচ্ছেন৷
শ্রী দাশ বলেন প্রধানমন্ত্রী ধনকুবেরদের প্রতিনিধি৷ দেশকে আত্মনির্ভর করার রাস্তা ওনার জানা নেই৷ অবশ্য আত্মনির্ভর বলতে উনি যদি আম্বানি আদানি নির্ভর মনে করেন তবে তো কিছু বলার নেই৷
প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন--- দেশের অর্থনৈতিক পরিভূতে এখনও চরম দারিদ্র্য, ও জীবনযাত্রার মানও অতিনিম্ন৷ আজও দেশের জনগণের বৃহৎ অংশ খাদ্যের অভাবে, বস্ত্রের অভাবে, শিক্ষার অভাবে বাসস্থানের অভাবে অভিশপ্ত জীবনের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে৷
তিনি বলেন-প্রকৃতির অঢেল আশীর্বাদে সম্পদের অভাব নেই৷ কিন্তু শুভবুদ্ধির অভাবে, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে, মানুষকে দুর্ভোগ ভুগতে হচ্ছে৷ যেখানে মানুষের জীবন ধারনের নূ্যনতম চাহিদাগুলিই পূরণ হয়নি সেখানে আত্মনির্ভরতার বুলি অসার তত্ত্ব কথার কচকচানি৷ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণ করতে হলে অর্থনীতিকে তত্ত্ব কথার কচকচানি ছেড়ে বাস্তবমুখী হতে হবে৷ এই মুহূর্ত্তে আত্মনির্ভর নয়, মানুষকে জীবনযাপনের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির নিশ্চিততা দিতে হবে৷ আর সেটা করতে হলে পুঁজিপতি নির্ভরতা ছেড়ে অর্থনীতিকে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত পথে চলতে হবে৷ দেশের সরকারের চাল চলনে সেরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ অর্থমন্ত্রী পুজিপতি নির্ভরতার কথা বলছেন আর প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলছেন৷ দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত মুখী পথ৷ অথচ সরকার একটাই যে বলছে পর্বতে চড়ার কথা, আর ছুটটে সাগরের দিকে৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অত্যন্ত জোরের সঙ্গে বলেন---প্রাউটের বাস্তবমুখী প্রয়োগভিত্তিক বিকেন্দ্রিক অর্থনীতি ছাড়া, আত্মনির্ভরতার অন্য কোন বিকল্প পথ নেই৷ তবে সবার আগে দরিদ্র্য মানুষের নূ্যনতম চাহিদাপুরণ করতে হবে৷