সংবাদ দর্পণ

পরলোকে সুভাষ সরকার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২শে এপ্রিল উঃ২৪পরগণা জেলার বিরাটি তুলসী বাগানের বাসিন্দা বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীসুভাষ সরকার পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল সত্তর বছর৷ তিনি ষাটের দশক থেকেই আনন্দমার্গে যুক্ত ছিলেন৷ তিনি আনন্দমার্গের নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ তাঁর প্রয়াণে মার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ আগামী ২৭শে এপ্রিল শনিবার সকাল দশটায় তাঁর বাসভবনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হবে৷

পণ্যবাহী ট্রাক চালিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশে গিয়ে নজির গড়লেন ভারতীয় মহিলা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সংবাদদাতা, বনগাঁ: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজেদের দক্ষতা বারবার প্রমাণ করেছেন মহিলারা৷ এবার পণ্যবাহী ট্রাক চালিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে নজির গড়লেন ভারতীয় নারী৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্যে অনন্য নজির সৃষ্টি হল পেট্রাপোল সীমান্তে৷ দেশের বাণিজ্যের ইতিহাসেও এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত৷ রবিবার ভারতের তামিলনাড়ুর বাসিন্দা অন্নপুরানি রাজকুমার পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছন৷ নির্দিষ্ট সময় হাতে পেয়ে যান ওদেশে যাওয়ার কার পাস৷ বাংলাদেশে পৌঁছে দ্রুত পণ্য খালি করে এদিনই খালি ট্রাক নিয়ে ফিরে আসেন অন্নপুরানি৷ এই প্রথম পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে কোনও মহিলা ট্রাক চালক পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশ গেলেন৷ তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি দু’দেশের রপ্তানিতে ট্রাক চালক হিসেবে তাঁর নাম নথিভুক্ত করেন৷ কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে দু’দেশের বাণিজ্যে খতিয়ে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সদস্য রেখা রাইকর কুমার৷ সীমান্ত বাণিজ্যে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও যাতে এগিয়ে আসেন, তার উপর জোর দিতে কর্তৃপক্ষকে বলেন তিনি৷ এরপরই এদিন মহিলা ট্রাক চালক পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে যান৷ পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, এটা আজ গর্বের দিন৷ নারীরা যে পিছিয়ে নেই, এটা প্রমাণ হল৷ আগামী দিনে নারী শক্তি আরও শক্তি বৃদ্ধি করুক৷ দেশের অন্যতম স্থলবন্দর পেট্রাপোল৷ প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে৷ সীমান্তে চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে৷ সেই প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে রেখে একজন নারী এভাবে এগিয়ে আসায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ দু’দেশের ব্যবসায়ীরাও খুশি৷ তাঁদের মতে, আগামী দিনে আরও বেশি করে নারীশক্তি এগিয়ে আসুক৷

চন্দননগরে মার্গীয়বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২১শে এপ্রিল হুগলী জেলার চন্দননগর কুমোর পাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ধ্রুব রুইদাসের মাতৃদেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গ বিধি মতে সম্পন্ন হয়৷ গত ১৮ই এপ্রিল ধ্রুব রুইদাসের মাতৃদেবী মাধবী দেবী পরলোক গমন করেন৷ তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন৷

এইদিন সকাল থেকেই স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা শ্রীরুইদাসের বাসগৃহে সমবেত হন৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্কা দাস, মোহনলাল বাইরি৷ এর পর ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন পরিবেশন করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত, প্রিয়াঙ্কা দাস ও মোহনলাল বাইরি৷ মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর শ্রাদ্ধ সম্পর্কে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করা হয়৷ এরপর আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্র ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এরপর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ সবশেষে মাধবী দেবীর স্মৃতিচারণা করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত ও মাধবী দেবীর পুত্র ধ্রুব রুইদাস, পুত্র বধূ ও চিন্ময়৷

শ্যামনগরে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩ই এপ্রিল উত্তর ২৪পরগণা জেলার শ্যামনগর আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গ দর্শনের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনা সভায় স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গীভাই বোন ছাড়াও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷ আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর আলোচনা করেন৷ আলোচনা শেষে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন---বর্তমান সমাজের সর্বস্তরে যে অবক্ষয় ও অর্থনৈতিক বৈষম্য তা দূরকরে সার্বিক শোষণমুক্ত আদর্শ সমাজ গড়তে হলে আনন্দমার্গ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই৷

আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন শ্যামনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দমণিষা আচার্যা, তাঁকে সর্বতভাবে সাহায্য করেন প্রকাশ সাহা ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা৷

মার্গীয়বিধিতে বিবাহ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৪ঠা মার্চ হুগলি ভদ্রেশ্বর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীবিশ্বজিৎ বণিকের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিদিশা বণিকের সহিত বর্ধমান নিবাসী মধুসূদন নন্দীর একমাত্র পুত্র পার্থ নন্দীর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে৷

বিবাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পাত্রপক্ষে আচার্য সুদাক্ষরানন্দ অবধূত ও পাত্রী পক্ষে অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা৷ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আচার্য প্রমোথেশানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দদূ্যতিময়া আচার্যা৷

প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি দুবাইতে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দুবাই: প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে৷ বিপর্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর দুবাই৷ এখনও পর্যন্ত দুবাইতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ এর জেরে দুবাই বিমানবন্দরে মঙ্গলবার থেকে বেশ কয়েকটি বিমানের রুট বদল করা হয়েছে৷ বাতিল করা হয় বেশ কয়েকটি উড়ান৷ শুধু তাই নয়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মঙ্গলবার বিকালে প্রায় ২৫ মিনিট বিশ্বের অন্যতম এই ব্যস্ত বিমানবন্দর বন্ধ রাখতে হয়৷ এর জেরে বিপাকে পড়েছেন ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও ব্রিটেনের যাত্রীরা৷ বন্ধ স্কুল-কলেজ৷ বাস্তবিকই দুবাই শহর এখন চলে গিয়েছে জলের নীচে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দুবাইয়ের জল-ছবি৷ শহরের অধিকাংশ জায়গায় কোমর সমান জল৷ ভাসছে গাড়ি৷ বহু বাড়ির একতলার অধিকাংশটাই জলের নীচে৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মেট্রো স্টেশন ও এয়ারপোর্টে বহু মানুষ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন৷

দুবাই মল এবং মল অব দি এমিরটেসের মতো ফ্ল্যাগশিপ শপিং সেন্টারগুলোর সামনেও হাঁটু সমান জল জমেছে৷ প্রবল বর্ষণের জেরে মেট্রোর রেড ও গ্রিন লাইনেও জল জমেছে৷ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি রুটের মেট্রো চলাচল করছে বলে জানানো হয়েছে৷ সোমবার রাত থেকেই প্রবল বর্ষণ শুরু হয় আরব আমিরশাহিতে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুবাইতে ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ সে দেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ১৯৪৯ সালের পর থেকে একদিনে এত বিপুল বৃষ্টি হয়নি দুবাইতে৷ দেড় বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, মাত্র একদিনেই সেই বৃষ্টি আমিরশাহিকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুবাইয়ের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৪.৭ মিলিমিটার৷

তবে আশার কথা একটাই, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আর বৃষ্টি হয়নি৷ জানা গিয়েছে, আরব আমিরশাহির পাশাপাশি বাহরিনেও বন্যা পরিস্থিতি৷

কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই অপারেশন করে সুস্থ করা হল এক হার্টের রোগীকে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের৷ চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্ঢাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস৷ সদ্য কিছুদিন ধরেই অস্বস্তিতে ছিলেন বছর ৩১-এর অর্চনা৷ বুক ধড়ফড় করছিল৷ সিঁড়ি ভাঙলে বা পরিশ্রম হলে বুকে চাপ অনুভব হচ্ছিল৷ মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল৷ অল্প হাঁটাহাঁটি করলেও হাঁফ ধরছিল৷ বুকে ব্যথা নিয়ে আসেন নিউ আলিপুরের বি পি পোদ্দার হাসপাতালে৷ সেখানে ধরা পড়ে হার্টে দু’টি ফুটো রয়েছে৷ যাদের একটির ব্যাস ৩৩ মিলিমিটার ও অন্যটির ৩.৫ মিলিমিটার৷ রিপোর্টে বেশ ভয় পেয়ে যান অর্চনা৷ চিকিৎসক আদিল ওয়াসিল জানান, এমন ক্ষেত্রে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়, যা মেজর সার্জারির মধ্যে পড়ে৷ এ কথা শুনেই নার্ভাস হয়ে পড়েন অর্চনা৷ তবে তাঁকে আশ্বস্ত করেন চিকিৎসকরাই৷ বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের আধুনিকতম ক্যাথল্যাবেই হয় অর্চনার চিকিৎসা৷ সেখানে ওপেন হার্ট সার্জারি করার প্রয়োজনই পড়েনি৷ বরং অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি যেভাবে হয়, সেভাবেই হাতের শিরার মধ্যে দিয়ে যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা হয়৷ এতে রক্তপাত কম হয়৷ ব্যথাও প্রায় থাকে না৷ চিকিৎসার পরের দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অর্চনা৷ এই প্রসঙ্গে বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের গ্রুপ অ্যাডভাইজার সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘সর্বাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে রোগীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানের দিকে আমরা প্রতি মুহূর্তে যত্নবান৷ তারই ফল এই ধরনের চিকিৎসা৷’

বাঁকুড়ায় অন্ধ মানুষদের সুবিধার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২১শে এপ্রিল,২৪ গঙ্গাজল ঘাঁটির দেশুড়িয়া মোড়ে প্রতিমা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ও বাঁকুড়া ,দূর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলের সহযোগিতায় ১০০ অন্ধ মানুষদের মধ্যে লাঠি, শাড়ি, গ্যাঞ্জি, প্যান্ট, চাল, আলু, ডাল, লবন, জল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়৷

গণিতজ্ঞদের বিশ্বসম্মেলন

সংবাদদাতা
সংগৃহীত
সময়

আগস্ট , ২০১০৷ হায়দ্রাবাদ শহরে অনুষ্ঠিত হয় গণিতজ্ঞদের বিশ্বসম্মেলন ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অব ম্যাথমেটিশিয়ানস ৷ চার বছর অন্তর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিন বা চার জন নবীন গণিতজ্ঞের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরার শিরোপা৷ ফিল্ডস মেডেল - ‘গণিতের নোবেল’৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের সেরা গণিতজ্ঞরা ৷ ন’দিন ব্যাপী সম্মেলনে সকলের নজর পড়ে এক গেরুয়াবসন সন্ন্যাসীর উপর৷ নাম ? স্বামী বিদ্যানাথানন্দ৷ কিন্তু এক সন্ন্যাসী কেন উপস্থিত গণিতজ্ঞদের বিশ্বসম্মেলনে ? কি তাঁর আসল পরিচয় ? উত্তর খুঁজতে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর৷

মহান মিত্র ৷ জন্ম ১৯৬৮ সালে কলকাতাতেই৷ ক্লাস টেন এবং টুয়েলভ সেন্ট জেভিয়ার্সে ৷ ছোট থেকেই ধ্যানজ্ঞান একটাই - অঙ্ক ৷ পড়া শেষ বহু গণিতজ্ঞের জীবনী৷ আইআইটি এন্ট্রান্স র‌্যাংক ৬৭৷ ভর্তি হলেন আইআইটি কানপুরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে৷ থার্ড সেমেস্টারে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং অসহ্য মনে হল মহানের৷ বুঝতে পারলেন তাঁর পছন্দের বিষয় অঙ্ক-র জায়গা খুবই কম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে৷ বিদ্রোহ করলেন মহান৷ বাড়িতে জানালেন, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়েছুড়ে কানপুর আইআইটি-তেই গণিত নিয়ে পড়তে চান৷ বাড়িতে সবার মাথায় হাত৷ মহান নাছোড়৷ বহাল রইল তাঁর জেদ৷ বিষয় বদল করলেন মহান৷ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে যোগ দিলেন আইআইটি কানপুরে গণিত বিভাগে৷ ১৯৯২৷ কানপুর আইআইটি থেকে গণিতে এমএসসি৷ দুর্দান্ত রেসাল্ট৷ পিএইচ ডি করতে পাড়ি দিলেন বার্কলে শহরে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ বিষয় জ্যামিতি৷ ১৯৯৭ সালে পিএইচ ডি৷ বিষয় জ্যামিতি৷

বিদেশবাসকালে জীবনের আর এক সিদ্ধান্ত৷ আসলে ডাকটা মনের মধ্যে ছিল আইআইটি-তে ছাত্রাবস্থাতেই৷ আহ্বান আধ্যাত্মিকতার৷ স্বামী বিবেকানন্দের৷ সন্ন্যাস জীবনের৷ দেশে ফেরার পর মাত্র কয়েক মাস চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিকাল সায়েন্সেস-এ৷ ১৯৯৮ সালে মহান যোগ দিলেন রামকৃষ্ণ মিশনে৷ ২০০৮-এ পুরোদস্তুর গেরুয়াবসন সন্ন্যাসী৷ স্বামী বিদ্যানাথানন্দ৷ মহান মহারাজ৷ পরিবারের সায় ছিল না৷ মিশন দুই শিক্ষা দেয়৷ সেবা এবং সন্ধান৷ সেবা হল পড়ানো৷ জ্যামিতির জ্ঞান ছাত্রদের বিলিয়ে দেওয়া৷ আর সন্ধান? তা আত্মিক প্রচেষ্টা৷ ক্রমাগত সত্যের খোঁজ৷ গভীরে, আরও গভীরে৷ বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সাল অবধি অধ্যাপনা করেছেন মহান মহারাজ৷ বর্তমানের ঠিকানা মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ৷

মহানের সত্যসন্ধান গণিতের যে শাখায়, যেখানে বীজগণিত হাত ধরেছে টপোলজি-র৷ বীজগণিত নিজে হজম করেছে পাটিগণিত৷ মাইনাস ১-এর বর্গমূল কত, তা পাটিগণিত বলতে পারে না৷ সে ব্যর্থতার তোয়াক্কা না করে বীজগণিত এগিয়ে যায় অনেক দূর৷ আবিষ্কার করে নতুন ভুবন৷ আর টপোলজি? তাকে এক কথায় বলে ‘রাবারশিট জিয়োমেট্রি’৷ মানে, রবারের চাদরে আঁকা নকশা৷ চাদরটাকে বাঁকালে বা মোচড়ালে নকশার চেহারা বদলায়, চরিত্র নয়৷ আসলে, টপোলজি হল জ্যামিতির সেই উন্নত রূপ, যা থেমে থাকে না মাত্র তিন মাত্রায় (ডান-বাম, উপর-নীচ, সামনে-পেছনে), কাজ করে পছন্দমত অনেক মাত্রা নিয়ে৷ সে সব মাত্রায় বিন্দু রেখা ত্রিভুজ বা বহুভুজ ধারণ করে বিচিত্র থেকে বিচিত্রতর আকৃতি৷ এমন সব আকার, যা কেবল বিরাজ করে মনের আকাশে৷

প্রয়াত মার্কিন গণিতজ্ঞ উইলিয়াম থার্সটন চার দশক আগে পেশ করেছিলেন এক অনুমান: ‘থার্সটন জিয়োমেট্রাইজেশন কনজেকচার’৷ সে অনুমান অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন মহান৷ দেখিয়েছেন, তা প্রয়োগ করা যায় অনেক ক্ষেত্রে৷ মহানের সাফল্যকে বিশ্ববরেণ্য গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস বরাদান বলেছেন ‘ইম্পর্ট্যান্ট মাইলস্টোন’৷ কৃতিত্বের জন্য মহান ২০১১ সালে পেয়েছেন শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার৷ ভারতে বিজ্ঞানের সেরা শিরোপা৷ ২০১৫ সালে ইনফোসিস প্রাইজ৷ অর্থমূল্য ৬৫ লক্ষ টাকা৷ সে অর্থ মহান দান করেছেন ত্রিবেণী ট্রাস্টকে৷ যে ট্রাস্ট গড়েছেন পদার্থবিজ্ঞানী অশোক সেন৷ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর সংগ্রহে বহু প্রাইজের অর্থ (বেশ কয়েক কোটি টাকা) ঢেলে৷ ট্রাস্টের উদ্দেশ্য? হিতকর শিক্ষাপ্রসারে অনুদান৷

যে ভারত একদা ছিল গণিতচর্চার পীঠস্থান, যার উর্বর ভূমিতে জন্মেছিল শূন্য বা ‘জিরো’-র মতো যুগান্তকারী ধারণা, সে দেশ গণিতশাস্ত্রকে একবিংশ শতাব্দীতে উপহার দিয়েছে এক জন স্টার৷ মহান মহারাজ৷ কুর্নিশ৷ (সংগৃহীত)

জলপাইগুড়িতে এ্যামার্টের ত্রাণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সাম্প্রতিক ঝড়ে বিদ্ধস্ত উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিম বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ এ্যামার্টের পক্ষ থেকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের হাতে খাদ্যদ্রব্য ত্রিপল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিচ্ছে৷ এই ত্রাণকার্য পরিচালনা করছেন আচার্য কর্মেশানন্দ অবধূত ও তাঁকে সাহায্য করছেন স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীরা৷ কেন্দ্রীয় ত্রাণ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত এই সংবাদ দেন৷