স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

বেল/বিল্ব

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷

শুক্তো

ৰাঙ্গালীর ঘরে প্রথম পাতে অন্যতম ব্যঞ্জন হিসেবে আমরা যে শুক্তো খেয়ে থাকি তারও উদ্ভূতি ভিন্ন মত অনুসারে ‘সূক্ত’ বা ‘সূক্তা’ শব্দ থেকে৷ ‘সূক্ত’ শব্দের অর্থ হ’ল ভাল কথা যা ৰলা হয়েছে৷ প্রথম পাতে তেঁতো খেলে (শুক্তোয় তেঁতো থাকা স্বাভাবিক) মুখ থেকে তেতো বেরোয় না, মিষ্টি (কথা) বেরয়–এই ধারণা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে৷ তাই মানুষ তেঁতো (শুক্তোয়) দিত তার মুখ থেকে মধুর আলাপ পাবার আশায়৷

হোমিওপ্যাথী ওষুধ LEXIN আবিষ্কারের কাহিনী

ঘটনাটি পড়ে একটি বিশেষ ডাক্তারের কথা মনে পড়ল যিনি LEXIN. নামের একটি হোমিওপ্যাথি ঔষধের নির্মাতা৷ ওই ডাক্তারের নাম ছিল -- ডাঃ পরেশ চন্দ্র ব্যানার্জী (ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভাইপোর ছেলে)৷ তিনি চিত্তরঞ্জন স্টেশন সংলগ্ণ মিহিজাম হাটিয়ার পাশে বাড়ী বানিয়েছিলেন ও ঠিক তারই পাশে ছিল তাঁর CHERITABLE DISPENSERY. প্রবাদ আছে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারলেই রোগের উপসর্গ হ্রাস পেতো ( এটা সত্যিই বা মিথ্যা আমি জানি না)৷ তবে বিভিন্ন লোকমুখে শুনেছি৷ আমি নিজের চোখে তাঁকে দেখি নি৷ তবে ওনার এক বিশেষ বন্ধু ছিলেন -- আমার নিকট আত্মীয়৷ এবার আসল কথায় আসি ---

গাঁদাল পাতা, কালমেঘ, নিশিন্দা, চিড়ের ক্বাথ ও চাল কুমড়ো

পরিচয় ঃ গাঁদাল পাতার সংস্কৃত নাম খরগন্ধা/খরগন্ধিকা/খরগন্ধনিভা৷ তিনটে শব্দেরই অর্থ গাঁদাল পাতা৷ খর মানে ....... পায়খানার দুর্গন্ধ৷ যে পাতায় কতকটা ওই ধরণের গন্ধ রয়েছে তা খরগন্ধা৷ গাঁদাল পাতার অন্য সংস্কৃত নাম হচ্ছে–কৃষ্ণপল্লবি/কৃষ্ণপল্লবী/কৃষ্ণপল্লবিনী৷ ঙ্মলৌকিক সংস্কৃতে ৰলা হয় গন্ধভাদালী ৰ৷ গাঁদাল একটি লতানে উদ্ভিদ৷

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য

ডাক্তারবাবু

দিনের পর দিন যদি শিশুর পায়খানা না হয় অথবা তার পায়খানা যদি অস্বাভাবিক শক্ত, শুষ্ক ও নিষ্কাশনে কষ্ট হয় তবে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে৷ একেক জনের পায়খানার ধরণ একেক রকম৷ তবে সাধারণভাবে সপ্তাহে তিনবারের কম কষ্টদায়ক পায়খানা হলে সেটাকে কোষ্ঠাকাঠিন্য বলা চলে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কী শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ তবে বেশ কিছু বিষয়কে কোষ্ঠাকাঠিন্যের জন্যে দায়ী করা হয়৷

সঠিক কৌশলে না খাওয়া

অর্শ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের নিরাময়

রোগের লক্ষণ ও কারণ ঃ তোমরা জান অর্শ রোগটি হয়ে থাকে মুখ্যতঃ লিবারের ত্রুটিতে৷ আসলে এটা কোন উদর–ব্যাধি বা মল–নাড়ীর ব্যাধি নয়৷ রোগের লক্ষণ প্রথমে কোষ্ঠকাঠিন্য (ইংরেজীতে ন্তুপ্সুব্দব্ধন্হ্ম্ত্রব্ধ্, ফার্সীতে কৰ্জীয়ৎ) নিয়ে প্রকাশ পায়৷ সেই অবস্থায় অতিরিক্ত কোঁথ দিতে গিয়ে মলদ্বারের বাইরের দিকে বা ভেতরের দিকে কিছুটা ফুলে যায়৷ এই ফুলে যাওয়া অংশ যখন আকারে আরো একটু ৰড় হয় তখন তাকে বলা হয় ‘ৰলি’৷ যারা অতিরিক্ত মাংস বা তামসিক ভোজ্য খায় তাদের মল ‘নেড্য’ (ন ঈড্য) নামে পরিচিত হয়৷ এই ‘নেড্য’ থেকে বাংলায় ‘ন্যাড়’ শব্দটি এসেছে৷ যাদের মল সাধারণতঃ নেড্য–পর্যায়ভুক্ত তারা কখনো অতিরিক্ত গুরুভোজ্য খাদ্য গ্রহণ করলে সহজ

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো

Benincasa cerifera Savi

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ৰাংলায় অনেকে চালকুমড়োও ৰলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ৰেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ৰেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

নেশার কবল থেকে নিজেকে ও সমাজকে মুক্ত করুন

সমাজবন্ধু

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷