সংবাদ দর্পণ

রক্ষকই ভক্ষক

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৮ই মার্চ রাত্রি প্রায় ২টার সময় বাগুইআটি চিনার পার্কের এক ব্যবসায়ী প্রয়াত বিনোদ কুমার সিং-এর বাড়ীতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সাদা কাগজে সিজার লিস্ট বানিয়ে প্রচুর গয়না ও নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়৷ যাওয়ার সময়ে ওই আয়কর আধিকারিকরা বিনোদ সিং-এর কন্যা বিনীতাকে দিয়ে সাদা কাগজের সিজার লিস্টে সই করিয়ে নেয়৷ যাওয়ার সময় বলে যায়, তোমাকে আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই৷ আয়কর দপ্তরই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷

সকালে বিনোদ সিং-এর মেয়ে বিনীতা সিং আয়কর দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন আয়কর দপ্তর কোন তল্লাশি করতে যায়নি৷ বিনীতা সিং সেখান থেকেই চলে যান বাগুইআটি থানায়৷ সেখানে অভিযোগ দায়ের করার সময় তিনি পুলিশকে জানায় হানা দাররা বিনীতার সৎমা আরতি সিং-এর গয়না টাকা পয়সায় হাত দেয়নি৷

পুলিশের সন্দেহ হয় আরতি সিং-এর ওপর৷ বাগুইআটি থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র তদন্ত করে আরতি সিং ও পাঁচ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স - (সি আই এস এফ)-এর পাঁচ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে৷ ধৃতদের মধ্যে সি.আই.এস.এফ-এর এক মহিলা কনস্টেবল আছে যিনি কিছুদিন আগেও আর জি কর হাসপাতালে পোষ্টিং ছিলেন৷ ওই মহিলা ছাড়াও ছিলেন সি আই এস এফের একজন ইন্সপেক্টর একজন হেড কনস্টেবল ও বাকী দুজন কনস্টেবল৷ সি আই এফ এফের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ পাঁচ জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷

সি.আই.এস.এফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ সাধারণ মানুষের প্রশ্ণ যাদের হাতে মানুষকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তারাই যদি এই ধরণের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

পুলিশ জানিয়েছে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সৎমা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সি.আই.এস.এফের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷

বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছে বিকশিত ভারত মনমোহনের প্রকল্পকেই আঁকড়ে ধরছে কর্মহীন মানুষ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০১৪ সালে ক্ষমতা দখল করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু-কোটি চাকরীর৷ ভোটে জেতার পর মানুষকে শুনিয়েছিলেন আশারবাণী- আ-গিয়া৷ ১১ বছরে মানুষ বুঝে গেছে আচ্ছা দিন এসে গেছে সরকারের, সাধারণ মানুষের নয়৷ যদিও বিকশিত ভারতের প্রচারে খাম্‌তি নেই৷ তবে বিকাশের চরম সীমায় পৌঁছতে আরও ২২ বছর লাগবে অর্থাৎ ২০৪৭-এ! ততদিন আর্থিক দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের ভরষা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর প্রকল্প ১০০দিনের কাজের গ্যারান্টি৷

মোদির বিকশিত ভারতে ১১ বছরে উৎপাদন বিক্রির পরিমান সর্বনিম্ন৷ স্বাভাবিকভাবেই শিল্পে উৎপাদনের হারও কমছে৷ বেকারত্বের হার বাড়ছে৷ শহরকেন্দ্রিক কাজের সুযোগও কমছে৷ জীবিকার ক্ষেত্রে চরমমন্দা৷ মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ১০০দিনের প্রকল্পকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে গ্রামীন মানুষ৷ শেষ ৬ মাসে সারা দেশে এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে প্রায় ১৫কোটি মানুষ৷ অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ এই তালিকায় নেই৷ গত তিন বছরেরও বেশী নানা মিথ্যা অজুহাতে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধহীন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতির শিকার পশ্চিমবঙ্গবাসী৷ বাঙলা দখলে ব্যর্থ মোদি ভেবেছিলেন ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হলে মানুষ ক্ষোভে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাবে৷ কিন্তু কার্যত উল্টোটাই হচ্ছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পই রাজ্যের মানুষকে ভরসা যোগাচ্ছে৷

২০২৪ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ করেছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা৷ সেই তহবিল প্রায় শেষের দিকে৷ কিন্তু কাজের চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ ২০২৫-এর জানুয়ারী মাসে ১০০দিনের কাজে আবেদন জমা পড়ে ২কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ, ফেব্রুয়ারী মাসে ২ কোটি ৬১ লক্ষ৷ আর্থিক বছর শেষ হতে এখনও এক মাস বাকী৷ এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রকের ঘুম ছুটে গেছে৷

এক দেশ এক ভোট অসাংবিধানিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও কেন্দ্রের আইন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জে.পি.শাহ এক দেশ এক ভোট বিলের ওপর ১২ পাতার একটি নোট জমা দিয়েছেন সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে৷ সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিল অসাংবিধানিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি৷ জে.পি. সাহ দাবী করেছেন এই বিল অসাংবিধানিক কারণ ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এক কেন্দ্রিক ও এক দলীয় হতে বাধ্য করবে৷ নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে৷ রাজ্যগুলির নিজস্ব ক্ষমতাও সংকুচিত হতে পারে৷ তাছাড়া এই বিল ভারতের বহু দলীয় গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে বিপজ্জনক হবে৷ তিনি এই বিলে একাধিক ভুলেরও উল্লেখ করেছেন৷ নির্বাচন কমিশনের হাতে বিধানসভার নির্বাচন স্থগিত রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷

অপর এক প্রবীন আইনজীবী হরিশ সালভে সংসদীয় কমিটির কাছে জানিয়েছেন এক দেশ এক ভোট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিরোধী ও অসাংবিধানিক---এই ধারণা ভুল৷ বিরোধীদের দাবী এই বিল বিরোধিতাকে কোনরকম পাত্তা না দিয়ে সরকার এক দেশ এক ভোট নীতি চালু করতে অনড়৷ এর ভবিষ্যৎ পরিণতি ভালো নাও হতে পারে৷ আপাতত বিলটি রয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটির হাতে৷

প্রাউটের প্রায়োগিক পদক্ষেপ কোন সংকীর্ণতা নয়--- বিশ্বৈকতাবাদের সোপান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ ১৮ই মার্চ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন--- প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো কোন সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী বা প্রাদেশিক মানসিকতা থেকে গড়ে ওঠেনি৷ বরং এর বিপরীতটাই, প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সামাজিক অর্থনৈতিক গোষ্ঠীবদ্ধতা বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থার প্রায়োগিক পদক্ষেপ৷ বিশ্বের শোষককুল ও তাদের অর্থে পুষ্ট শাসক শ্রেণী প্রাউটের এই বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে৷ তাই কায়েমী স্বার্থবাদীরা প্রাউটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে নেমে পড়েছে৷

শ্রী খাঁ বলেন কেন্দ্রিত অর্থনীতির অস্বাস্থ্যকর প্রভাব থেকে শোষিত জনগণকে মুক্ত করতে প্রাউটের শ্লোগান---‘‘শোষণের অবসানে কেন্দ্রিত অর্থনীতি নিপাত যাক, বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থা চালু কর৷’’ প্রাউটের প্রয়োগ ভূমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো তৈরী হয়েছে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি ও অর্থনৈতিক বিকাশের দিকে লক্ষ্য রেখে৷ যাতে প্রতিটি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো স্ব-নির্ভর হয়ে গড়ে উঠতে পারে৷ প্রতিটি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো তৈরী হবে একই ধরণের অর্থনৈতিক সমস্যা ও সম্ভাবনা দেখে, জাতিগত সাদৃশ্য ও সদৃশ সাংবেদনিক উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে৷ কারণ বর্তমান বিশ্বে শোষক শ্রেণী তার শোষণের কৌশল পাল্টেছে৷ তারা শোষনের জন্যে সমৃদ্ধশালী অঞ্চলগুলো চিহ্ণিত করে সেখানকার জনগোষ্ঠীর ভাষা-কৃষ্টির সংস্কৃতি অবদমিত করে প্রথমেই সেই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে মানসিক দিক থেকে হীনমনস্ক করে দেয় যাতে তারা শোষণের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে৷ স্বাধীনতার পর ৭৭ বছর ধরে সামাজিক অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শোষককুল কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন শুধু বাঙলা নয়, সারা বিশ্বের সমৃদ্ধশালী জনপদগুলোতে এইভাবে শোষন করে যাচ্ছে বিশ্বের ধনকুবেররা৷ প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থা এই দানবীয় শোষন থেকে মানুষকে মুক্তি দেবে৷ তাই বিশ্বের প্রতিটি শুভবুদ্ধির মানুষের উচিত প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসা৷

বনগাঁয় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই মার্চ উত্তর২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ হরিদাসপুর ও সিমুলতলায় অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ অষ্টাক্ষরী মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ হরিদাসপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী শৈলেন বিশ্বাস তার নবনির্মিত গৃহে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেন৷ স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ছাড়াও শৈলেন বিশ্বাসের আত্মীয় পরিজন ও বহু সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায় করেন আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত৷ এরপর আনন্দমার্গ দর্শন ও কীর্ত্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী অসীম বিশ্বাস৷

ওইদিন পার্শ্ববর্তী শিমুলতলা গ্রামে স্থানীয় আনন্দমার্গী শ্রীমরকৃষ্ণ বিশ্বাসের নবনির্মিত বাসভবনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এখানেও তিনঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷

চক্ষু অপারেশন শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৮ই মার্চ বাঁকুড়া দুর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলে দুঃস্থ মানুষদের জন্য একটি চক্ষু অপারেশন শিবিরের আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পঞ্চাশজন মানুষের সফলভাবে অপারেশন করা হয়৷

উৎকল ইয়ূনিবার্সিটিতে আনন্দমার্গ দর্শন নিয়ে বিষয়ে আলোচনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে মার্চ ওড়িশায় বাণীবিহার উৎকল ইয়ূনিবার্সিটিতে আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিদ্বৎ শাখা রেনেসাঁ ইয়ূনিবার্সাল ও উৎকল ইয়ূনির্বার্সিটির সংস্কৃতি বিভাগ৷

সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ডঃ মনোরঞ্জন সেনাপতি৷ বক্তব্য রাখেন অধ্যাপিকা সবিতা আচার্য, অধ্যাপিকা নবনীতা রথ প্রমুখ৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, নব্যমানবতাবাদ ও সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে মননশীল বক্তব্য রাখেন---আচার্য কৈলাশ সারেঙ্গী উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভা সমাপ্ত করেন৷

পরলোকে নীলকমল বিশ্বাস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

উঃ২৪পরগণা জেলার বনগাঁ হরিদাস পুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও বনগাঁ আনন্দমার্গ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীনীলকমল বিশ্বাস গত ১৯শে মার্চ অপরাহ্ণ ৪-৩০ মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তিনি বেশ কিছুদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন৷ শ্রী নীলকমল বিশ্বাস একজন আদর্শ আনন্দমার্গী ও সংঘের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলের দায়িত্বে থাকার সময় স্কুলের উন্নয়ণে ছাত্র-ছাত্রাদের সার্বিক বিকাশের দিকে যত্ন সহকারে লক্ষ্য রাখতেন৷ সংঘের অন্যান্ন বিভাগের কাজেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়ীত্ব পালন করতেন৷ তিনি তিনপুত্র এক কন্যা, স্ত্রী পুত্রবধূ ও নাতনী রেখে গেছেন৷ তাঁর মৃত্যুতে সংঘ একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে হারালো৷

টর্নেডোয় বিধবস্ত মধ্য আমেরিকা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

টর্নেডোয় বিধবস্ত মধ্য আমেরিকা৷ শনিবারের এই ভয়ঙ্কর ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন৷ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কানসাস, টেক্সাস, মিসৌরি৷ ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ির চাল৷ উল্টে গিয়েছে বহু গাড়ি, এমনকি ট্রাকও৷ বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই৷ অন্ধকারে দিন কাটছে বাসিন্দাদের৷ এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর সপ্তাহান্তে আরও কয়েকটি টর্নেডোর পূর্বাভাস দিয়েছে৷

আমেরিকার কানসাসে টর্নেডোর বলি আট জন৷ ঝড়ের সময় ধুলোয় ঢেকে যায় আকাশ৷ দৃশ্যমানতা কমে যায়৷ সে কারণে বহু পথ দুর্ঘটনা হয়েছে৷ অন্তত ৫০টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে৷ তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই আট জনের৷ মিসৌরি স্টেটের জাতীয় সড়ক নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে ঝড়ের বলি ১২ জন৷ পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে ঝড়ের দাপটে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে৷ গাছ পড়ে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার৷ অন্ধকারে বিস্তীর্ণ এলাকা৷ বহু লোকজনকে তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে৷ বাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে অ্যালিসিয়া উইলসন৷ তিনি বলেন, ‘‘এ রকম ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আগে হয়নি কখনও৷ কান ফেটে যাচ্ছিল আওয়াজে৷’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিসৌরির ওয়েন কাউন্টিতে ঝড়ের বলি ছ’জন৷ ওজার্কে মারা গিয়েছেন তিন জন৷ টেক্সাসে ঝড়ের সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চার জন৷ আরকানসাস স্টেটে ঝড়ের জেরে বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন৷ আহত হয়েছেন ২৯ জন৷ সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন গভর্নর সারাহ্‌ হাকাবি স্যান্ডার্স৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ডুবে ছিল মধ্য আমেরিকার প্রায় দু’ লক্ষ বাড়ি৷

তবে উদ্বেগ এখনই কাটছে না মধ্য আমেরিকায়৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মিসিসিপি, টেনিসি-সহ মধ্য উপসাগর উপকূলবর্তী স্টেটগুলিতে আরও বেশ কয়েকটি টর্নেডো হতে পারে৷ প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মধ্য আমেরিকার টেক্সাস, ওকলাহোমা, কানসাসে মাঝেমধ্যেই আছড়ে পড়ে টর্নেডো৷ মূলত মে থেকে জুনের মধ্যেই হয় এই ঝড়৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে আমেরিকায় টর্নেডোর বলি হয়েছিলেন ৫৪ জন৷

 স্টারলিঙ্কের নামে ভারতীয়দের পকেট কাটবেন মাস্ক? ১০ গুণ খরচ বাড়বে ইন্টারনেটের!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট চালু করতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্কের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে ভারতী এয়ারটেল এবং জিয়ো৷ এটি চালু হলে ১০ থেকে ১৪ গুণ বাড়বে ইন্টারনেটের খরচ, অনুমান বিশ্লেষকেরা৷

ইন্টারনেট পরিষেবায় বিপ্লবের সন্দিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারত৷ এ দেশের বাজারে পা রাখাতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের তথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কিচেন ক্যাবিনেট’-এর সদস্য ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক৷ ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী দু’টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে তাঁর এই কোম্পানি৷ ভারতীয় সংস্থা দু’টি হল ভারতী এয়ারটেল এবং জিয়ো৷

মাস্কের সংস্থা এ দেশে পরিষেবা প্রদানের অনুমতি পেলে ভারতে ইন্টারনেটের গতি যে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে স্টারলিঙ্ক সেই সুযোগ পাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কারণ, এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রের টেলিকম মন্ত্রক৷ পাশাপাশি, আরও একটি প্রশ্ণ ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে৷ সেটা হল, মাস্কের সংস্থা পরিষেবা দেওয়া শুরু করলে কতটা বাড়বে ইন্টারনেটের খরচ?

স্টারলিঙ্ক এখনও এ ব্যাপারে কোনও ঘোষণা করেনি৷ প্রতিবেশী দেশ ভুটানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছে মাস্কের সংস্থা৷ সেখানকার মডেল থেকে খরচ সংক্রান্ত একটি আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে৷ হিমালয়ের কোলের দেশটিতে স্টারলিঙ্কের মূলত দু’টি প্রকল্প চালু রয়েছে৷ সেগুলি হল, আবাসিক লাইট প্ল্যান এবং স্ট্যান্ডার্ড আবাসিক পরিকল্পনা৷

এর মধ্যে প্রথম মডেলটি পছন্দ করলে গ্রাহকের প্রতি মাসে ইন্টারনেট বাবদ খরচ দাঁড়াচ্ছে তিন হাজার টাকা৷ এ ক্ষেত্রে ২৩ থেকে ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন তাঁরা৷ দৈনিক ব্রাউজিং, সমাজ মাধ্যম ব্যবহার এবং ভিডিয়ো স্ট্রিমিঙের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্ল্যানটি বেশ লাভজনক হবে বলে প্রচারে জানিয়েছে স্টারলিঙ্ক৷

অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড আবাসিক পরিকল্পনার খরচ কিছুটা বেশি৷ একে গ্রাহকে মাসে দিতে হচ্ছে ৪,২০০ টাকা৷ বিনিময়ে ২৫ থেকে ১১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেবে স্টারলিঙ্ক৷ এই প্ল্যানে সীমাহীন ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহক৷ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলবে গেমিং, এইচডি ভিডিয়ো স্ট্রিমিং এবং ভিডিয়ো কনফারেন্স৷

ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্টারলিঙ্ক একই ধরনের দু’টি প্রকল্প চালু রাখবে, এ কথা জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়৷ কারণ ভুটানের চেয়ে এ দেশে অনেক বেশি গ্রাহক পাবেন মাস্কের সংস্থা৷ আবার অন্যান্য স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে তাদের৷ উপরন্তু, বিদেশি ডিজিটাল পরিষেবার উপর ৩০ শতাংশ কর নিয়ে থাকে কেন্দ্র৷ সবমিলিয়ে স্টারলিঙ্কের আবাসিক ইন্টারনেট প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ৩,৫০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে, মত বিশেষজ্ঞদের৷