স্বভাব যায় না ম’লে

লেখক
প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

(‘কথামালা’ অবলম্বনে রচিত)

এক যে ছিল চাষী

এবার তবে তার কথাতেই আসি৷

শীতের ভোরে চাষের কাজে

যাচ্ছিল সে ক্ষেতে,

পথে যেতে যেতে

দেখতে পেলো প্রকাণ্ড এক সাপ

তিড়িং করে লাফিয়ে উঠলো---

ওরে বাপরে বাপ!

 

সাপটা ছিল মরো মরো

হিমেতে আচ্ছন্ন

চাষীর মনে জাগলো মায়া

তাই সাপটার জন্য৷

বাড়িতে এনে আগুনে সেঁকে

খাইয়ে কিছু খাবার

যত্নে তাকে আগের মতো

করলো চাঙা আবার৷

 

চাষীর ঘরে যত্ন-আত্যির

ছিল না কোন অভাব,

তবুও সাপের বদলালো না স্বভাব৷

চাষীভায়ার ছোট্ট ছেলে

খেলছিল দাওয়ায়,

দেখেই তাকে ফণা তুলে

ছোবল মারতে যায়৷

 

তাই না দেখে চাষী হলেন

ক্রদ্ধ অতিশয়---

‘ওরে কৃতঘ্ন, হিংস্র ক্রর

তোকে আর দয়া নয়৷’

কুপিত চাষী কুঠার দিয়ে

মারলো এক ঘা---

এক ঘায়েতেই বেরিয়ে গেল

সাপের প্রাণটা৷

 

সেবা পেয়েও চাষীকে সাপ

দিল না প্রতিদান,

অকৃতজ্ঞ কর্মদোষে

হারালো তাই প্রাণ৷

তাই তো বলি,

সাধে কি লোকে বলে

স্বভাব যায় না মলে