হে বীর তোমারে জানাই প্রণাম আজি এ শুভ্র প্রাতে৷
নির্ভিক এক দুর্দম প্রাণ এনেছিলে করে সাথে৷৷
বনেদীয়ানার সোনার চামচ ঘৃণা করে দূরে ছঁুড়ে৷
মানুষের সাথে মিলেছ মিশেছ দেখেছ হৃদয় খুঁড়ে৷
পরাধীনতার নাগপাশে বাঁধা জননী জন্মভূমি৷
কম্বু কণ্ঠে শপথের বাণী মাতৃচরণ চুমি৷৷
স্বদেশের ভাষা স্বদেশের বেশ স্বদেশের ভাবধারা৷
লোভ–লালসার সুখের জীবনে হওনি তো পথহারা৷৷
কটূক্তি করা ওটন সাহেব শিখেছিল সহবৎ৷
বজ্রকঠিন দৃপ্ত কণ্ঠে প্রকাশিলে মতামত৷৷
মহান হওয়ার চেষ্টা ছিল না ভাল কি তা বুঝেছিলে৷
কুৎসা কাদার দুর্গম পথে নির্ভয়ে যুঝেছিলে৷৷
সম–সামায়িক জ্ঞানী গুণী সব – ছিল না তোমার ভক্ত৷
শক্ত পথের পথিক তুমি যে বলেছিলে দিতে রক্ত৷
মিউ মিউ করা বেড়াল তার চুপি চুপি এঁটো কাঁটা৷
খালি পেটে থেকে মিঠে পান খেয়ে জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটা৷৷
আপোষকামিতা আলোচনা সভা গোল গোল কথকতা৷
ঘৃণা করে সব চলেছ স্ব–পথে সহিয়া নীরবে ব্যথা৷৷
চলনে তোমার দৃপ্ত ভঙ্গী ফাঁপা উদ্ধত নয়৷
সংযত বাক্ স্বাভাবিকতার জাননি কেমন ভয়৷৷
আগুন ঝরানো বাক্যে বচনে দেশের তরুণ দল৷
পতাকা হাতেতে পথে নামে সব কেঁপে ওঠে ধরা তল৷৷
তোমরা আমাকে রক্ত দাও – আমি দেব স্বাধীনতা৷
ইংরেজ বেনে ভয়েতে পালাবে ফেলে দিয়ে হাল খাতা৷৷
ভারতবর্ষ জানল তোমাকে করল তোমাকে নেতা৷
লাখো লাখো যত যুবক যুবতী মানল তোমাকে ত্রাতা৷৷
হিংসা না অহিংস তত্ত্ব বেড়ে গেল জাল–যুক্তি৷
তবে কি এখনো বিশ বাঁও জলে জন্মভূমির মুক্তি৷
অভিমানে তুমি পদ ছেড়ে দিলে ভিন দেশে দিলে পাড়ি৷
সেইখানে থেকে যুদ্ধ চালালে আজাদ বাহিনী গড়ি৷৷
বিমান ধ্বংসে তোমার মৃত্যু আজো রহস্যময়৷
নেতার বেশেতে এসো গো নেতাজী দূর কর পাপ ভয়৷৷
ধর্ম ভাষার প্রাদেশিকতার এখনো যে বাড়াবাড়ি৷
মিটাও সে সবে এক করে দাও এসো তুমি তাড়াতাড়ি৷৷
তোমার ত্যাগের মন্ত্রে আমরা আবার নেবো যে দীক্ষা৷
তোমার দেখানো পথেতে হাঁটবো নিয়ে তোমারই শিক্ষা৷৷
- Log in to post comments