বিবেক ও মাইক্রোবাইটা

লেখক
শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আজকের প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় হল অনাহত চক্রস্থিত বৃত্তি---বিবেক’-এর সহিত মাইক্রোবাইটার সম্পর্ক৷ এখন বিবেক কাকে বলে? বিবেক সম্পর্কে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বিবেক হচ্ছে ভাল-মন্দ, শুভ-অশুভ, শ্রেয়-প্রেয় বিচার করার এক বিশেষ শক্তি৷ দুই বা তার বেশী ভাবের মধ্যে একটি ভাব গ্রহণ করার যে প্রচেষ্টা  সেই প্রচেষ্টার নামই হল বিচার৷ আর এই ভাব গ্রহণ করাটাকেই বলা হয়ে সিদ্ধান্ত

উদাহণস্বরূপ, ধরা যাক কোন এক ব্যষ্টিকে অপরাধী বলে উপস্থিত করা হল৷ এখন বিচার করতে হবে এই ব্যষ্টিটি (১) অপরাধী অথবা (২) নিরপরাধ কি না, এই দুটো ভাব৷ এই দুটো ভাবের মধ্যে বিচারে একটি ভাবকে গ্রহণ করা হল৷ তাহলে যে ভাবটি গ্রহণ করা হল সেটি হসিদ্ধান্ত

ধরা যাক, চোর কোন বাড়ীতে চুরি করতে গিয়ে কোন ঘরে সিঁদ কেটে চুরি করবে, দক্ষিণ দিকের ঘরে সিঁদ কাটবে, না উত্তর দিকের ঘরে সিঁদ কাটবে এর বিচার হল ও বিচারে চোর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল৷ এটা বিচার হল বটে কিন্তু বিবেক নয়৷ বিবেক বলা হবে সেই ধরণের বিচার যেখানে শ্রেয়ও  প্রেয়’-এই দুটি ভাবের মধ্যে থেকে শ্রেয়সিদ্ধান্তে পৌঁছাবার প্রয়াস থাকে৷

এখন শ্রেয় ও প্রেয় দুটি ভাবের মধ্যে শ্রেয় ভাবকে বিচার করে গ্রহণ করা অর্থাত্ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো এটাও অনাহত চক্রস্থিত বিবেকবৃত্তিকে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা দ্বারা উজ্জীবিত করার ফল৷ আর এই উজ্জীবিত বৃত্তি অনাহত চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থির মাধ্যমে ক্রিয়াশীল হয়৷ আমরা জানি যে বায়বীয় চক্র অর্থাত্ অনাহত চক্রে ১২টি বৃত্তি আছে৷ বৃত্তিগুলি হল---আশা, চিন্তা, চেষ্টা, মমতা, দম্ভ, বিবেক, বিকলতা, অহঙ্কার, লোলতা, কপটতা, বিতর্ক ও অনুতাপ৷ এই বৃত্তিগুলি অনাহত চক্রের সহিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রন্থি-উপগ্রন্থির মাধ্যমে অভিব্যপ্ত হচ্ছে৷ এই অনাহত চক্র হতেই জ্ঞান, বিবেক, বৈরাগ্য, মমতার বিকাশ ঘটে৷  এই অনাহত চক্র সাত্ত্বিক ভাবাপন্ন৷ তাই এখানে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের চাইতে পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম বেশী ক্রিয়াশীল৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম ক্রিয়াশীল হলে এই চক্র হতে জ্ঞান-বিবেক জাগরিত হয় ও অভিব্যক্তি ঘটে৷ অপরপক্ষে যদি এখানে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের কার্যকারিতা বাড়ে তবে এর প্রভাবে কর্মহীনতা তৈরী হয়৷ যাতে এই নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম এখানে কার্যকর না হয় তার জন্য সাধকের পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম যাতে কার্যকরী হয় তার সুব্যবস্থা করতে হবে৷ যদি আধ্যাত্মিক সাধনা না করা হয় তবে নেগেটিভ মাইক্রোবাইমেরা প্রভাব বিস্তার করবে৷ ফলস্বরূপ তা লোভকপটতাবৃত্তিকে বেড়ে যেতে সাহায্য করবে৷ অনাহত চক্রে পজেটিভ ও নেগেটিভ এই দুই মাইক্রোবাইটার প্রভাব আছে৷ এই ১২টি বৃত্তির মধ্যে কতকগুলিকে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা প্রভাবিত করে আবার  কতকগুলিকে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটা প্রভাবিত করে৷ কিন্তু আমাদের কাজ হবে এই অনাহত চক্রে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটা যাতে না প্রভাব বিস্তার করতে পারে৷ এর জন্যে একনিষ্ঠভাবে ভক্তির সঙ্গে সাধনা করা প্রয়োজন৷ আর এই সাধনা করার ফলে পরমপুরুষ সদ্গুরু সাধকের ওপর সন্তুষ্ট হন৷ ফলে সাধকের ওপর অশেষ কৃপা বর্ষণ করেন ও কৃপাপরবশ হয়ে পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম-এর সাহায্যে চক্রের ওপর শক্তি সম্পাত করেন৷ এর ফলে চক্রের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রন্থি-উপগ্রন্থিগুলি উজ্জীবিত হয় ও সাধক সদ্গুরুর কাছ হতে পেয়ে যায় এগিয়ে চলার শক্তি৷ এইভাবে যদি কোন সাধক নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে সাধনা করতে থাকে তবে তার অনাহত চক্রে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা কার্য্য করার ফলে সাধকের বিবেক’-এর অভিব্যক্তি ঘটে৷

পজেটিভ মাইক্রোবাইটা শুধুমাত্র অনাহত চক্রকে প্রভাবিত করে বিবেক নামক বৃত্তিকেই উজ্জীবিত করে তা নয় অনাহত চক্রের ওপর পজেটিভ মাইক্রোবাইটার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হল--- চেষ্টাবৃত্তি’-কে বিশেষ ভাবে ক্রিয়াশীল করে তোলা৷ এর ফলে বাস্তবে কোন ভাল কাজ করার মানসিকতা জেগে ওঠে৷ এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘এই বৃত্তি যদি ঠিক পথে চালনা করা না যায় তবে অনাহত চক্রে এই সাত্ত্বিক মানস-চলমানতার প্রবৃদ্ধিকরণ sentient solar phycho-panoramic maximitis) নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম দ্বারা গ্রস্ত হয়ে তামসিক সর্বাল্প মানস হ্রস্বীকরণে static solar phycho-panoramic minimitis) পরিবর্তিত হয়ে যায়৷’’