December 2017

ক্যাচ মিস, স্ট্যাম্পিং মিসের সৌজন্যে তৃতীয় টেস্ট ড্র

ভারতীয় ক্রিকেটের জন্যে খবরটা মোটেই সুখকর নয়৷ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট ড্র হ’ল বললে ভুল হবে বললে ভাল হয় যে ভারত এই জয় হাতছাড়া করল৷ ৪১০ রান করতে হবে এই লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে শ্রীলঙ্কা৷ ৫ উইকেটে ২৯৯ রান তোলার পর দুই অধিনায়ক ম্যাচ ড্র-এর সিদ্ধান্ত নেয়৷ দিল্লীর ফিরোজ শা কোটলায় যখন সকলে ভাবছেন ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা তখনই শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান কতটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই ভারতীয় বোলারদের মোকাবিলা করে এই টেস্টকে ড্র রাখতে সমর্থ হন৷

 

শীতকালীন অলিম্পিক্সে রাশিয়া বাতিল

  আগামী বছর দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক্সে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া৷ তিন বছর আগে নিজেদের দেশে আয়োজিত অলিম্পিক্সে ডোপিং করার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে৷ সোচি অলিম্পিক্সের সময় রাশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রীদ্বয় মুটকো ও ইউরিনাগরনিখ আগামী কোনও অলিম্পিক্সেই থাকতে পারবেন না৷ এরাই খেলোয়াড়দের ডোপিং করার উৎসাহদাতা বলে অভিযোগ৷

সেরেনা আবার টেনিস কোর্টে

আগামী বছর অষ্ট্রেলীয় ওপেনে কোর্টে র্যাকেট হাতে দেখা যাবে বিশ্ব টেনিসের খ্যাতনামা আমেরিকান মহিলা তারকা সেরেণা উইলিয়ামসকে৷ ২০১৮-এর ১৫ জানুয়ারি থেকে অষ্ট্রেলিয় পেন শুরু হবে বলে ঠিক হয়েছে৷ বেশ কিছুদিন টেনিস কোর্ট থেকে দূরে থাকার পর আবার কোর্টে ফিরছেন টেনিসের সবরকম পুরস্কারে ভূষিতা সেরেনা৷ উল্লেখ্য গত সেপ্ঢেম্বর মাসে সেরেণা এক শিশুকন্যার জন্ম দেন৷ এখন তিনি শারীরিকভাবে কোর্টে নামার জন্যে পুরোপুরি তৈরী৷ জানিয়েছেন অষ্ট্রেলিয় ওপেনের কর্মকর্তারা৷ তাই আশা করা যায় আবার কোর্টে রাকেট হাতে দাপাবেন সেরেণা৷

প্রাউটের অর্থনীতি–ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

বিকেন্দ্রিত সামাজিক–অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অতি সহজেই কৃষি ও শিল্পের আধুনিকীকরণ করা যায় ও তার উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারও সহজে পাওয়া যায়৷ এইভাবে যদি সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি আপন আপন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিকাশ ঘটায় তাহলে বিভিন্ন অঞ্চলের মাথা পিছু আয়–বৈষম্য হ্রাস পাবে ও অনুন্নত অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাকে উন্নত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমপর্যায়ে আনা যাবে৷ প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ভোগ করবে৷ যখন প্রত্যেকটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে তখন সমস্ত দেশই অতি দ্রুত অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে৷

বাসক ও রাম বাসক

বাসক ও রাম বাসক গাছ পূর্ব ভারতে ভালই জন্মায়৷ রাম বাসক উচ্চতায় তেমন ৰড় হয় না৷ অনেক সময় গাছ একটু ৰড় হলে শুয়ে পড়ে৷ রাম বাসকের সঙ্গে শেয়ালের ন্যাজের কেমন যেন একটা সুদূর সম্পর্ক রয়ে গেছে৷ তাই রাম বাসককে ক্ষলা হয় ক্রোষ্টুপুচ্ছী, ক্রোষ্টুপুচ্ছিকা, ক্রোষ্টুকপুচ্ছী, ক্রোষ্টুকপুচ্ছিকা৷

 বাসক গাছও উচ্চতায় তেমন ৰড় হয় না, কিন্তু ডালপালা শক্ত থাকে৷ এর পাতা ঘন সবুজ ও লম্বা৷ এর সবচেয়ে বেশী গুণ পাতায়৷

বাসক পাতার বা বাসক রসের গুণ কফ মুক্তিতে ও জ্বর প্রতিরোধে৷ সর্দির ক্ষাড়াক্ষাড়িতে ও পালাজ্বরের আক্রমণে বাসকের জুড়ি মেলা ভার৷

                ‘‘বাসি মুখে বাসকের রস খেও মধু সাথে

থেকো আমার মনে

বিভাংশু মাইতি

প্রভু থেকো আমার মনে

ভোরের বেলায় শিউলি তলায়

দিনে বেণুবনে৷

পড়াশুণার ধারাপাতে

তারায় ভরা নীরব রাতে

সকল কাজে সবার মাঝে

সদাই সবখানে

তুমি থেকো আমার মনে

প্রভু থেকো আমার মনে৷

তুমি চাইলে সবই হয়

অন্ধজনও দেখতে পায়

মূকও কথা কয়

তুমি চাইলে সবই হয়৷

তুমি চাইলে সবই হয়

পাথরেও ফুল ফোটে গো

উজানে নদী বয়৷

তুমি চাইলে সবই হয়

তোমার কৃপায় অনায়াসে

করব তোমায় জয়

তুমি চাইলে সবই হয়৷

খানার মর্ম সবাই বোঝে না

‘কৌশিকা’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল রেকাবি, পিরীচ (পেয়ালা–পিরীচ), ডিশ, প্লেট (চায়ের প্লেট), জলখাবারের জন্যে ব্যবহার করা ছোট আকারের কানা–উঁচু থালা, ফুলকাটা থালা, সরা প্রভৃতি৷ প্রাচীন ভারতে এই প্রত্যেকটি জিনিসই ‘কৌশিকা’ নামে পরিচিত ছিল ও জলখাবারের জন্যে এই বাসনই সাধারণতঃ ব্যবহার করা হত৷ প্রাচীন রােে রান্না করা জলখাবারের জন্যে ‘কৌশিকা’–ই ব্যবহার করা হত৷ কিন্তু না–রাঁধা জলখাবারের জন্যে ছোট আকারের একপ্রকার পাত্র যাকে ছোট ধুচুনী বা পেত্তে বলা হয় বা বলা হত তা–ই ব্যবহার করা হত৷ রাঢ়ের পণ্ডিতেরা এই জন্যে ছোট আকারের ধুচুনী বা পেত্তের জন্যে সংসৃক্ত ‘কৌশিকা’ শব্দ ব্যবহার করতেন৷

বিদ্যার কমলভবনে মত্তহস্তীর  দাপাদাপি

বিদ্যার পীঠস্থান প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চবিদ্যালয় প্রায় সর্বত্রই বর্তমানে এমন সব কর্ম চলছে, যাতে বিদ্যাচর্চার পরিবেশটাই প্রায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে৷ আর তারই কারণে সারা দেশ জুড়ে দুর্নীতি, অনাচার, ব্যাভিচার প্রভৃতি ব্যাপকভাবে ঘটে চলেছে৷

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মানবধর্মের প্রচার করেছেন ঃ ড: অরুণ ঘোষ

গত ২রা ডিসেম্বর কলকাতার মোহিত মৈত্র মঞ্চে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক মনোজ্ঞ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়৷ তার সঙ্গে এক মনোজ্ঞ প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠানও হয়৷

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত ভাষণ দেন শ্রী মনোজ কুমার সরকার ৷ তিনি তাঁর ভাষণে মানবকল্যাণে মার্গগুরুদেবের বহুমুখী অবদানের ওপর আলোকপাাত করেন৷

আচার্য তপেশ্বরানন্দজী পরলোকে

আনন্দমার্গের  প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য তপেশ্বরানন্দ অবধূত গত ২রা ডিসেম্বর রাত্রিতে কলকাতার আনন্দমার্গ আশ্রমে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন৷

১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি তিনি আনন্দমার্গের  অবধূত  দীক্ষায় দীক্ষিত হয়েছিলেন৷ এরপর  তিনি  মার্গের  অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছিলেন৷ দীর্ঘদিন তিনি  কেন্দ্রীয় ধর্মপ্রচার সচিবও ছিলেন৷  পরে দক্ষিণ আমেরিকায় মার্গের প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন৷ এখানেই তিনি অসুস্থ হন৷ অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে কলকাতাতে আনা হয়৷ এখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন৷