সংবাদ দর্পণ

মেঘালয়ে বাঙালী হত্যা চলছেই নির্বিকার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার ক্ষুব্ধ আমরা বাঙালী দায়ী করলো খাসি ছাত্র সংস্থাকে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেঘালয়ে আবার বাঙালী খুন৷ গত  ১০ই এপ্রিল শিলং-এর মাওলাইতে একদল দুষৃকতি বাঙালী শ্রমিকদের উপর হামলা করে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে৷ দুষৃকতিদের আক্রমণে তিনজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়৷ তাদের মধ্যে  অর্জুন রায় নামের ৫২ বছর বয়সি এক শ্রমিক হাসপাতালে মারা যায়৷ কয়েকদিন আগেই মেঘালয়ের খাসি ছাত্র সংস্থার সিএএ বিরোধী এক মিছিলের পর এক বাঙালীকে খুন করে৷ এর প্রতিবাদে ২রা এপ্রিল আমরা বাঙালী সংস্থা কলিকাতায় মেঘালয় ভবনে এক স্মারকপত্র দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দুষৃকতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও খাসি ছাত্র সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবী জানায়৷ কিন্তু সরকার নির্বিকার৷ তাই দুষৃকতিরা আবার এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাতে  সাহস পেল৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস শিলিগুড়িতে দলীয় প্রার্থীর প্রচার সভায় বলেন এই হত্যা কাণ্ডে খাসি ছাত্র সংস্থা জড়িত৷ সরকার যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়, দুষৃকতিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে খাসি ছাত্র সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে আমরা বাঙালী পথে নামতে বাধ্য হবে৷ শ্রী বিশ্বাস হুমকির সুরে বলেন দীর্ঘদিন ধরেই মেঘালয় সহ সমস্ত উত্তরপূর্বাঞ্চলে বাঙালীদের উপর অত্যাচার চলছে, সরকার যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়, আমরা বাঙালী সংঘটনই ব্যবস্থা নেবে৷

৭৭ বছরে স্বদেশী শাসনের জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে আর কতদিন চলবে দেশবাসী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বাঙলা নববর্ষের দিন শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---স্বদেশী শাসনের ৭৭ বছরের শোষণ বিদেশী ব্রিটিশের শোষণকে ছাড়িয়ে গেছে৷ ধনী দরিদ্র্যের মধ্যে  অর্থনৈতিক বৈষম্য, জাতিবিদ্বেষ দেশকে চরম অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ শাসকদলের স্বৈরাচারি ভূমিকার সমালোচনা করছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের স্বামী৷

শ্রী খাঁ বলেন--- আজ বাংলা নববর্ষের দিন৷ তাই বাঙলার কথা  বিশেষ করে বলতে হচ্ছে তথা কথিত স্বাধীনতার ঊষালগ্ণ থেকেই বাঙলার উপর কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণ, শোষণ বঞ্চনা নিপীড়ণ চলছেই৷ কিন্তু ২০২১শে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢেলে, সাংঘটনিক প্রশাসনিক সবরকম শক্তি প্রয়োগ করেও বাঙলা দখলে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাঙলার প্রতি চরম বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করছে৷ বাঙলার প্রাপ্য টাকা  বাঙলাকে  দিচ্ছে না৷ স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা পুঁজিবাদী শোষণ ও গত ৩৪ বছরের জড়বাদী তাণ্ডব বাঙলার সমাজ জীবনকে বিধবস্ত করে দিয়েছে৷ অর্থনীতি, রাজনীতি-শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সর্বস্ব আজ পুঁজিবাদের কালো হাত কুক্ষিগত করে নিয়েছে৷ বাঙলার রাজনৈতিক নেতারা তাদের হাতের পুতুল মাত্র৷

শ্রী খাঁ প্রাউটিষ্টদের ডাক দিয়ে বলেন--- আজ  প্রাউটিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে বাঙলা তথা সমগ্র দেশকে বাঁচাতে৷ প্রাউটের সদ্‌বিপ্র নেতৃত্বকেই দেশের হাল ধরতে হবে৷ এই বাঙলা নববর্ষের দিন বাঙালী জনগোষ্ঠীর কাছে নবজাগরণের দিন হোক৷ সব ভেদ, বিভেদ, বিদ্বেষ ভুলে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে সর্বপ্রকার শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে৷ গড়ে তুলতে সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত বাঙলা৷ এখান থেকে প্রেরণা পাবে ভারতের অন্য প্রদেশের শোষিত জনগোষ্ঠীগুলি৷ পরিশেষে শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটিষ্টদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠবে বাঙলা, ভারত ও এক নোতুন পৃথিবী স্বদেশী শাসনের জগদ্দল পাথর সরিয়ে৷

ভারতের সংবিধান ঃ  নীতি ও প্রয়োগের বিরোধ

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিদধি
সময়

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত ব্রিটিশের কবল থেকে মুক্ত হয়৷ এরপর ভারতের রাষ্ট্রনীতি কী হবে, কীভাবে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থা চলবে তা নির্ধারণের জন্যে ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে এক কমিটি তৈরী করা হয়, তার ওপর ভারতের সংবিধান  লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ সংবিধান হল সেই নির্দেশক পুস্তক যাতে রাষ্টের আচরণ বিধি, আইন ও আদর্শ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ যথারীতি ওই কমিটি তাদের লিখিত সংবিধান তৈরী করে ও ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়৷ এই সংবিধানে দেশের প্রতিটি মানুষের জাগতিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের অধিকার স্বীকৃত আছে৷ দেশের প্রতিটি মানুষের সমানাধিকার, স্বাধীনতার অধিকারও মেনে নেওয়া হয়েছে৷ প্রতিটি মানুষের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অধিকারও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে৷ সংবিধানের নীতি ও আদর্শ তো আপাতত শুনতে খুবই ভাল৷ কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে কী? এইটেই মূল প্রশ্ণ৷

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ বর্তমানে ভারতে আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশ আমলের থেকেও বেশী৷ ওই প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে---দেশে ধনকুবেরদের রাজ চলছে৷ দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ গ্রাস করে নিয়েছে মুষ্টিমেয় ধনকুবেররা৷ সাধারণ মানুষের অর্থাৎ নীচের দিকের পঞ্চাশ শতাংশ  মানুষের গড় আয় বছরে ৭১ হাজার টাকা সেখানে সব থেকে ধনী দশ হাজার ব্যষ্টির গড় আয় বছরে ৪৮ কোটি টাকা৷

বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদনে প্রকাশ ভারতে ১৫ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে৷ বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ভারতের স্থান প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকেও অনেক নীচে৷ সাধারণ মানুষের আয় কমলেও বেকারত্ব বাড়লেও ধনকুবেরদের আয় কয়েক গুণ করে বেড়েছে৷

এরই নাম কি সমানাধিকার? একদিকে অনাহারে মৃত্যুর মিছিল অন্যদিকে বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি৷  সংবিধানের আপাতমধুর প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে  এদেশের রাষ্ট্রনেতা বা রাষ্ট্রনেত্রীবর্গ পুঁজিপতিদের তোষণ করেছেন ও সাধারণ গরীব মানুষদের প্রতি শোষণও অবাধে হয়ে যেতে দিয়েছেন৷ সে শোষণ বন্ধ করার চেষ্টা তো করেননি, বরং সেই শোষণ আরও বেশি করে যাতে চলে তারই ব্যবস্থা করেছেন৷

কেন এমনটা হচ্ছে? এর মূল কারণ হল ভারতের যে  স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে , এই স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের তাড়ানোর মূল লক্ষ্য ছিল৷ কিন্তু জনগণের অর্থনৈতিক শোষণমুক্তির কোন আদর্শ নেতাদের সামনে ছিল না৷ যদিও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ও এম.এন রায় এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছিলেন৷ কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরকরণ যাদের হাতে হয়েছিল তারা কেউ এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেননি৷ ফলে স্বাধীনতা লাভের ফলে দেশে যে নোতুন সরকার তৈরীর হয়েছে তার মূল নিয়ন্ত্রণ ভার যাদের হাতে থেকেছে তারা আর কেউ নয় সেই দেশীয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরক্ষে বিদেশী পুঁজিপতিগোষ্ঠীও৷ দেশের নেতা নেত্রীরা পুতুল নাচের মতো জনসমক্ষে অভিনয় করে গেছেন কিন্তু তারা এক অদৃশ্য সুতোর দ্বারা পুঁজিপতিদের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়েছেন৷ নির্বাচনী বণ্ড সামনে আশায় বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়েছে৷ কারণ পুঁজিপতিরা বিনাস্বার্থে অর্থ বিনিয়োগ করে না৷ আর বলাবাহুল্য শুধু ভারতকে নয়, সারা বিশ্বের পুঁজিপতিরা এক সূত্রেই গাঁথা ছিল৷ অর্থনৈতিক মূল নীতি হিসাবে ‘অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণ’ নীতি সব দেশেই অব্যাহত থাকল৷ যে সমস্ত দেশ কমুউনিষ্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল বা নোতুন করে কমিউনিষ্ট শাসন কায়েম হলো (যেমন চিনে) সে সমস্ত দেশেও অর্থনৈতিক কেন্দ্রীকরণ নীতি অব্যাহত রইল বা চালু হল৷ তাই কমিউনিষ্ট দেশগুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পুঁজিবাদী নীতিই অনুসরণ করতে থাকল৷

অকম্যুনিষ্ট  দেশগুলিতে যেমন দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে  মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী. কম্যুনিষ্ট দেশগুলিতে  দেশের  অর্থনৈতিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে থাকল শাসন ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক পার্টির নেতা নেত্রীরা৷ জনগণের হাতে অর্থনৈতিক শক্তি বন্টিত  হ’ল না৷ ফলে  জনগণের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটল না৷

তাছাড়া, ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথাও স্বাধীনতার পর কেউ ভাবল না৷ কেন্দ্রের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিশেষ বিশেষ নেতা-নেত্রী পার্টি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করাটাই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সঞ্চালিকা  শক্তি থেকে গেল৷ আর বলা বাহুল্য, তারও গোড়ায় থেকে গেল মুনাফালুন্ঠন নীতি৷ প্রফিট মোটিব্‌৷ কনজামসন মোটিব্‌ নয়৷ ফলে দেশের সমস্ত জেলায় সমস্ত ব্লকে কৃষিশিল্পের উন্নতি ঘটানোর নীতি গৃহীত হ’ল না৷  আর তা না করার জন্যে দেশের কোনো কোনো এলাকা  ‘ঘাটতি শ্রম’ এলাকা থেকে গেল, কোনো কোনো এলাকা ‘উদ্‌বৃত্ত শ্রম’ এলাকা থেকে গেল৷ ফলে বেকার সমস্যাটাও জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকল৷ চাকরীর জন্যে সর্বত্র যুবক ছেলে মেয়েরা উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকল৷ গত বছর করোনা লক্‌ডাউনের আবহে ‘পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা’ নামক যে জটিল সমস্যা দেখা দিল তার উৎস কিন্তু ভারতের এই ত্রুটিপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নীতি দেশে ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনা নীতি গৃহীত থাকলে এই ধরণের সমস্যার উদ্ভব হ’ত না৷ প্রতিটি ব্লকে ওই ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনা নীতি গৃহীত থাকলে এই ধরণের  সমস্যার উদ্ভব হ’ত না৷ প্রতিটি ব্লকে ওই ব্লকের বেকারদের কর্মসংস্থানের  সুযোগ সৃষ্টি হ’ত৷ ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছে, এদেশে সংবিধান ও আইনের  চোখে  কোনো জাত -পাত সম্প্রদায়ের  বিভেদ দেখা হবে না৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সর্বত্র জাত-পাত-সম্প্রদায় নিয়ে ঘৃণা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্বের আবহ৷ ‘মানুষ মানুষ ভাই ভাই, সকল মানুষের  সম অধিকার’ ---এটা যুগের নীতি৷ কিন্তু ভারতের সংবিধানের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে আজ সর্বত্র সাম্প্রদায়িক লড়াইয়ের কুচকাওয়াজ  শুরু হয়ে গেছে৷ এর পরিণতি যে অতি ভয়ঙ্কর তা অনুমান করতে  মোটেই অসুবিধা হয় না৷আজ দেশের তথা বিশ্বের  সামনে এই যে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ এক ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণ সামনে অপেক্ষা করছে৷ এর থেকে বাঁচবার একমাত্র রাস্তা মহান্‌ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘প্রাউট’ প্রবর্তিত ‘নোতুন নীতি’ নোতুন নেতা’ তত্ত্ব--- প্রাউটের  প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ ও ‘আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে বিশ্বৈকতাবাদের  প্রতিষ্ঠা’র  নোতুন নীতি৷ দেশের বিদগ্দজনকে তথা ছাত্রও  যুব সমাজকে  তাই এই সংকট মূহূর্তে ‘প্রাউটে’র প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের অতি প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় বনগাঁ কলেজ-পাড়া নিবাসী শ্রী গৌরীশঙ্কর বিশ্বাস মহাশয় ইংরেজী ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী গত ৮ই এপ্রিল ভোর রাত ২-৪৫ ঘটিকায় পরলোক গমন করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ (ছিয়াশী) বৎসর৷ তিনি আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন৷ তিনি ১৯৬৮-৬৯ সাল নাগাদ সাধনা শেখেন৷ তিনি ২০১৭ সালে বাবার জীবনীমূলক গ্রন্থ ‘তারকব্রহ্ম শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও বিশ্বায়ন’ শিরোনামে রচনা করেছেন৷ পুস্তকখানি কবিতায় লেখা ও এখানে বাবার জীবনী সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ তাঁর নশ্বর দেহ মার্গীয় বিধিতে সৎকার করা হয়েছে বনগাঁ মহাশ্মশানে৷ তাঁর অন্তেষ্টি অনুষ্ঠানে বনগাঁ ও পার্শবর্তী ইউনিটের বিশিষ্ট মার্গী দাদা-দিদি ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁর আত্মার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি৷ তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে নিজস্ব বাস ভবনে (কলেজপাড়া) আগামী শনিবার (১৩/০৪/২০২৪) সকাল দশটায়৷ সকলের উপস্থিতি কাম্য৷ 

 নাতনিদের জব্দ করতে পাঁচকোটির সম্পত্তি থেকে মাত্র পাঁচহাজার টাকার সম্পত্তি দিলেন এক বৃদ্ধ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পাঁচ কোটির বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ৷ সঙ্গে আরও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাড়ি ছিল তাঁর নামে৷ তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানদেরই সে সম্পত্তি পাওয়ার কথা৷ কিন্তু মৃত্যুর আগে উইল করে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ৷ বঞ্চিত করলেন পাঁচ নাতনিকে৷ অভিযোগ, শেষ জীবনে ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷

ফিরেও তাকাননি তাঁর দিকে৷ তাই পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে তাঁদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ৷ঘটনাটি ব্রিটেনের৷ দাদুর এই ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা৷ তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি৷ বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন৷

জানিয়েছেন, বৃদ্ধ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷ তাই তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন৷ সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে তাই বৃদ্ধের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত৷ তিন বার তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷

অভিযোগ, সে সময়ে এই পাঁচ নাতনি তাঁকে এক বারের জন্যেও দেখতে যাননি৷ বৃদ্ধের তিন পুত্রের পাঁচ কন্যাকেই সম্পত্তি থেকে ‘বঞ্চিত’ করেছেন তিনি৷ পাঁচ জনকে দিয়েছেন ৫০ পাউন্ড করে৷ ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যার মূল্য পাঁচ হাজার টাকা৷ সম্পত্তির বাকি অংশ ও বাড়িটি তিনি বাকি দুই পুত্রের নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন৷

বৃদ্ধের এমন আচরণে হয়তো তাঁদের নাতনিদের অসুবিধা হয়েছে অনেকটাই৷ সেই বৃদ্ধ এখন ইহ জগতেও নেই৷ কিন্তু তিনি যে কাজটা করে গেছেন তা সত্যিই একটা মনুষ্যতত্বের কাজ৷ কারণ প্রতিটি মানুষের বোঝা উচিত যে মানুষ বৃদ্ধ হলেই তাঁর সব কিছু শেষ হয়ে যায় না৷ প্রতিটি বৃদ্ধের দরকার একটু যত্ন সে তাঁর কাছে পয়সা থাক বা না থাক৷ মা-বাবা দাদু-দিদিমাকে কোন দিন তাচ্ছিল্য করা উচিত হয়৷ সম্পত্তির ভাগ পাবার জন্য নয় মানুষ হিসেবে তাদের পাশে থাকা উচিত৷ কারণ নাতি নাতনিরাই তো তাদের ভবিষ্যত, তাদের কষ্টের উপার্জন৷ টাকা পয়সা তাদের ভবিষ্যৎ নয়৷

বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি দর্শণে সূর্যগ্রহণে মিলল বহু তথ্য

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

৮ এপ্রিলের (সোমবার) পূর্ণগ্রাস সূর‌্যগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছিল মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডা থেকে৷ এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি এরিস-এর গবেষকেরা৷ তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরে৷ উদ্দেশ্য, সূর‌্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা৷ ডালাসের ‘কটন বোল স্টেডিয়াম’-এ গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কমপক্ষে ১০ হাজার সাধারণ মানুষ৷ সূর‌্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার জন্য উত্তেজনায় ফুটছিলেন সকলেই৷ গ্রহণ দেখলেন তাঁরা, জানলেন সৌরজগতের খুঁটিনাটি, বিজ্ঞানের গল্প শুনলেন বিশেষজ্ঞদের থেকে৷

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট থেকে সূর‌্যের গা থেকে একটু একটু করে খসতে শুরু করে৷ প্রকট হতে থাকে উজ্জ্বল কাস্তের ফলা৷ তার পরে একেবারে চাঁদের আড়ালে চলে যায় সূর্য৷ দিনের বেলা অন্ধকার নামে পৃথিবীর বুকে৷ পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শুরু হয়েছিল ১টা ৪০ মিনিটে৷ পুরোপুরি ঢেকে যায় সূর‌্য৷ আর ঠিক এই মুহূর্তে স্পষ্ট ভাবে, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সূর‌্যের করোনা (সূর‌্যের পরিমণ্ডলের একেবারে বাইরের স্তর)৷ এ দিনের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য ছিল এই করোনা-ই৷ তাঁদের বিশ্বাস, সূর‌্যের এই অংশের কার‌্যকলাপ বা গতিবিধি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চমকপ্রদও বটে৷ দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার৷ তা ছাড়া এই গবেষণার জন্যেও এটা আদর্শ সময়৷’’ গত বছর ২ সেপ্ঢেম্বর মহাকাশে পাড়ি দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রথম সৌরযান ‘আদিত্য-এল১’৷ এ বছর ৬ জানুয়ারি সে পৌঁছয় গন্তব্যে৷ বর্তমানে পৃথিবী ও সূর‌্যের মাঝখানে এল ১ পয়েন্টকে ঘিরে থাকা হ্যালো অরবিট থেকে আদিত্য নজর রাখছে সূর‌্যের উপরে৷ এটি একটি করোনাগ্রাফি স্পেসক্রাফ্‌ট৷ পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সূর‌্যের পরিমণ্ডলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে সে৷ আদিত্যের ৭টি প্রোব-ই নিয়মিত ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সূর‌্য ও তার হেলিওস্ফিয়ারকে নিয়ে৷

দীপঙ্কর জানান, ঠিক এই সময়ে সূর‌্যগ্রহণ এর থেকে ভাল সুযোগ হতে পারত না বিজ্ঞানীদের জন্য৷ সূর‌্য, চাঁদ ও পৃথিবীর এমন অবস্থানে স্পষ্ট হয়ে উঠবে সৌর পরিবেশ বা সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার৷ এই সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ারের সব চেয়ে বাইরের অংশকে বলা হয় করোনা৷ পূর্ণগ্রাস সূর‌্যগ্রহণের সময়ে করোনার ভিতরের অংশ অনেকটাই পরিষ্কার দৃশ্যমান হবে৷

ডালাসের স্টেডিয়ামে উপস্থিত এরিসের দলে দীপঙ্কর ছাড়াও ছিলেন বিজ্ঞানী এস কৃষ্ণপ্রসাদ এবং বিজ্ঞানী টি এস কুমার৷ তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ১৪ সেন্টিমিটার টেলিস্কোপ৷ গ্রহণকালে দূরবীক্ষণ যন্ত্রটির উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সূর‌্যের করোনায় তীব্র গতিতে ঘটতে থাকা পরিবর্তন৷ দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এই ক্যামেরা এতটাই শক্তিশালী যে প্রতি সেকেন্ডে ৮টি ফ্রেম বন্দি করতে পারে৷’’ দীপঙ্কর বলেন, ‘‘ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল১-এও একটি করোনাগ্রাফ যন্ত্র রয়েছে৷ পরবর্তী কাজ হচ্ছে, আদিত্যের করোনাগ্রাফ থেকে পাওয়া তথ্য ও আমাদের গ্রাউন্ড রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা৷ বিষয়টা নিয়ে আমরা খুবই উত্তেজিত৷’’

অসমে ভোট এলেই বিজেপির বাঙালী প্রেম জেগে ওঠে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রধানমন্ত্রীর মতো অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বাঙালীদের ধাপ্পা দিয়ে চলেছেন৷ অসমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রতিশ্রুতি ৬ মাসের মধ্যেই অসমে ডি-ভোটার সমস্যার সমাধান হবে৷ অসমবাসী বাঙালীরা এটাকে মুখ্যমন্ত্রীর ধাপ্পা বলেই উড়িয়ে দিচ্ছে৷ ২০১৪ সালে স্বয়ং নরেন্দ্রমোদি অসমে ভোট-প্রচারের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে অসমের সমস্ত  ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷ দুবছর পরে বিধানসভা নির্বাচনেও অসমে বিজেপি জয়লাভ করে৷ অসমে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও একটা ডিটেনশন ক্যাম্প ও ভাঙা হয়নি, গোয়ালপাড়ায় তৈরী হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প৷ ডি-ভোটার নিয়ে হিমন্তর প্রতিশ্রুতিও প্রধানমন্ত্রীর মতোই অসার ভোট প্রচার মাত্র৷ অসম মেঘালয় সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে ক্যা, এন.আর.সি ডিলিমিটেশন, ফরেনার্স ট্রাইবুনালের নামে বাঙালীদের উপর অত্যাচার চলছেই৷ অথচ ভোট এলেই বিজেপি নেতারা বাঙালী প্রেমে গদ গদ হয়ে ওঠেন৷ অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান ও আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন বিজেপির বাঙলা প্রেমের পুরোটাই ধাপ্পা৷ বাঙালী বিদ্বেষী মেঘালয়ে ক্যা বিরোধীতার নামে অনুপজাতির হত্যার দোষীদের বিচার চেয়ে দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকপত্র দেন শ্রীপুরকায়স্থ ৷ তিনি মেঘালয়ের সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী সংঘটনগুলি নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবী করেন৷

এদেশে গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ৷ স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক দলের ‘ব’-কলমে দেশের শাসনভার পরিচালনা করছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করাই পবিত্র কর্তব্য৷ কিন্তু ভারতবর্ষের আজও ৮০ শতাংশের বেশী মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সচতেন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলভনে ৭৭ বছরে কোন শাসকই জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলোভনে পড়ে জনগণ শাসক নির্বাচন করে নিজেদের ভালোমন্দ না বুঝেই ৭৭ বছরে কোন শাসক জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার কোন চেষ্টাই করেনি, কোন সরকারের কোন কর্মসূচীও নেই৷ কারণ জনগণের অচেতনতাই রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধন৷ শ্রী খাঁ বলেন--- নির্বাচন ঘোষণার মাত্র তিনদিন আগে পরিবেশ দপ্তরের আপত্তি উপেক্ষা  করে মধ্য প্রদেশের মারা-২ মাহান কয়লা ব্লক আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ এখানে মজুত কয়লার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৯৫০ লক্ষ টন৷ শ্রী খাঁ বলেন এই বিপুল পরিমাণ কয়লা জলের দরে ধনকুবেরদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আয়ের মাত্র ৬ শতাংশ সরকার পাবে৷  পুঁজিবাদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদেরই সেবা দাসে পরিণত হয়েছে৷ দেশের সম্পদ এইভাবে লুঠ হচ্ছে৷ এখন নির্বাচন সামনে আসতেই নেতারা জনদরদী হয়ে গেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কোচবিহারে জনসভায় নারী শক্তি উত্থানের স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন৷

আচার্য প্রসুনানন্দ বলেন প্রাউটে (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব) স্পষ্টই বলা হয়েছে সফল গণতন্ত্রের প্রধান শর্তই হলো জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা৷ কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিবাদের  সেবা করে চলেছে, জনগণের পকেট কেটে পুঁজিপতিদের ভাণ্ডার ভরে দিচ্ছে৷ এইভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে দলগুলি৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের ছিদ্রপথে পুঁজিপতি ও রাজনৈতিক দলের যৌথ শোষণে জনগণ জেরবার হচ্ছে৷

রাজনীতির রং বদল নয়---ক্ষমতা হাতবদল নয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আমূল পরিবর্তন চাই

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বর্তমান সমাজ সার্বিক সংকটে দিশাহীন হয়ে পড়েছে৷ নেতৃত্বের সংকট,অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অশ্লীলতার স্রোত মানুষকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে৷ অপরাধের পথে যেতে বাধ্য করছে৷ পুঁজিবাদী শোষণের চরম অবস্থায় পৌঁচেছে শোষণ৷ আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে নেতারা পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষায় সমালোচনা ছাড়া যুব সমাজকে সৎপথে চলার প্রেরণা দেওয়ার কোন বার্র্ত নেই৷ বরং নেতা মন্ত্রীদের কথায় বিপরীত পথে চলার উস্কানি আছে৷ হাত পা ভেঙে দেওয়ার মত হুমকিও দেওয়া হচ্ছে৷ গণতন্ত্রের বেদীতে দানবতন্ত্রের আস্ফালন৷ এই পরিস্থিতিতে আসল নকল কোন পরিবর্তনই মানুষের কল্যাণ করতে পারবে না৷

সততা ও নৈতিকতায় দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ব্যতিরেক মানুষের কাঙ্খিত পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক নৈতিকতার আদর্শে সুপ্রতিষ্ঠিত নেতৃত্বের কথা বলেছেন৷ প্রাউটের ভাষায় এঁদের বলা হয় সদ্‌বিপ্র নেতৃত্ব৷ মানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্যে পরিবর্তন আনতে হলে সদ্‌বিপ্র নেতৃত্বের হাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব তুলে দিতে হবে৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদল হলেই যে পরিবর্তন হবে তা নয়৷ পুঁজিবাদী সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় রাজনৈতিক দলগুলো ধনকুবেরদের হাতের পুতুল মাত্র৷ নির্বাচনী বণ্ড প্রকাশ হওয়ায় আরও স্পষ্ট হলো, জনসমর্থন নয়, রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদের দয়ার উপর নির্ভর করে চলে৷ তাই শাসক বিরোধী সবপক্ষই পুঁজিপতিদের সেবাদাস, জনগণের কল্যাণ ভাবনা এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নেই৷ দেশের রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি ধনকুবেররাই নিয়ন্ত্রণ করছে৷ তাই ক্ষমতার হাত বদল হলেও সামাজিক অর্থনৈতিক  কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয় না৷ আর তা যদি না হয় তবে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়৷ পরিবর্তন চাই পুঁজিবাদ নির্ভর সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোর৷ পরিবর্তন চাই রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টিভঙ্গির৷ শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদলে যা কিছুতেই সম্ভব নয়৷

আচার্য প্রসূনানন্দ বলেন বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক সংরচনার আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে চুরমার করে প্রাউটের আদর্শে বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সূচনা হবে ব্লক থেকে৷ স্থানীয় মানুষের হাতে থাকবে আর্থিক শক্তি৷ প্রতিটি ব্লকের ভৌগোলিক অবস্থান ও কৃষি অকৃষি সম্পদের ওপর নির্ভর করে ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে৷ যেখানে কৃষিভিত্তিক, কৃষিসহায়ক ও অকৃষি শিল্প গড়ে একশ শতাংশ মানুষের  কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা তুলে দিতে হবে৷ অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চিততা দিতে হবে৷ তবে প্রাউটের উন্নয়ন এখানেই থেমে থাকবে না৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক মানের ক্রমবৃদ্ধি ঘটিয়ে মানুষের জীবন ধারণের মানের উন্নয়ন করে যেতে হবে৷ মানুষ যাতে জীবনে পরমলক্ষ্যের পানে চলার সুযোগ পায়৷

আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূতের কথায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে পুঁজিবাদ ও মার্কসবাদের পক্ষে মানুষের সার্বিক কল্যাণ করা সম্ভ নয়৷ একমাত্র প্রাউটের পথে সদবিপ্রের নেতৃত্ব ও বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক  পরিকল্পনাই প্রকৃত পরিবর্তনই আনবে৷ প্রাউটিষ্টরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে৷ অচিরেই মানুষের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক চেতনার আমূল পরিবর্তন আসবে৷ সমাজের বুকে আর একটা নবজাগরণের ঢেউ আছড়ে পড়বে৷ আর সেটা ঘটবে প্রাউটের আদর্শকে ভিত্তি করে সদবিপ্রের নেতৃত্বে৷

পাঁশকুড়ায় মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪শে মার্চ রবিবার পাঁশকুড়ার পূর্ববাকুল্দা গ্রামে বাকুল্দা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অনিল কুমার মণ্ডলের নাতির শুভ অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় প্রথায় সুসম্পন্ন হল৷ সকাল থেকে ছয় ঘণ্টার অখণ্ড কীর্তন ও মিলিত সাধনার পর শুরু হয় মূল নামকরণ অনুষ্ঠান৷ অচিন্ত্য-মধুছন্দার নবজাতক পুত্রের নাম রাখা হয় ’তৃষাণ’৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার‌্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত মহোদয়৷ সহযোগিতা করেন অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার‌্যা, বিভুকনা আচার‌্যা প্রমুখ শ্রদ্ধেয়া দিদিগন৷ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রক্তদান শিবির(৪০) ও চারাবিতরণ (৬০০) উপস্থিত অতিথিদের মনে সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে নোতুন ভাবনার জন্ম দেয়৷ গৃহকর্তী শ্রীমতী চিন্ময়ী মণ্ডলের আন্তরিক অতিথি আপ্যায়ন সত্যিই ভোলা যাবে না৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী অনন্ত কুমার গোস্বামী৷