‘দধি’ মাইক্রোবাইটামে ভরপুর, মানব দেহালয়ের প্রকৃতি দত্ত ঝাড়ুদার

লেখক
যোগাচার্য

মাইক্রোবাইটাম ও দধি ঃ

বিজ্ঞানের আলোয় দধির উপকারিতা ও কল্যাণকর ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে আরও যে সর্বাধিক ও সর্বশেষ চাঞ্চল্যকর তথ্য ও তত্ত্বগুলি আমরা পাচ্ছি শ্রদ্ধেয় শ্রী পি. আর. সরকারের Microvitum in a Nutshell পুস্তকটিতে (পৃষ্ঠা–১২)৷ তিনি প্রজ্ঞাধী দৃষ্টিতে দধি সম্পর্কে আরও কতকগুলি মূল্যবান তত্ত্ব ও তথ্য আমাদের দিয়েছেন৷ বিজ্ঞানীরা দধির মধ্যে যে ৯০ প্রকারের মিত্র ব্যাক্টেরয়ার সন্ধান পেয়েছেন সেই ব্যাক্টেরিয়া (bacteria) বা ভাইরাস (virus) জাতীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবগুলিকে অধিকতর নির্ভুলভাবে শ্রদ্ধেয় শ্রীসরকার Microvitum নামকরণ করেছেন৷ দধি আসলে কোটি কোটি মাইক্রোবাইটামগুলিরই ঘণীভূত দানাবাঁধা জীবিত অনুজীবতদের দলবদ্ধ রূপ৷ শ্রীসরকার Microvitum শব্দের বাংলা পরিভাষায় নাম দিয়েছেন ‘অনুজীবৎ’৷ দধিকে যদি শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কোটি কোটি জীবিত অনুজীবতরা জমাটবাঁধা দধির পাত্রে কিলবিল্ করছে৷ দধির এই অনুজীবতগুলি সবই ‘মিত্র অনুজীবৎ’ বা কল্যাণকারী মাইক্রোবোইাটাম যারা মানব দেহ রক্ষায়, দেহের বিষ পরিষ্কার করে দিতে, দেহের রোগ প্রতিরোধে, দেহকে সুস্থ রাখতে দেহের পুষ্টি সাধনে ও মানুষের পরমায়ু বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ তাই শ্রদ্ধেয় শ্রী সরকারও চর্যাচর্য্য নামক ধর্মগ্রন্থে একটি মাত্র নামযুক্ত বিশেষ খাদ্য রূপে দধির নামটিই কেবল উল্লেখ করেছেন৷ যাইহোক শ্রীসরকার Microvitum in a nutshell পুস্তকের ১২ পৃষ্ঠায় দধি সম্পর্কে অভিমত প্রকাশ করেছেন ঃ ''Milk is turned into curd through microvita. For about forty-eight hours, then the positive form. But if curd remains exposed to heat more than forty-eitht hours, these microvita remain in positive microvita decompose and change into negative microvita. This is why curd can be eaten up to forty-eight hours after it has become ready for consumption."

আমরা আগেই বলেছি যে 'Microvitum' শব্দের বহুবচন রূপটি হ’ল 'Microvita' এই মাইক্রোবাইটারই ধবল তরল দুধকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে দধিতে রূপান্তরিত করে দেয়৷ ওপরের ইংরাজী উদ্ধৃতিটি থেকে আমরা যে সব অত্যন্ত মূল্যবান বৈহারিক তথ্যগুলি দধি সম্পর্কে পাচ্ছি সেগুলি পরবর্তী পরবর্তী জুলাই ১১ তারিখে আলোচনা করা হবে৷

অজীর্ণ রোগে (Dyspepsia) দধি ও ঘোল ঃ

‘পুরানো চালের ভাত, সবুজ তরকারির ঝোল, তরল ভেদে দধি ও কোষ্ঠকাঠিন্যে চিনিসহ মহিষী দুগ্ধের ঘোল৷ মনে রাখতে হবে ঘোল জিনিসটা ডিস্পেপ্সিয়া (অজীর্ণ) রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷’’

অম্লরোগে (Acidity)  ঘোল ঃ ‘অম্লরোগে পুরাতন চালের ভাত, শাক–সবজীর ঝোল (ভাজা, পোড়া বা অধিক পরিমাণ শাক–সব্জী নয়), রসাল টক বা মিষ্টি ফল ও ঘোল বিশেষ উপকারী৷ অম্লরোগীর পক্ষে দধি বিশেষ উপকারী নয়’৷

অর্শরোগে ঘোল ঃ ‘‘.........ও’ল, ঘোল, ঝোল, ডুমুর, মানকচু, পটোল, টমেটো, পালংশাক, ছাঁচি কুমড়া, লাউ ও নুনে শাক এই রোগে বিশেষ উপকারী৷ রোগী দু’বেলা এক গ্লাস করে ঘোল খাবে৷’’ত্ত্বপ্সব্ধন্দ্ব– শ্রদ্ধেয় শ্রীসরকার শব্দচয়নিকার ২৬ খণ্ডেও এ প্রসঙ্গে লিখেছেন ঃ অর্শ ও আমাশয় দুইয়ের জন্যেই একটা ছড়া মনে রেখো৷ ‘ওল–ঘোল–ঝোল’৷ দুধ অনেকের সহ্য হয় না, পেটে বায়ু জন্মায় কিন্তু ঘোলে সে দোষ নেই৷ ঘোলেতে দুধের স্বাদ পাওয়া যায় না বটে তবে তাতে দুধের গুণ পাওয়া যায়৷ ’’

আমাশয় রোগে দধি অপেক্ষা ঘোল উপকারী ঃ ‘‘ রোগীর পক্ষে দুগ্ধ অপেক্ষা দধি ও দধি অপেক্ষা ঘোল বেশী উপকারী৷’’