পূর্বপ্রকাশিতের পর ,
দিল্লী সেক্টরের সামাজিক অর্থনৈতিক সমাজগুলির নাম প্রাউটের আলোকে
পূর্বভারতে সমাজ
১. আমরা বাঙালী সমাজ
২. অসমিয়া সমাজ
৩. বোরো সমাজ
৪. উৎকল সমাজ
৫. ভুটিয়া সমাজ
৬. লেপচা সমাজ
উত্তর ভারতে
৭. মিথিলা সমাজ
৮. অঙ্গীকা সমাজ
৯. মগহী সমাজ
১০. ভোজপুরী সমাজ
১১. নাগপুরিয়া সমাজ
১২. কোশল সমাজ
১৩. অবধি সমাজ
১৪. ব্রজ সমাজ
১৫. হরিয়াণভী সমাজ
১৬. গাঢ়ওয়ালী সমাজ
১৭. কুমায়নী সমাজ
পশ্চিম ভারতে
১৮. পঞ্জাবী সমাজ
১৯. শিরমউরী সমাজ
২০. মাড়ওয়াড়ী সমাজ
২১. হাদাউতি সমাজ
২২. মেওয়ারী সমাজ
২৩. কাচ্ছি সমাজ
উত্তর ভারতের পাহাড়ী এলাকা
২৪. পাহাড়ী সমাজ
২৫. কিন্নরী সমাজ
২৬. ডোগরী সমাজ
২৭. কাথিয়াড়ি সমাজ
২৮. গুজ্জর সমাজ
২৯. বিদর্ভ সমাজ
৩০. সহাদ্রী সমাজ
৩১. মালওয়া সমাজ
উত্তর পশ্চিমে ভারতের
৩২. কশ্মীরী সমাজ
৩৩. ল্যাডাকী সমাজ
উত্তর ভারতের ভাগে
৩৪. বুন্দেলখণ্ড সমাজ
৩৫. বাগেলখণ্ড সমাজ
৩৬. ছত্রিশগড় সমাজ
দক্ষিণ ভারতে
৩৭. তেলেঙ্গানা সমাজ
৩৮. সিরকার সমাজ
৩৯. রয়ালসীমা সমাজ
৪০. তামিল সমাজ
৪১. মালয়ালাম সমাজ
৪২. কানাড়া সমাজ
৪৩. টুলু সমাজ
৪৪. কঙ্কনী সমাজ
যে ৪৪টি সমাজ ভারতে দেখানো হয়েছে এটির পথ প্রদর্শক মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ সারা পৃথিবীতে এই ধরণের সমাজ আছে বাহিরের দেশে ও ভারত একটি উপমহাদেশ স্বরূপ৷ তাই এই ভারতের সমস্যা সমাধান করে তারই আলোকে আলেকিত হবে পৃথিবীর৷ এই ভারতের আলোক বর্ত্তিকাই হবে অন্যদেশের অন্ধকার দুরীকরণের দিশারী৷ ভারত জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পাবে তার জন্যই এই উপমহাদেশকে এক আদর্শবান রাষ্ট্র পরিণত করাটাই হোক এদেশের সৎনীতিবাদী প্রাউটিষ্টদের পবিত্র দেশ সেবা৷ আর এই সমস্যা সংকূল বাঙলা হোক, এখানকার পথ প্রদর্শক৷ অত্যন্ত দুঃখের কথা মহান ভারত আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত৷ তার মূল কারণ এখানকার আর্থিক তথা সামাজিক অবস্থা শোচনীয় মূলতঃ দেশীয় পুঁজিপতিদের শোষন ও রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের ব্যর্থতার কারণে৷ আজ দেশকে বাঁচাতে শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে সৎনীতিবাদীদের আন্তরিক সেবায়৷ প্রসঙ্গত আমার অনুরোধ সারা ভারতের এই ৪৪টি সমাজের লোকদের মধ্যে যাঁরা একটু সচেতন তাঁদের অনুপ্রাণিত করে সমাজের সমস্যা দুরীকরণে সত্ত্বর ব্রতী হয়৷ এই প্রসঙ্গে একটি কথা সকলের স্মরণ করাটা খুবই জরুরী তা হ’ল চরম সমস্যা সংকূল বাঙালী সমাজের কঠিন সমস্যাগুলিকে অতি সত্ত্বর দুর করার কাজে ব্রতী হতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে৷ নচেৎ এই আলোচনাটাই হয়ে দাঁড়াবে চরম হাস্যকর ও পরিহাস৷ সমাজ যদি ধবংস হয়ে যায় এবং শোষক শ্রেণীই যদি শাসনে এসে যুগের পর যুগ শোষণ করে চলে তা হলে মানুষ যে সামাজিক উন্নত প্রাণী সেই কথাটাই চিরকালের মতো হতভাগ্য শোষিত মানুষ ভুলে যাবে৷ আর বৈচিত্র্যের মধ্যে সেই ঐক্য কথাটাই অসার হয়ে যাবে৷ সেই আসুরিক শোষণ চলতেই থাকবে৷
তাই তাঁর নির্দ্দেশে প্রাণ দিয়ে সমাজ সেবা জরুরী৷ উপরিউক্ত সমাজগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি স্বীকৃত বাকিগুলি প্রায় অর্ধস্বীকৃত ও অনেকক্ষেত্রে সেই সমাজগুলি যে সব বৃহত্তর সমাজ এর সঙ্গে আছে, তাদের সঙ্গে মিশে আছে কিন্তু সংখ্যায় অল্পতার জন্য সেগুলি নামে আছে কিন্তু স্বীকৃত নয়৷ বড়ো সমাজের মধ্যে পড়ে সেগুলির অর্ধমৃত দশা৷ তাতে সেই সমাজের ভাষা ও কৃষ্টি সংস্কৃতি ধবংস হয়ে যেতে বসেছে৷ যেমন হিন্দী বলয়ে অনেকগুলি সমাজ আজ লুপ্ত প্রায় হিন্দির প্রভাবে৷
কেন এই আন্দোলন? এর উত্তর হলো কোন সমাজ যেন ধবংসপ্রাপ্ত না হয় সেই বিশ্ব স্রষ্ঠার সৃষ্টির বুকে৷ কারণ সেগুলিরও গুরুত্ব আছে৷ যারা যে সমাজের মানুষ তাদের স্বাভাবিক বিকাশের মূল মাধ্যম হচ্ছে তার মাতৃভাষা ও কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যেগুলি জন্ম সূত্রে পাওয়া৷ উদাহরণ স্বরূপ বলি আমরা বাঙালীরা যারা মাতৃভাষায় পড়াশুনা করেছি সেটা সহজবোধ্য হয়েছে আমাদের কাছে৷ কিন্তু আমরা যদি অন্য রাজ্যে বাস করি আর মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ না পাই তা হলে মনের স্বাভাবিক বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হবে৷ লেখাপড়া হয়তো করবে তারা, হয়তো কিছু শিখবে কিন্তু মাতৃভাষা থেকে বঞ্চিত হবে৷ সাবলীল মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ হতে বঞ্চিত হবে৷ তাই প্রতিটি সমাজেরই স্বীকৃতি ও বিকাশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই পরমারাধ্য ৰাৰা এই শুভ নির্দেশনা শুধু দিয়েছেন যাতে আমরা এই প্রতিটি সমাজের সার্বিক বিকাশের জন্য কাজ করে যাই৷ এতে সারা জগতেরই বিরাট কল্যাণ হবে আর শোষণ মুক্ত মানব সমাজ একদিন গড়ে উঠবেই৷ (ক্রমশ)
- Log in to post comments