সংবাদ দর্পণ

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ‘আমরা বাঙালী’র দুই প্রার্থী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাজ্যের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও বালুরঘাট কেন্দ্রের ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী খুশীরঞ্জন মণ্ডল ও নরোত্তম সাহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ দুই কেন্দ্রের প্রচারের দায়িত্বে থাকা আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যুবনেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন--- রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে আমরা বাঙালী কুড়িটার মতো আসনে লড়াই করবে৷ উত্তরবঙ্গে আমরা চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছি৷ এছাড়া ত্রিপুরার দুটি আসনে ও ঝাড়খণ্ডেও কয়েকটি আসনে আমরা বাঙালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ শ্রীবিশ্বাস বলেন---রাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কখনোই দিল্লী গিয়ে বাঙালীর স্বার্থের কথা বলে না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে কোন প্রতিবাদও করে না৷ তাই দিল্লীতে গিয়ে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে ভাগ নেওয়ার জন্য নয়, আমরা বাঙালী দিল্লী যেতে চায় স্বাধীনতার ৭৭ বছর ধরে বাঙালীর প্রতি যে অবিচার ও দমন পীড়ণ চলছে সংসদে সেকথা তুলে ধরতে৷

খাদ্যপণ্যের মূল্য হ্রাসের গ্যারান্টি নেই

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নির্বাচনের প্রচারে যতই মোদির গ্যারান্টি বিজেপি কর্মীরা চড়া গলায় প্রচার করুক কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের মূল্য হ্রাসের কোন গ্যারান্টি নেই৷ প্রতিবেদনটি তৈরী করেন আর বি আই-এর আধিকারিকদের একটি কমিটি৷ এই কমিটির মাথায় রয়েছেন আর বি আই-এর ডেপুটি গভর্নর৷

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশা করেছিল মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নীচে নামবে৷ কিন্তু খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমছে না৷ প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ, খরা পরিস্থিতি, বহু জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাব মূল্যবৃদ্ধির কারণ বলে আর বি আই মনে করে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ওঠানামাও অন্যতম কারণ৷

নির্বাচনের সবে প্রথম দফা শুরু হয়েছে৷ এর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই প্রতিবেদন গরিব ও মধ্য বিত্ত মানুষের যেমন দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে তেমনি সরকারকে বিড়াম্বনায় ফেলেছে৷ এদিকে মূল্যবৃদ্ধির হার না কমার কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও রেপোরেট কমাচ্ছে না৷ ২০২২ সাল থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপোরেট সাড়ে ছয় শতাংশ আছে৷ ফলে মধ্যবিত্তকে ঋণের ই.এম.আই দিতে জেরবার হতে হচ্ছে৷

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাউটিষ্টদের দাবী জীবন যাপনের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির নিশ্চিততা চাই

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ম্যারাথন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে৷ আজ ২৬শে এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন৷ নেতাদের কন্ঠে এখন বাগাড়ম্বরপূর্ণ ভাষার ফুলঝুরি৷ সে ভাষায় জনগণের সংকট মোচনের সমস্যা সমাধানের কোন আশার বাণী নেই৷ শুধু পরস্পরের প্রতি হুমকি ও অশালীন ভাষা প্রয়োগ৷ নেতারা শুধু পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ-বিষ ছড়াচ্ছে৷

প্রাউট দর্শনের অনুগামী আমরা বাঙালী সংঘটন ত্রিপুরা পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বেশ কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ উত্তরবঙ্গে প্রচারের দায়ীত্বে থাকা আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন--- আমরা বাঙালীর লক্ষ্য এক ভাষা এক নির্বাচন এক দেশ নয়৷ ভারতবর্ষ ৪৪টি জনগোষ্ঠীর দেশ৷ প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি, সাহিত্য সংস্কৃতি আছে৷ প্রত্যেকের নিজস্ব নৃতাত্ত্বিক পরিচয় আছে৷ এসবের সঙ্গে ভৌগোলিক অবস্থান বিচার করে ভারতবর্ষকে ৪৪টি স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটি অঞ্চলকে অর্থনীতির দিক থেকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা প্রাউটিষ্টদের প্রাথমিক লক্ষ্য৷

প্রত্যেক মানুষকে জীবন যাপনের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্ত্তির ক্রয়ক্ষমতা দেওয়া৷ ধনি দরিদ্রের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনা৷ এরপর প্রতিভাসম্পন্ন ও বিশেষ গুণসম্পন্ন মানুষের সুখসুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সমাজ তাদের প্রতিভার সুফল পেতে পারে৷ শ্রী বিশ্বাস বলেন---একমাত্র আমরা বাঙালীই পারবে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সামাজিক ভেদ-বিদ্বেস দূর করে আদর্শ সমাজ গড়তে৷ যে সমাজ গড়ার পথ দেখিয়েছে প্রাউট দর্শন৷

জলসত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

তাপপ্রবাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ৷ তাপদগ্দ পথচারিদের ঠাণ্ডা জল ও সরবৎ পানের ব্যবস্থা করছে বলেন্টিয়ার্স সোস্যাল সার্ভিস ও আনন্দমার্গ সেবাদল মহিলা শাখার কর্মীরা৷ দক্ষিণ কলিকাতার তিলজলা, লেকগার্ডেন্স, গড়িয়াহাট প্রভৃতি অঞ্চলে আনন্দমার্গের কর্মীরা তাপদগ্দ ক্লান্ত পথচারিদের হাতে তুলে দিচ্ছে ঠাণ্ডা পানীয়৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলিকাতার ভুক্তিপ্রধান সুনন্দা সাহা ও কলিকাতার বিভিন্ন ইয়ূনিটের কর্মীরা এই কাজে হাত লাগিয়েছে৷ তাঁরা এই কর্মসূচীর নাম দিয়েছে জলসত্র৷

ঐক্য সংহতির সোপান

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিদধি
সময়

সমগ্র মানবজাতির সংস্কৃতি এক তবে অভিব্যক্তিতে আঞ্চলিক তারতম্য রয়েছে৷ ‘শিক্ষা’ সাংস্কৃতিক জীবনেরই একটা অঙ্গ৷ শিক্ষা অবশ্যই নিঃশুল্ক হওয়া উচিত ও তা বিশ্বৈকতাবাদের ভিত্তিতে হওয়া উচিত৷ শিক্ষাকে বাস্তবায়নের সময়ে অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে সমাজে এক এক অঞ্চলের স্থানিক পরিস্থিতি সমস্যা ও স্থানিক প্রয়োজন এক এক রকমের৷ তাই শিক্ষাগত সংরচনা তৈরি করার সময় এই মৌলিক তত্ত্বটাকে মনে রাখতে হবে৷ (কনিকায় প্রাউট, নবম খন্ড) ৷

ভারতবর্ষের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা, কৃষ্টি আহার বিহার পোশাক পরিচ্ছদ প্রভৃতি বিষয়ে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন৷ সেই জন্যই ভারতবর্ষকে বলা হয়---‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’৷ বাঙলার কবি লিখেছেন----- ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’৷ বিবিধের বৈচিত্রের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রাখলেই ভারতবর্ষের সংহতি বজায় থাকবে৷ আজ যে অর্বাচীনের দল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ভাষা শিক্ষানীতি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একের আওয়াজ তুলছে, সেই অর্বাচীনের দল হিন্দুস্থানী প্রেমিক হলেও ভারত প্রেমিক নয়৷ ভারতবর্ষের সংহতি দৃঢ় করতে হলে প্রাউট প্রবক্তার শিক্ষা বিষয়ে উপরোক্ত মৌলিক তত্ত্ব মেনেই নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷ শুধু শিক্ষা বিষয়েই নয় ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা জনগোষ্ঠীর ভাষা, শিক্ষা আহার, পোশাক-পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আচার-আচরণে যে স্বতন্ত্রতা রয়েছে, যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাকে বজায় রেখেই প্রত্যেকটি বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷ নতুবা একের আওয়াজ তুলে ভারতবর্ষের সকল জনগোষ্ঠীর ঘাড়ে হিন্দুস্থানী ভাষা ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি ইত্যাদি জোরপূর্বক চাপিয়ে দিতে গেলে হিতে বিপরীত হবে৷ যে অর্বাচীনের দল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে একদিকে এক ভাষা নীতির, শিক্ষা নীতির আবাজ তুলছে, আবার রাজ্য ভাঙ্গার পরিকল্পনা নিচ্ছে, তাদের জেনে রাখা উচিত যে তাদের অজ্ঞতার কারণে রাজ্য নয়, ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যাবে৷ তাই প্রাউট প্রবক্তার উপরোক্ত শিক্ষার মৌলিক তত্ত্বই ভারতবর্ষের ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করার একমাত্র পথ৷

লোকসভা বোটে উত্তরবঙ্গে আমরা বাঙালীর চার প্রার্থী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে সরকারী-বেসরকারী সর্বস্তরে চালু, ব্লক ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ভাগ বাঙালীর কর্মসংস্থানের নিশ্চিততা,ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাঙালী রেজিমেন্ট পুনর্গঠন সহ বাঙালীর অধিকার আদায়ের দাবীতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা,ঝাড়খন্ডের মতন বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলে ১৫ টির বেশি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷  এবছর রাজ্যে ৮ দফায় নির্বাচন হতে চলেছে৷  ইতিমধ্যে ১৯এপ্রিল ও ২৬শে এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের সমর্থনে ব্যাপকভাবে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে সংগঠন৷ জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের  ‘আমরা বাঙালী’র মনোনীত প্রার্থী নীরোদ চন্দ্র অধিকারীর সমর্থনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাজগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি, গাজলডোবা, বেলাকোবা,আমবাড়ী, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির মতন অঞ্চলে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে৷ কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ মনোনীত প্রার্থী সুবোধ বর্মনের সমর্থনে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা,ঘুঘুমারি, দিনহাটার মতন অঞ্চলে প্রচার অভিযান চলছে৷ দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খুশীরঞ্জন মণ্ডল, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নরোত্তম সাহা৷ কলকাতা থেকে আগত ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে  তপোময় বিশ্বাস, অরুপ মজুমদার,নিতাই মণ্ডল প্রচারের দায়িত্বে আছেন৷এছাড়াও স্থানীয়ভাবে জলপাইগুড়িতে হরেন্দ্রনাথ রায়, মুক্তালাল রায়, গৌতম রায়, বাবলু সরকার কোচবিহারে হরিদাস মোদক, গজেন্দ্রনাথ বর্মন, সুনীল প্রামানিক দার্জিলিং তথা শিলিগুড়িতে অভিজিৎ দাশ, হারাধন ভৌমিকবালুরঘাটে অনাথ বর্মন, রজনী রায় সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন৷

 

কলকাতায় জলসত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলিকাতাসহ গোটা রাজ্যে চলছে তাপপ্রবাহ৷ সকাল ৯টার পরই রাস্তায় বেরনো অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ তবুও মানুষকে পথে বেরোতেই হয় নানা কাজে৷ পথ চলতি তাপ-ক্লান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলান্টিয়ার্স সোসাল সার্বিস ও গার্লস বলান্টিয়ার্সের কর্মীরা গত ১লা বৈশাখ থেকে প্রত্যহ বেলা ১০টা থেকে অপরাহ্ণ ৪টা পর্যন্ত পূর্ব কলকাতায় আনন্দপুর থানা এলাকায় পথ চলতি মানুষের হাতে ঠাণ্ডা পানীয় জল তুলে দিচ্ছেন৷

লকেটের কিউ আর কোড! কিশোরকে ফেরাল বাবা-মায়ের কাছে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গলায় ঝোলানো লকেটে কিউআর কোড৷ আর সেই কিউআর কোডই হারানো পুত্রকে ফিরিয়ে দিল মুম্বইয়ে এক দম্পতির কাছে৷

কিশোরের নাম বিনায়ক কোলি৷ সে বিশেষ ভাবে সক্ষম৷ মুম্বইয়ের ওরলি এলাকার বাসিন্দা বিনায়ক৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সে৷ আশপাশের এলাকায় খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ণ পরিবার কোলাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে৷ কিশোরকে খুঁজতে একটি দল গঠন করে কোলাবা থানা৷

শুক্রবার সকালে এক বাস কনডাক্টর পুলিশ কন্েন্টালরুমে ফোন করেন৷ পুলিশকে তিনি জানান, বাসে একটি কিশোর একা বসে রয়েছে৷ সে নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারছে না৷ বাস কন্ডাক্টরের কাছ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ সেখানে গিয়ে তারা দেখে, কনডাক্টর কিশোরকে বসিয়ে রেখেছেন৷ কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ তাকে জিজ্ঞাসা করেও যখন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ, তখনই বিনায়কের গলার লকেটের উপর নজর পড়ে এক পুলিশকর্মীর৷ সেই লকেটটি ভাল করে খতিয়ে দেখতেই পুলিশকর্মীরা দেখেন, তাতে একটি কিউআর কোড লাগানো রয়েছে৷

তদন্তকারী এক আধিকারিক সেই লকেটের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই কিশোরের বাড়ির ঠিকানা, নাম, বাবার নাম সব তথ্য পেয়ে যান৷ তার পরই কোলাবা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ সেখানেই বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিনায়ককে৷

বিনায়কের দিদি শ্রদ্ধা বলেন, ‘‘আমার ভাই খেলতে খেলতে একটি বাসে উঠে পড়েছিল৷ বাসে চড়তে ওর খুব ভাল লাগে৷ তাই কাউকে না বলেই বাসে উটে পড়েছিল৷ কিন্তু ওর লকেটে যে কিউআর কোড ছিল, সেটার জন্যই ভাইকে ফিরে পেলাম৷’’

আমেরিকার পর এবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে চলেছেন একজন জাপানি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা আমেরিকা সফরে গিয়েছেন৷ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে করা সাংবাদিক বৈঠকেই এই ঘোষণা করেছেন বাইডেন৷ জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাসার চন্দ্র অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নাসার ভবিষ্যতের অভিযানে দু’জন জাপানি মহাকাশচারী থাকবেন৷ তাঁদের মধ্যে এক জন হবেন চাঁদে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমেরিকান নন৷’’২০২৬ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ ‘আর্টেমিস’ অভিযানের তোড়জোড় চলছে জোরকদমে৷ তার মাঝেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিলেন, নাসার অভিযানের সঙ্গে চাঁদে পা রাখতে চলেছেন ভিন্‌দেশীরাও৷ এত দিন পর্যন্ত শুধু আমেরিকার নাগরিকেরাই চাঁদে পা রেখেছেন৷ এ বার নাসার হাত ধরেই সেই কৃতিত্ব পাবে অন্য এক দেশও৷ প্রথম ‘ভিন্‌দেশি’ (নন-আমেরিকান) হিসাবে চাঁদে পা রাখবেন এক জাপানি৷

বাইডেনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নাসার আর্টেমিস অভিযানে শামিল হওয়ার মতো একটি আস্ত রোভার তৈরি করে দেবে তাঁর দেশ৷

বস্তুত, চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডুইন অলড্রিনও৷ ১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসার অ্যাপোলো অভিযানের শরিক হিসাবে মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদে গিয়েছেন৷ তাঁরা প্রত্যেকেই আমেরিকান৷ এখনও পর্যন্ত আমেরিকার বাইরের কোনও দেশের চাঁদে পা রাখার কৃতিত্ব নেই৷ ২০২৬ সালে নাসার আর্টেমিস অভিযান যদি সফল হয়, তবে এক জাপানি হবেন চাঁদে পা রাখা প্রথম মহাকাশচারী, যিনি আমেরিকান নন৷

চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনেরও৷ ২০৩০ সালের মধ্যে তারাও এই কৃতিত্বের অধিকারী হবে বলে দাবি করেছে৷ আর্টেমিস অভিযানকে সফল করতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা৷ সম্প্রতি তারা চাঁদে নিজস্ব মহাকাশযানও পাঠিয়েছে৷ গত জানুয়ারিতেই চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে জাপানের ‘স্লিম’৷ এর মাধ্যমে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং ভারতের পর জাপান চাঁদে পৌঁছতে পারা পঞ্চম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ এ বার সেই দেশের নাগরিকই চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছেন৷

তিলজলা ও নোড়াদহে বর্ষবরণ উৎসব পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত রবিবার ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন  ১লা বৈশাখ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কলিকাতায় কেন্দ্রীয় জাগৃতি ভবনে ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়৷ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে সর্বপ্রথম সকাল ৭-০০টা থেকে ১০-০০টা পর্যন্ত *বাবা নাম কেবলম* মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে সাধনা, সাধ্যায়,বর্ণার্ঘদান ইত্যাদি চলে৷ স্বাধ্যায়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচিত গ্রন্থ থেকে নববর্ষ সম্পর্কে প্রদত্ত প্রবচনটি পাঠ করেন শ্রদ্ধেয় আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ অত:পর উপস্থিত ভক্তমন্ডলী মার্গগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন৷

পরবর্তী পর্যায়ে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্বাগত ভাষণ দেন সমাজ সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে বাঙালী ও বাংলা ভাষার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে প্রতিটি বাঙালী ভাইবোনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান৷ তিনি সুদূর ইতালি থেকে আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত দাদার পাঠানো নববর্ষ উপলক্ষে রচিত একটি কবিতা পাঠ করেন৷ এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় ও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে৷ শ্রদ্ধেয় দাদা আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত, আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, শ্রী মোহনলাল অধিকারী প্রমুখ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ নরেন্দ্রপুর শিশু সদনের শিশুশিল্পীবৃন্দ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে কয়েকটি নৃত্য পরিবেশন করে৷ স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রী হিতাংশু ব্যানার্জী৷ বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় ছিলেন শ্রীমতী সুনন্দা সাহা, প্রণতি পাল, সর্বশ্রী মোহনলাল অধিকারী, সুবোধরঞ্জন কর, নিরঞ্জন সাহা, হিরন্ময় পাঁজা,অমর চ্যাটার্জী,ত্রিলোক নাথ মন্ডল প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি দর্শক মন্ডলী ও শ্রোতামন্ডলী দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়৷

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সংক্ষিপ্ত কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়৷ অত:পর প্রায় তিন শতাধিক ভক্তমন্ডলী দ্বিপ্রাহরিক মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷

নববর্ষের সামগ্রিক অনুষ্ঠানের রূপায়নে সক্রিয় সহযোগিতায় ছিলেন আমরা বাঙালী, প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্সাল ও কলিকাতা ভুক্তি কমিটির সদস্য সদস্যাগণ৷’ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির’ পক্ষ থেকে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা, নমস্কার ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷

নোড়াদহ: ১লা বৈশাখেনোড়াদহ গ্রামে শ্রী সুভাষ বৈরাগী মহাশয়ের বাড়ীতে প্রতি বৎসরের মত এবছরেও সকাল ছ’টা থেকে দুপুর বারটা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ কীর্ত্তনের শেষে বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত  ও অবধূতিকা আনন্দ অণ্বেষা আচার্যা৷ সকল বক্তাগণই কীর্ত্তনের গুরুত্ব ও উপকারিতার ওপরে আলোকপাত করেন৷

বক্তাগণ নববর্ষের বিষয়ে জানান যে, এ দিন সঙ্কল্প নেওয়ার দিন৷ সারা বছর আমরা যেন সমাজ সেবা করি৷ অতীতের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নিয়ে আমরা যেন শুভ কাজে সময় দিই৷ আমরা যেন আধ্যাত্মিকতার চর্চা আরও বেশী করে করি৷

সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুভাষ বৈরাগীর কন্যা তনিমা বৈরাগী৷ তিনি আশা করেন প্রতি বছরে এই নববর্ষের দিনে যেন আমরা সকলে কীর্ত্তনানুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করি৷ সব শেষে দুটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মিলিত প্রসাদ গ্রহণ করা হয়৷