পরিযায়ী পাখির দল উড়ে এল রাজ্যে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

হিমালয়ের পাদদেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব থেকে যেমন চিন, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া এমনকি পশ্চিম ইয়ূরোপ থেকে উড়ে এসেছে পরিযায়ী পাখিরা৷ নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জলাভূমিতে শীতের পরিযায়ী হয়ে আসা সেই ভিনদেশী অতিথিদের  সংখ্যা জানতে তৎপর হয়েছে রাজ্য বন দফতর৷ নদিয়া-মুর্শিদাবাদ বনবিভাগ চলতি সপ্তাহ থেকেই শুরু করেছে সেই কাজ৷

নদিয়া-মুর্শিদাবাদের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) প্রদীপ বাউরী বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই পাখিদের শুমারি শুরু হয়েছে৷ একটি ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করে পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান রাখার চেষ্টা হচ্ছে৷’’ বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৮টি বড় জলাশয়ে প্রতি বছর পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে৷ সেগুলিতেই চলবে গণনার কাজ৷ বিভিন্ন পরিযায়ী হাঁসের প্রজাতির পাশাপাশি, দুই জেলার জলাভূমি ও নদীর তীরে ‘ওয়াডার’ জাতীয় পাখিরাও শীতের অতিথি হয়ে আসে৷ হাঁসের  মধ্যে সংখ্যায় বেশি হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসা ‘স্থানীয় পরিযায়ী’ লেসার হুইসলিং টিল বা ছোট সরালেরা৷ এছাড়া হিমালয়ে পেরিয়ে আসা নর্দান পিনটেল, নর্দান শোভেলার, বড় রাঙামুখী, টাফটেড ডাক, গারগেনি ডাক ও গ্যাডোওয়ালের মতো প্রজাতি রয়েছে এই তালিকায়৷ জলাশয়ের তীরে বিচরণকারী কমন স্যান্ডপাইপার, উড স্যান্ডপাইপার, কমন স্নাইপ, কমন গ্রিনশ্যাঙ্ক, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার, লিটল রিংগড প্লোভার, স্পটেড রেডশ্যাঙ্ক, রাফ, স্মল প্র্যাটিনকোল টেমিঙ্ক স্টিন্টের মতো পাখিদের শুমারি করবে বনদফতর৷