‘হম্ বাঢ়ে দেশ বাঢ়ে’ শ্লোগানের উদ্ভাবক আর অতীতের ‘গরীবী হটাও’-র ঘোষক ইন্দিরা- জমানার পর পরই ‘শাইনিং ইন্ডিয়া, রাইজিং ইন্ডিয়া, ভারত সমৃদ্ধির পথে, ইত্যাদির যুগ পেরিয়ে এসে---ধনী ভারতবাসী, ধনীতম ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী দুঃস্থ ভারতবাসী, নিঃস্ব ভারতবাসী, বুর্র্জেয়া-পেটি বুর্র্জেয়া ভারতবাসী, সর্বহারা তথা প্রলে তারিয়েত ভারতবাসী, শোষক ভারতবাসী শোষিত আর বঞ্চিত লাঞ্ছিত বুভুক্ষু ভারতবাসী, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মুর্খ ভারতবাসী তথাকথিত উচুঁ-বর্র্ণভিমানী ভারতবাসী আর দলিত ভারতবাসী, বুদ্ধিমান বিচারশীল ভারতবাসী ও ব্রাত্য অপাংক্তেয় ভারতবাসী, তথাকথিত ধার্মিক প্রবর ভারতবাসী আর নাস্তিক ভারতবাসী--- এক কথায় ভারতবাসী মাত্রেই উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে ছিলেন মোদী জমানার ডিজিটাল ইন্ডিয়া ও ক্যাশলেশ ইন্ডিয়ার ‘বনাওট’ তথা মেকিং-য়ের প্রতি৷ এরপর আবার চমৎকারিত্বের ইতিহাস বনানেওয়ালা মুদি-শাহ জুটি কশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা ও কচ্ছ থেকে কোহিমা অব্দি সাম্রাজ্যবিস্তারের খোয়াব্ দেখতেই যখন মশ্গুল ছিলেন, তখন হঠাৎই কিসমত কা খেল্’ বদলে যাবার আশংঙ্কা নিয়ে অযাচিতভাবেই চলে এল---‘কোভিড-১৯’ তথা করোনা-বাইরাসের আকস্মিক অভিযান৷ কী সর্বনাশ! এ যেন দিগ্বিজয়ী বীর এপোলোর বিজয় অভিযানের মধ্যপথে আচম্কাই দেখা দিল এসে সামুদ্রিক জলোচ্ছাস আর সঙ্গী হল তার দুর্নিবার টর্নেডো৷ সবকিছুতেই ওলট-পালট হবার উপক্রম হল৷ চারদিক থেকে বঞ্চিত জনতার, ক্ষুব্ধ জনতার ক্রদ্ধ জনতার ও তারও সঙ্গে বিদেশ-বার্তার জোর সোরগোল শুরু হয়ে গেল--- ভারতে নাকি অর্থনৈতিক মহামন্দা অত্যাসন্ন হয়ে উঠেছে! এযে বর্তমানের ভারত-কান্ডারীদের শিরে সংক্রান্তি নয়---একেবারেই কেশবিহীন শিরে বজ্রাঘাত! এ প্রেক্ষিতে বৈষ্ণব কবি-বিরচিত শ্রী রাধার বিলাপের মতই শোনাচ্ছে---‘‘সখিরে, হামারি দুঃখের নাহি ওর৷ অমিয় সাগরে সিনান করিতে সকল গরল ভেল!’’ অথবা এও বলা যায়---‘‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল!’’ যাক্, কী আর করা যায়! কথায় বলে না--- ‘ম্যান প্রপোজেস গড্ ডিসপোজেস্!’
তো এখন দেখা যাক, সত্যিই ভারতে মন্দা বা মহামন্দা (গ্রেট ডিপ্রেশন) এল কিনা৷ আবার, এলেই যদি থাকে তাহলে এর পেছনে কী কী কারণ রয়েছে? এই মন্দার ব্যাপকতা ও গভীরতা কতদূর গড়াবে আর এ থেকে উত্তরণের উপায় রয়েছে কিনা ও থেকে থাকলে সেটা কী ধরনের ইত্যাদি ইত্যাদি৷
প্রথমেই তাহলে দেখা যাক্ না মন্দা কি মহামন্দা কেন আসে ও কখন আসে৷ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর প্রাউট দর্শনে ‘‘অর্থনীতিতে গতিতত্ত্ব’’ বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন---‘‘এই মহাবিশ্বে চলমানতা মাত্রই সংকোচ বিকাশী৷ জগতের কোন কিছুই সরলরেখা ধরে চলে না৷ সংকোচ বিকাশী গতিধারার জন্যেই প্রতিটি সত্তায় আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষও সমিতি সংঘটিত হয়ে চলেছে৷ এই সংকোচ বিকাশী নীতির ফলেই সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনের বিভিন্নপর্বে (অধ্যায়/যুগে) ঘটে চলেছে উত্থান ও পতন৷....এক্ষেত্রে এমনও ঘটতে পারে যে সমাজ তার গতিশীলতা একেবারেই খুইয়ে ফেলেছে বা তার মৃত্যু ঘটেছে৷’’
আবার, অর্থনৈতিক তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি অন্যত্র বলেছেন---‘‘ধনতন্ত্রে রয়েছে বাহ্যিক গতি হীনতা, কম্যুনিজমের রয়েছে ব্যাপক ও গভীর পরিমানে তার অন্তর্নিহিত স্থাণুত্ব৷ মার্কসবাদ সমাজকে এক সর্বগ্রাসী গতিহীনতার স্তরে নিয়ে যেতে পারে মাত্র৷--- মানব প্রগতির সার্বভৌমিক বিকাশের জন্যে ধনতন্ত্র এক অনুকূল দর্শন নয়৷’’
এই নিরিখে বলা যায় যে, শুধু ভারতই কেন সমগ্র পৃথিবীবাসীই আজ স্বীকার করছেন যে অর্থনৈতিকতত্ত্ব হিসেবে মার্কসবাদের অকালমৃত্যু ঘটেছে৷ আর, পুঁজিবাদের অবস্থাটাও মরমর, যদিও মর্ফিয়া প্রয়োগে পুঁজিবাদে মরণ আটকাবার চেষ্টা চলছে৷ পুঁজিবাদেরও পতন অবশ্যম্ভাবী৷ আর, পুঁজিবাদ যে অর্থে শোষণের হাতিয়ার, মার্কসবাদও কিন্তু রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ হিসেবে কম যায় না৷
শোষণের মাত্রা চরমে পৌঁছুলে সমাজের গতিশীলতা ও গতিবেগ দুটোই স্তব্ধ হয়ে আসে৷ এমন পরিস্থিতিতে সমাজের বুকে বিস্ফোরণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই দেখা দিতে বাধ্য৷ ভৌতিক জগতের ক্ষেত্রে বিস্ফোরণ জড়াত্মক হলেও মানসিক অধিক্ষেত্রে বিস্ফূরণটা হয় ভাবাত্মক বা মানসিক৷ তাই এই যে মন্দা এটা প্রকৃতপক্ষে সমাজের বুকে ঘটে চলা শোষণ তথা দমন প্রদমন ও অবদমনেরই অনিবার্য ফলশ্রুতি মাত্র৷ উল্লেখ্য যে, সমাজবাদী বা পুঁজিবাদী দেশ যাই হোক না কেন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ‘মন্দা’ আসতে বাধ্য, কেননা উভয়ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে রয়ে গেছে, অন্তর্নিহিত এক গভীর জড়তা৷
শুধু তাই নয়৷ সমাজের সাংস্কৃতিক স্তরেও দমন-অবদমন ও প্রদমনের ফলে একই ধরণের মন্দা জনমানসে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে৷ এমনতর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মানব-সংসৃকতির বিভিন্ন ধারা উপধারাসমূহেও বিকৃতি দেখা দিতে বাধ্য৷ এ কারণেই আমরা দেখতে পাই বাজারে সাহিত্যের নামে ও কাব্যের খোলসের আড়ালে অরুচিকর ও কুরুচিকর বই-পুঁথির অবাঞ্চিত ভীড় অশ্লীলতা ও অশালীন বিজ্ঞাপন ইত্যাদির রমরমা৷ শুধু কি তাই? চিত্রাংকন, সঙ্গীতবিদ্যা,কলাবিদ্যা, বাস্তুবিদ্যাতেও এর অনুপ্রবেশ ঘটে সমাজকে কলূষিত করে৷ জনজীবনে নেমে আসে মানবতা বিরোধী, মানবজীবনে প্রগতিরও অন্তরায় নানারকমের উন্মাদনা, বীভৎসতা ইত্যাদি৷ মাত্র দিন কয়েক পূর্বে সংবাদপত্রের মাধ্যমেই বার্র্ত নজরে এসেছে যে, বিশ্বে ঘুষখোরিতেও নাকি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে৷ সাম্প্রদায়িকতা, প্রাদেশিকতা, গোষ্ঠীবাদ, দুর্নীতি, বেকারত্ব, হিংস্রতার নগ্ণপ্রকাশ, খুন-ধর্ষন, পতিতাবৃত্তি, নারী-পাচারের মত পাপাচার, কর-ফাঁকি, মুনাফাখুরি, মজুতদারি, কালোবাজারি---ইত্যাদি যত রকমের ভ্রষ্টাচারের আঁতুড় পরোক্ষভাবে ওই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মন্দা সমূহ৷ আর, সমাজের তথা মানবজীবনের সকল দিক গ্রাস করে যে ভয়াবহ আকারে মন্দা জাঁকিয়ে ওঠে--- সাধারণতঃ সেই পরিস্থিতিটাকেই বলা হয়ে থাকে ‘‘মহামন্দা’’ বা ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’৷
তবে, একথাও অনস্বীকার্য যে, শুধু ভারতেই নয় এই মন্দা দেখা দিয়েছে আজ গোটা পৃথিবী জুড়েই, অনেকেই বলতে চান, করোনা বাইরাসের উদ্ভব নাকি এর কারণ৷ তা কিন্তু নয়৷ কেননা করোনা বাইরাসের আগমন প্রত্যক্ষ বা আপাত কারণগুলোর মধ্যে একটি হলেও মন্দা বা মহামন্দার বিশাল কারণ হচ্ছে---সমাজের বুকে ফল্গুধারার মতই চলমান বন্ধ্যা ও রুগ্ণা অর্থনীতি পুঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদেরই (ক্যাপিটালিজম ও কম্যুনিজমের) অনিবার্য কুফল৷
অতীতে ১৯২৯-১৯৩১সাল ব্যাপী একবার ভয়াবহ মহামন্দা দেখা দিয়েছিল৷ এরপরও ১৯৬০,১৯৯০ সালে এর আবির্ভাব ঘটেছিল৷ আবারও বর্তমান ২০২০ সালে এর পুনরাবির্ভাব ও প্রকোপ দেখা দিতে শুরু করেছে৷
দার্শনিক শ্রী পি.আর,সরকারের মতে, অতীতের মন্দার সঙ্গে বর্তমানের মন্দার এক মূলগত পার্থক্যও রয়েছে৷ পূর্বেকার মন্দাগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল সামান্যহারে, কিন্তু বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার হবে তীব্র থেকে তীব্রতর আর সেজন্যেই সেটি হবে মানব সমাজের পক্ষে অধিকতর অনিষ্টকারক৷ বর্তমানে যে মন্দার প্রাদুর্ভাব ঘটতে চলেছে সেটা ঘটবে প্রধানতঃ বাণিজ্যিক অর্থনীতির শিল্পগত পরিকাঠামো ঘিরে৷ তারই ধবংসাত্মক প্রতিক্রিয়া অনিবার্যরূপে ভয়ংঙ্কর আকারেই দেখা দিতে বাধ্য গোটা মানবসমাজকে ঘিরে৷ তাই, সময় থাকতেও হুঁশিয়ার হওয়া আবশ্যক৷
অর্থনীতিতে বিশেষ করে মন্দার কারণ প্রধানতঃ দু’টিঃ- (১) ধন-সম্পদের অতিসঞ্চয় বা অতিকেন্দ্রীকরণ,আর (২) টাকার (মুদ্রার) চক্রগতি বাধা সৃষ্টি করা৷ অর্থনীতিতে একটি বড় সিদ্ধান্ত হল---টাকাকে বাজারে অবাধ গতিতে চালু রাখা এই নীতিতে৷ কিন্তু এর পরিবর্তে মূলধন যদি মুষ্টিমেয় ব্যষ্টিদের অথবা রাষ্ট্রীয় অর্থভাণ্ডারে কুক্ষিগত হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে জনগণের বৃহদংশ কতিপয় ব্যষ্টিসমূহের দ্বারা শোষিত হতে থাকে৷ এভাবে তীব্র শোষণের ফলেই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে বিস্ফোরণ ঘটে এরই নাম হচ্ছে--- অর্থনৈতিক মন্দা৷ সুতরাং ধনের কেন্দ্রীকরণই মন্দার প্রথম ও প্রধান কারণ৷
দ্বিতীয় কারণ স্বরূপ ধনের অতিসঞ্চয় ও টাকাকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে না দেওয়া৷ পুঁজিপতিদের মনস্তত্বই হল অধিক মুনাফা তুলে নেওয়া৷ তাই ওরা টাকাকে আটকে রেখে, বাজারে ছেড়ে না দিয়ে উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করে, বাজারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির আকাল বা কৃত্রিম অভাব এনে অধিক মুনাফা অর্জন করতে চায় বা চড়া সুদে টাকা খাটিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে চায়৷
ফলে, বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদনে ভাঁটা পড়ে বলে একদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় বাজারে ও অপরদিক থেকে কর্মসংস্থানে আঘাত পড়ে বলেও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসে৷ ফলে বাজারে ক্রেতা সাধারণের চাহিদাও কমে আসে ও তাতে উৎপাদনেও বাধ্য হয়ে ভাঁটা পড়ে৷ এসবের অনিবার্য পরিণতি সমাজে অচলাবস্থা চলে আসে৷ আবার, উদ্বৃত্ত শ্রম এলাকায় মজুরীহারে হ্রাস নামায় শ্রমজীবীরা ঘাটতি শ্রম এলাকায় ছুটতেও বাধ্য হয়৷ এর ফলে জনজীবনে নেমে আসে হতাশা, অস্থিরতা, হাহাকার৷ তাই বলতে হচ্ছে যে, জনজীবনে মন্দা কোন স্বাভাবিক ঘটনা বা পরিস্থিতি বলে গণ্য হবার নয়৷
এখন, ভারতে মন্দার কারণ আমাদের একটু তলিয়ে দেখতে হবে৷ বেশ কিছুদিন আগেই ‘অক্সফাম’ প্রতিষ্ঠান মারফত সমীক্ষার এক রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল যে, ভারতের মোট জাতীয় সম্পদের ৫১.৫৩ শতাংশ, গচ্ছিত রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের কাছে আর ৭৭.৪ শতাংশ গচ্ছিত রয়েছে ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে৷ আরও বলা হয়েছিল, ১ জনের দৈনিক আয় ২২০০ কোটি টাকা যেক্ষেত্রে অপর একজনের গড় আয় মাত্র ২২০ টাকা আর এদেশের বিপিএলভুক্ত দৈনিক গড়পড়তা মাথাপিছু আয় ২০ টাকারও নীচে৷ ভেবে দেখুন তো, এই বার্র্ত কি শুধু রোমহর্ষক, না হৃদ্-স্পন্দনকে দমিয়ে দেবারই মতন৷ আবার, অন্য একটি সূত্রের খবরে প্রকাশ পেয়েছিল যে, দেশের ৬০ শতাংশ লোকের হাতে নাকি রয়েছে মোট জাতীয় আয়ের মাত্র ৪.৮ শতাংশ সম্পদ৷ আর স্তম্ভিত হবার মতই ঘটনা যে ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যসমূহের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও পরিচ্ছন্নতার খরচ সর্বসাকুল্যে ২,৪৮,১৬৬ কোটি টাকা৷ আর মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ২.৮০ লক্ষ কোটি টাকা৷ জনাব, ইয়ে হ্যায় হমারা মহান ভারত!
কথা হচ্ছিল, ভারতে নয়া ইতিহাস সৃষ্টির প্রধান বাস্তুকার মোদিজী-জমানা নিয়ে৷ বিদেশে গচ্ছিত ভারতের কালো টাকা উদ্ধার করে আনা, দেশের ভেতরে চোরবাজার, সন্ত্রাসবাদীদের ফাণ্ড ইত্যাদি জব্দ করার লক্ষ্যে জনাব মোদীজি নোটবন্দী করে নতুন নোট ছাপালেন রাজকোষ ব্যয় করে৷ দ্বিতীয়র্ত ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়ে ফেরার বহু শিল্পপতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকা হাতিয়ে নেওয়া এককথায় করোনা নয়, ভারতে মন্দা ডেকে আনা হয়েছে৷
- Log in to post comments