আরও একবার বিজ্ঞানের জয় জয় কার৷ পৃথিবীতে বিজ্ঞান দিনের পর দিন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন রোগের উপশম হিসেবে মনুষ্যজাতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেই চলেছে৷ তারই আরও একটা নিদর্শন হল এই জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট৷ এর মানে হল মানুষের দেহে কোন পশুর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা৷ আর এটাতে বিজ্ঞান সাফল্যলাভও করেছে৷ গত বছর আমেরিকার মেরিল্যাণ্ডে সর্বপ্রথম একটি শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয় একটি মনুষ্য শরীরে৷ আবার সেই মেরিল্যাণ্ডেই গত বুধবার চিকিৎসকদের দ্বিতীয় চেষ্টাও সফল হয়েছে৷
৫৮ বছর বয়সের লরেন্স ফসেটের দেহে জিন পরিবর্তিত শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে৷ তাঁর রক্তনালীতে সমস্যা ছিল৷ অভ্যন্তরীণ রক্তপাতও হত৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, যেকোন মুহূর্তে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যু অনিবার্য হত৷ কিন্তু হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন জরুরি হওয়ার কারণে তার অস্ত্রোপচার হয়৷ এখন তিনি সুস্থ আছেন৷ নতু হৃদপিণ্ডের মাধ্যমেই তিনি দিব্যি শ্বাস নিতে পারছেন৷ শ্বাসক্রিয়া চালু রাখার জন্য বাইরে থেকে কোনও যন্ত্রের সাহায্য লাগছে না৷
মানুষের দেহে শূকরের হৃদপিণ্ড বসানোর পর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে মেরিল্যাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে৷ এর আগেও ৫৭ বছর বয়সের একজন বৃদ্ধের এখানেই হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়৷ মাস দুয়েক আগে তার মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁর শরীরে নানা জটিলতার সৃষ্টির কারণে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷ এই ধরণের প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন৷ কারণ, রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নতুন এই অঙ্গটির সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না৷ এর আগে শূকরের দেহ থেকে মানুষের দেহে কিডনি সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে৷ দ্বিতীয় বার হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে৷