কী খাচ্ছেন ভেবে দেখুন

লেখক
ডাক্তারবাবু

সমগ্র বাংলায় সস্তার খাবারের দোকান চলছে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার৷ অথচ মানুষ আগে–পিছে বিবেচনা না করে এই বিষই প্রতিদিন তৃপ্তি সহকারে খেয়ে চলেছে৷ কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এই মারণ রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য প্রতিরোধের দায় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চুপ কতে বসে আছে৷ এই চুপ করে বসে থাকার অর্থ নির্বোধ মানুষদেরকে তিলে তিলে মৃত্যু পথে ঠেলে দেওয়া৷ যেমন ফুটপাত বা ছোট খাট খাবার হোটেল কাম দোকানে  দেখবেন, আমিষ ঝোলতো বটেই, এমনকি আলুর দম রান্না করে ছোট আলমারিতে সামনে সাজিয়ে  রেখেছে৷ এই সকল তরকারীর অতি সুন্দর লাল রং দেখে মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হয়৷ কিন্তু এই খাবার যে মানব তথা প্রাণীর দেহের জন্যে ক্ষতিকারক তা বিশ্বাস করার অবকাশ কোনও ক্রেতারই নেই৷ তাই এই সকল খাবার দোকানে মানুষ দিনের পর দিন অবলীলাক্রমে বিষ খেয়ে চলেছে৷ এই যে আকর্ষণীয় রংটি দোকানীরা ব্যবহার করছে তার নাম হচ্ছে কঙ্গো রেড৷ এই রাসায়নিক মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়৷ ফলে রক্তের কোষ ও টি এন এ প্রচণ্ড গতিতে কমে আসে৷ শেষ পর্যন্ত মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধে৷ অপরদিকে নামকরা বিরিয়ানির হোটেলেও ক্রেতাকে আকর্ষণ করার জন্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করতে দেখা যায়৷ এই ক্ষতিকারক উপাদানটি হচ্ছে, মেটানিল ইয়েলো৷ এটি সীসা দিয়ে তৈরী৷ এর রং গাঢ় হলুদ৷ এই রাসায়নিকটি দেহের চর্বি জাতীয় পদার্থের অভ্যন্তরে ঢুকে যায় যা কিডনি বার করতে পারে না৷ ফলে হাঁপানি, নার্ভ ও দেহের উপরিভাগের চর্মে দুরারোগ্যের সৃষ্টি করে৷ না এগুলিই শেষ নয়, কারণ আমাদের দেশে খাবারের রংকে আকর্ষণীয় করতে দোকানীরা আরও বহু প্রকারের ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে৷ আর জেনে বুঝেই উক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়৷ আর সরকারের কর্মচারীদের লাগামহীন দুর্নীতি একদিকে তাদেরকে স্বাচ্ছ্যন্দ্যের আবর্তে ডুবিয়ে রাখছে, অপর দিকে জনসাধারণকে নিক্ষেপ করছে মারণ রোগের অন্ধকার গলিতে৷