‘‘গুরুকৃপা, মোক্ষপ্রাপ্তি ও মাইক্রোবাইটাম’’

লেখক
শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কোন মানুষ যদি তার মনকে সূচাগ্র করতে চায়  তবে ওই মানুষটিকে  গুরুচক্রে মনকে রেখে ইষ্টের  ধ্যান করতে হবে৷ কিন্তু প্রশ্ণ  হ’ল গুরুচক্র কোথায় অবস্থিত  ও গুরুচক্রে মন রাখতে হবে কেন? আসলে গুরুচক্র সহস্রার চক্রের ঠিক নীচে  অবস্থিত৷ এখন, গুরুচক্র হ’ল মানব মহিমার  সর্বোচ্চ চক্র বা বিন্দু৷ মানব দেহে পরমপুরুষের  এটাই হ’ল অবস্থান  কেন্দ্র৷ তাই এই সর্র্বেচ্চ বিন্দুতে  মানুষ মন রেখে  ধ্যান করবে৷ মানুষ তার মনের সমস্ত শক্তিকে এই বিন্দুতে  যদি সংহত করতে  পারে তবেই  মানুষ একাগ্রতা লাভ করে ও সর্বজ্ঞ হ’য়ে উঠবে৷

কিন্তু  সর্বজ্ঞ হবার আশায় সাধনা  করা উচিত  নয়৷ এক্ষেত্রে  সাধকের  সাধনা হবে  পরমপুরুষের  সন্তোস বিধানের  জন্যেই৷ আর এই সন্তোষ  বিধানের  জন্যে চাই গুরুকৃপা৷ তাই বলা হয়েছে --- ‘‘গুরু কৃপাহি কেবলম্‌’’৷

এখন পরম পুরুষের  বিশেষ কৃপায়  মাইক্রোবাইটামের সাহায্যে মানুষের  শুভ বৃত্তিগুলি জাগরিত  হয় ও অশুভ বৃত্তিগুলির প্রভাব কমতে  থাকে৷ বিভিন্ন জ্যোতিষ্কে বিভিন্ন সত্তার প্রগতির  গতিকে দ্রুত থেকে  দ্রুততর করার জন্যে পরমপুরুষ এক স্থান হতে অজস্র মাইক্রোবাইটাম ব্যবহার করে চলেছেন৷  আজকের  মানুস এই মাইক্রোবাইটামকে  বিভিন্ন কাজে লাগাবার কৌশল জানে না৷  কিন্তু  মাইক্রোবাইটাম  আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার  বলেছেন--- খুব শীঘ্রই  এই মাইক্রোবাইটা ও এর ব্যবহার  সম্পর্কে মানুষ জেনে ফেলবে ৷ তখন এই মাইক্রোবাইটামের (পজেটিব্‌) সাহায্যে মানুষ তার চিত্তাণুকে ভেঙে ফেলতে পারবে ও তাকে চিৎধাতু অর্থাৎ কনসাসনেস-এ রূপান্তর করতে পারবে৷ এখন, প্রশ্ণ হ’ল এই পজেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামকে কিভাবে  সাধক তার জীবনে কাজে লাগাবে?  শিষ্যের  অন্তরে ভক্তি জাগরণে  গুরু যখন সন্তুষ্ট  হন,  তখন গুরু শিষ্যের উপর কৃপাপরবশ হয়ে পজেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামের সাহায্যে বিভিন্ন গ্রন্থিগুলিকে উজ্জীবিত করেন ও শুভ বৃত্তিগুলির  প্রভাবকে বাড়িয়ে  দেন৷ আর অপরপক্ষে  নেগেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামের অশুভ প্রকৃতির প্রভাবকে  কমিয়ে দেন৷ এই অবস্থায়  গুরু সমস্ত  চক্রে পজেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামের  সাহায্যে  বিশেষ  শক্তি সম্পাত  করেন, ফলে সাধকের পরমানন্দের  অনুভূতি  ঘটে৷ সাধক এইভাবেই  পরমাগতি  পেয়ে আধ্যাত্মিক পথে চলতে  থাকে৷  ‘বাবা’ বলেছেন--- ‘‘কোন সাধক যখন  তৃতীয় স্তরে  পৌঁছে যান তখন গুরুর প্রত্যক্ষ সাহায্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর ‘মোক্ষপ্রাপ্তি’ হয়৷ পরমপুরুষকে সন্তুষ্ট করার ভাবনা  নিয়ে  যদি কেউ সাধনা করে, তাহলে তাঁর কৃপায় ১৩,১৪,বা ১৫ বছর বয়সে সে সদ্‌গুরু পথনির্দেশনা পেয়ে থাকে ও সাধনার মাধ্যমে সে জীবনে  সাফল্য অর্জন করবেই৷’’