পূর্বে প্রকাশিতের পর
যে মানুষ তার মনকে উচ্চ সাধনায় রত রাখেন, তাঁর মনকে এই নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম গন্ধ-তন্মাত্র বাহিত হয়ে প্রভাবিত করতে পারে না তবে কখনও কখনও সাধনা করতে করতে যদি স্থূল বিষয়েরপ্রতি মন নিবিষ্ট হয়, তবে গন্ধ বাহিত এই মাইক্রোবাইটাম সাধককে আক্রমন করে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এই গন্ধবাহিত মাইক্রোবাইটামদের নাম দিয়েছেন---গন্ধপিশাচ শ্রীসরকার আরও বলেছেন এই গন্ধপিশাচ সহস্র শ্রেণী--- উপশ্রেণীতে বিভক্ত ও এরা অজস্র ছন্দে আবর্তিত হয় নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের মধ্যে যে সকল মাইক্রোবাইটাম গন্ধের দ্বারা বাহিত হয় তারাই হল গন্ধ্পিশাচ মাইক্রোবাইটাম
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি বস্তুর এক একটি নিজস্ব মৌলিক গন্ধ আছে, আর বস্তুর এই মৌলিক গন্ধ স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টি হয়েছে এই গন্ধ হল বস্তুর স্বকীয় ধর্ম এই স্বকীয় ধর্ম কোন মানুষ তো দূরের কথা, কোন মহাপুরুষ কিংবা কোন সাধক ও গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে না, উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় গোলাপ ফুলে অথবা রজনীগন্ধ ফুলে যে মৌলিক গন্ধ পাই সেই গন্ধের উৎস কোথায় শুধু ফুলেই নয়, এমনি করে প্রতিটি বস্তুর মৌলিক গন্ধের উৎস কোথায় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন --- সকল গন্ধের উৎস হল গন্ধমেরু মেরু শব্দের অর্থ হল প্রত্যন্ত সুতরাং গন্ধমেরু কথার অর্থ হল --- মেরু বা প্রত্যন্ত থেকে যে গন্ধ উৎসারিত হয়ে ঐ গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে শব্দ-স্পর্শ-রূপ-রস-গন্ধ এই পঞ্চতন্মাত্রগুলি প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে সগুণ ব্রহ্মের প্রত্যন্ত সীমা থেকে উৎসারিত হয় অর্থাৎ নির্গুণব্রহ্ম ও সগুন ব্রহ্মের স্পর্শবিন্দু Tangential Point) হল তারকব্রহ্ম বা প্রত্যন্ত
নির্গুণ ব্রহ্ম ও সগুণ ব্রহ্মের স্পর্শ বিন্দুকে
একটি চিত্রের দ্বারা দেখানো হল ঃ
প্রকৃত পক্ষে এই স্পর্শবিন্দু, যার ভবলোকের, ভাবজগতের নাম তারকব্রহ্ম তিনিই শব্দ মেরু, স্পর্শমেরু,রূপমেরু, রসমেরু ও গন্ধমেরু অর্থাৎ সমস্ত তন্মাত্রের উৎস হল একই তারকব্রহ্ম বা প্রত্যন্ত
সুতরাং গন্ধমেরু হল---যিনি সমস্ত গন্ধকে তৈরী করেন ও এই তৈরী গন্ধকে উৎকীর্ণ, বিকির্ন করে দেন যিনি মানুষের দেহ-মন-আত্মাকে স্থূল-সূক্ষ্ম কারণে গন্ধের মাধ্যমে সঞ্জীবিত ও উজ্জীবিত করেন, সেই তারকব্রহ্মই আমাদের জীবনের লক্ষ্য, জীবনের ধ্যেয় ও তিনিই হলেন আমাদের ইষ্ট-অভিষ্ঠ
- Log in to post comments