বাইলেন

লেখক
শঙ্কর

(ছোট বেলায় আমাদের দলপতি ছিল সজল৷ আর বিশ্বকর্মা ছিল শ্যামল৷ আমরা ওকে শ্যামলা বলে ডাকতাম৷ যে কোনো কাজ এক নিমেষে করে ফেলতে পারতো৷ উপস্থিত বুদ্ধিদাতা ছিল বিপুবা৷ প্রশান্ত, অসিত, শশধর আর আমি ছিলাম সহযোগী৷ বড়দের মত আচরণ করতো স্বপন আর প্রবীর৷ প্রত্যেক বন্ধুকে আজ এই লেখাটা উৎস্বর্গ করা!)

একটা সময় ছিল-যখন আমাদের বাড়ী

সাইডিং তার পাশেই ছিল, চলতো মালগাড়ী৷

খেলতে খেলতে চলে যেতাম বহুদুরের মাঠে

লাবতীর জঙ্গলেতে করমচা-র ঘাটে৷

ওইখানেতে খেজুর ফলে অনেক জামরুল

সেইখানেতেই বাস তাদের বোলতা-ভীমরুল৷

ভেলায় চেপে বৃষ্টি হলে খলসে মাছ ধরা

কাঁচের জারে সাজিয়ে তারে খুনসুটি খেলা সারা৷

চলতো কত হরেক রকম

এলাডিং বেলাডিং সৈ লো-মেলা

লুকোচুরি, কানামাছি গাদি আর খো খো খেলা৷

বনফুলেরই জঙ্গলেতে বানিয়ে একটা ছোট্ট ঘর

সেই ঘরেতে আমরা ক’জন কে আপন কে বা পর৷

ছোট্ট বেলার স্বপ্ণ ছিল অল্প কিছু চাওয়া

ঘুড়ি, গুলি, লাটু পেলে স্বপ্ণ পুরন পাওয়া৷