সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
গত রবিবার ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন ১লা বৈশাখ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কলিকাতায় কেন্দ্রীয় জাগৃতি ভবনে ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়৷ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে সর্বপ্রথম সকাল ৭-০০টা থেকে ১০-০০টা পর্যন্ত *বাবা নাম কেবলম* মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে সাধনা, সাধ্যায়,বর্ণার্ঘদান ইত্যাদি চলে৷ স্বাধ্যায়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচিত গ্রন্থ থেকে নববর্ষ সম্পর্কে প্রদত্ত প্রবচনটি পাঠ করেন শ্রদ্ধেয় আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ অত:পর উপস্থিত ভক্তমন্ডলী মার্গগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন৷
পরবর্তী পর্যায়ে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্বাগত ভাষণ দেন সমাজ সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে বাঙালী ও বাংলা ভাষার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে প্রতিটি বাঙালী ভাইবোনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান৷ তিনি সুদূর ইতালি থেকে আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত দাদার পাঠানো নববর্ষ উপলক্ষে রচিত একটি কবিতা পাঠ করেন৷ এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় ও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে৷ শ্রদ্ধেয় দাদা আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত, আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, শ্রী মোহনলাল অধিকারী প্রমুখ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ নরেন্দ্রপুর শিশু সদনের শিশুশিল্পীবৃন্দ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে কয়েকটি নৃত্য পরিবেশন করে৷ স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রী হিতাংশু ব্যানার্জী৷ বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় ছিলেন শ্রীমতী সুনন্দা সাহা, প্রণতি পাল, সর্বশ্রী মোহনলাল অধিকারী, সুবোধরঞ্জন কর, নিরঞ্জন সাহা, হিরন্ময় পাঁজা,অমর চ্যাটার্জী,ত্রিলোক নাথ মন্ডল প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি দর্শক মন্ডলী ও শ্রোতামন্ডলী দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়৷
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সংক্ষিপ্ত কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়৷ অত:পর প্রায় তিন শতাধিক ভক্তমন্ডলী দ্বিপ্রাহরিক মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷
নববর্ষের সামগ্রিক অনুষ্ঠানের রূপায়নে সক্রিয় সহযোগিতায় ছিলেন আমরা বাঙালী, প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্সাল ও কলিকাতা ভুক্তি কমিটির সদস্য সদস্যাগণ৷’ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির’ পক্ষ থেকে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা, নমস্কার ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷
নোড়াদহ: ১লা বৈশাখেনোড়াদহ গ্রামে শ্রী সুভাষ বৈরাগী মহাশয়ের বাড়ীতে প্রতি বৎসরের মত এবছরেও সকাল ছ’টা থেকে দুপুর বারটা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ কীর্ত্তনের শেষে বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ অণ্বেষা আচার্যা৷ সকল বক্তাগণই কীর্ত্তনের গুরুত্ব ও উপকারিতার ওপরে আলোকপাত করেন৷
বক্তাগণ নববর্ষের বিষয়ে জানান যে, এ দিন সঙ্কল্প নেওয়ার দিন৷ সারা বছর আমরা যেন সমাজ সেবা করি৷ অতীতের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নিয়ে আমরা যেন শুভ কাজে সময় দিই৷ আমরা যেন আধ্যাত্মিকতার চর্চা আরও বেশী করে করি৷
সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুভাষ বৈরাগীর কন্যা তনিমা বৈরাগী৷ তিনি আশা করেন প্রতি বছরে এই নববর্ষের দিনে যেন আমরা সকলে কীর্ত্তনানুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করি৷ সব শেষে দুটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মিলিত প্রসাদ গ্রহণ করা হয়৷