প্রতিযোগিতার আদলে শৈশব এখন প্রতিযোগিতাময়

লেখক
বিশ্বদেব মুখার্জী

বিকেলের মাঠ একাকি৷ সবুজ ঘাসের ইশারায় সাড়া না দিয়ে টিউশন আরো কত কি৷ সঙ্গী মোবাইল৷ সারাদিন টিকটক, ফ্রি ফায়ার আর রিল৷ শিশুদের এমন বৈকল্য পীড়া দেয় সংবেদনশীল মনে৷ তাই তো আন্তর্জাতিক এক সংস্থা বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন গল্প শুনতে ও শোনাতেRAWA অর্থাৎRenaissance Artists And Writers Association সংস্থার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার কর্মকর্তা ও বিচারকমণ্ডলী কেশপুর চক্রের পাটনা বাহাদুরনগর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন৷

বিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থী প্রভাত রঞ্জন সরকারের লেখা গল্প ’ অনুনাসিকা ’ বলে৷ বিচারকমণ্ডলীর বিবেচনায় প্রথম স্থান অধিকার করে পিয়ালী পান, দ্বিতীয়: রিতম কুমার মণ্ডল, তৃতীয়: তনয়া ঘোষ, চতুর্থ: শুভশ্রী কোল্যা, পঞ্চম: ঋত্বিক দোলই৷ অভিভাবক- অভিভাবিকাদের নজরকাড়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়৷

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বর্ষীয়ান শিক্ষক নেতৃত্ব বিশ্বনাথ কোল্যা৷ প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন কেশপুর ব্লকের ৩ নং আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপদ পাখিরা৷ উপপ্রধান মহাশয় এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ আবেদন রাখেন যাতে প্রতিবছর এমন মনকাড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনি তাঁর অঞ্চলের প্রতিটি বিদ্যালয়ে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সচেষ্ট হবেন বলে জানান৷

অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার পালধী সর্বাত্মক উদ্যোগ নেন৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে জানান,’ সারাবছর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিদ্যালয়ের শিশুরা নিয়োজিত থাকে৷ এই প্রথম গল্প বলা প্রতিযোগিতা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হোল৷ আগামীদিনে এমন আয়োজন করতে আমরা উদ্যোগী হব৷’

নাচে গানে গল্পে শিশুরা বিদ্যালয় অঙ্গনকে মুখরিত করে তুলেছিল৷

রেনেশাঁ আর্টিস্টস এ্যান্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ দীর্ঘ সময় ধরে শিশুদের অংশগ্রহণে তিনি খুশি হন৷

বিচারকমণ্ডলীরূপে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা কাজরী বসু, গোপা ব্যানার্জী, কল্পনা গিরি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুভাশীষ সাহু৷ অনুষ্ঠানের নেপথ্য কারিগর বিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন শিক্ষক কেদার রায় মহাশয়ের কর্মচঞ্চলতা বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কেশপুর চক্রের গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নেহাশিস চৌধুরী৷

অনুষ্ঠানটি ঘিরে পাটনা বাহাদুর নগর গ্রাম শিক্ষা কমিটির তৎপরতা ও এলাকাবাসীর উৎসাহ নজরে পড়ে৷