‘তুমি নিজে এলে’

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

তুমি নিজে এলে আমার ঘরে

সেকি আমার তরে শুধু আমার তরে!

নাই আবাহন নাই আমন্ত্রণ

তবুও তোমার শুভ পদার্পণ,

সূর্যোদয়ের রাঙা ঊষায়

মনোবীণায় সুর ভেসে যায়!

 

দিবস রজনী আলোকে আঁধারে

আশা-হতাশায় ‘এ’ জীবন ভরে,

কত কাল যুগ কতনা জীবন

অজান্তে কভুকি করেছি স্মরণ!

তাতো জানা নাই মনে নাই ঠাঁই

তবু ভোরের আঙ্গিনায়

তোমা দেখা পাই৷

 

কেন আমায় করলে স্মরণ,

তুমি জানো এর গোপন কারণ৷

আলো হাতে দিলে পথের দিশা,

কাটিল গহন অমানিশা৷

বুঝিনি তো আগে স্নেহ-অনুরাগে

গড়েছ প্রীতির বন্ধন,

ভাব-জড়তা দূর করে দিলে

পেয়েছি প্রেমের স্পন্দন৷

 

মানব জীবনে শঙ্কা হরণে

যোগাও দুর্জয় সাহস,

হতাশার যবনিকা টেনে 

প্রাণচঞ্চলতা নিরলস৷

অন্তঃবিহীন পথের পুঁজি

 অনন্ত আলোর প্রেরণা৷

তাই স্বাগত জানাই প্রাণ মন ভরে

কাটিল বিড়ম্বনা৷