"বন্যাক্রান্ত অসমের মানুষের পাশে সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন" -- বাঙালী ছাত্র যুব সমাজ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সাম্প্রতিক বিধ্বংসী বন্যায় বন্যাক্রান্ত অসম। ১৩০ জনের উপর মানুষ মারা গেছে । ২৫ লক্ষ্যের বেশি বন্যাক্রান্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়েই চলেছে । রাস্তায় নৌকাই এখন চলাচলের ভরসা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাণ বন্টনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস ।

    এক প্রেস বিবৃতিতে তপোময় বিশ্বাস বলেন, এগারো দিনের বেশি সময় যাবৎ শিলচর জলমগ্ন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন । রাতের বেলায় দুষ্কৃতীদের হামলা তথা লুটপাঠ চলছে সাধারন মানুষের উপর । বিদ্যুৎ না থাকায় তারা মোবাইলে চার্জ দিতে না পারায় তারা হেল্প লাইনেও ফোন করতে পারছে না । দোকানে মোমবাতির অকাল! স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলি নিজ উদ্যোগে খাদ্য-মোমবাতি-সাবান সরবরাহ করছেন বলে কিছুটা রেহাই, নচেৎ সরকার তাদের ত্রাণবন্টন শিবির এলাকার বাইরে গিয়ে তেমন কিছু করছে বলে জানা নেই। আমরা সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলিকে অনেক সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানিয়ে আবেদন রাখছি শিলচরের শুধু শহরাঞ্চলে নয়, অলি-গলিতে গিয়ে বানভাসি মানুষদের খাদ্য সরবরাহ করুন । অবিলম্বে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য সরকারের কাছে দাবী রইল আমাদের ।

    তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও ন্যাশানাল মিডিয়াগুলিকে ধিক্কার জানাই। ডবল ইঞ্জিন সরকারের যে ফাঁকা বুলি মোদী সরকার আওড়াতেন সম্পূর্ণ ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় । কেন্দ্রীয় সরকার কেন অসমে এখনো ন্যাশনাল ডিজাস্টার এলাকা বলে ঘোষণা করল না? কেন্দ্রীয় সাহায্য সেভাবে অসমে পৌঁছচ্ছে না কেন ? ভোটের আগে অনেক বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জি অসমে এসেছেন,এখন তাদের পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এর থেকেই প্রমাণিত অসমের মানুষের জন্য এরা নয়, এরা শুধু ভোটের স্বার্থে মানুষের সাথে আশ্বস্ত করার ছলনা করেন । গত ১০০ বছরে শিলচর তথা অসমে এত বড় ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী বানভাসি হতে দেখা যাইনি, গলা সমান জল, নৌকা দিয়ে রাস্তায় যেতে হচ্ছে, ১১ দিনের উপর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন, ১০০ উপর মানুষ মারা গেছে এই খবর গুলো টেলিকাস্ট করার মতন ২ মিনিট সময় ন্যাশনাল মিডিয়া গুলোর নেই!! অথচ কোন অভিনেতা কাউর প্রেমে পড়লে বা বিয়ে/সন্তান হলে বা পুঁজিপতিদের কোন নতুন প্রডাক্টে, বিজ্ঞাপন দিনে ৫০ বার দিতে পারেন এঁনারা , কিন্তু অসমের মানুষের দুর্ভোগের খবর এরা তুলে ধরতে পারে না । মানুষ সব দেখছে।। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার অসমকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার এলাকা বলে চিহ্নিত করণ এবং ত্রাণ-বন্টন ও বিপুল সাহায্য এখুনি পাঠাতে হবে । সমাজের সকলের কাছে অনুরোধ করছি বন্যাক্রান্ত অসমের মানুষদের দুর্ভোগ সরাতে নিজের সামর্থ্য মতন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন । বিভিন্ন এন জি ও সেখানে কাজ করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করলেই সাহায্য করা যাবে।