December 2017

নানান ভাবে এদের পাবে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

অনেককে ভাই দেখতে পাই

                প্রায় পাগলের ন্যায়

এরা সবাই নানান ভাবে

                কিছু করে দেখায়৷

জ্ঞানের পাগল, কাজের পাগল

                কেউ বা পাগল ধনে

ভাবের পাগল হয়ে কেউবা

                সাগরেদ্দর ঢেউ গোনে৷

নামের পাগল, যশের পাগল

                খ্যাতির পাগল শেষে

খুব বাহবার বিড়ম্বনায়

                যায় সুনামে ফেঁসে৷

দেশের পাগল দশের পাগল

                গড়ার পাগল কেউ

এমন পাগল অনেক হলে

                ভালর ওঠে ঢেউ৷

ধ্যানের পাগল যোগের পাগল

টেবীর খোঁপা

‘ক্রম্’ ধাতু+ ড+ কস্+ অচ=  ক্রকষ ৷  ‘ক্রকষ’  শব্দের অর্থ হল কোন কিছুকে সাজিয়ে গুজিয়ে আসর মাত করে দেওয়া--- কোন অসুন্দর জিনিসকে সাজানোর গুণে সুন্দর ক’রে  দেওয়া --- অভিনয়ের সময় গ্রীণরুমে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নানান বস্তুর সাহায্যে অনুপম করে সাজিয়ে দেওয়া৷ যে কালো কুচ্ছিৎ ভুতুম প্যাঁচার মত দেখতে তাকেও  রজতোজ্জ্বল শিবতুল্য করে তোলা, পেত্নী-শাঁকচুন্নীকে তিলোত্তমা করে গড়ে তোলা৷ আলোছায়ার খেলা দেখিয়ে কচুরিপানায় ভরা এঁদোপুকুরকে নীল মহোদধিতে পরিণত করে তোলা৷ এ সই ক্রকষ৷ ক্রকষের খেলা প্রসঙ্গে একটি গল্প মনে পড়ল৷

রোহিতের ডবল সেঞ্চুরী শ্রীলঙ্কাকে ১৪১ রানে উড়িয়ে দিল ভারত

অধিনায়কের অপরাজিত ২০৮ রানের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ভারত মোহালিতে রাজত্ব করল৷ ধরমশালাতে হারের বদলা নিল ভারত৷ শ্রীলঙ্কা নাস্তানাবুদ হ’ল ১৪১ রানে৷ এখন তিন ম্যাচের সিরিজে ফল দাঁড়াল ১-১৷

সচীন সিওয়াচ এশিয়ার সেরা বক্সার

এই বছরে যুব বক্সিং চ্যাম্পিয়ানের সম্মান লাভ করে এশিয়ার সেরা বক্সারের রাজমুকুট লাভ করেছেন ভারতের সচীন সিওয়াচ৷ এই বছরে তিনি  এশিয়ান মিটে রুপো জিতেছেন৷

শচীন তেণ্ডুলকর  সরাসরি  চিঠি  লিখলেন শচীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদিকে

এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখলেন প্রাক্তন ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার শচীন তেণ্ডুলকর৷ তিনি সরাসরি চিঠি তে দাবী করেন  ইন্টারন্যাশানাল পর্র্যয় যে ক্রীড়াবিদরা পদক জয় করেছেন তাঁদেরকে  ‘‘সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিমে’’ জায়গা দেওয়া উচিত৷ কারণ এনারা একটা সময়ের পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন৷ তাই  ‘মাস্টার ব্লাস্টার  এই চিঠি লেখেন , গত ২৪শে অক্টোবর,২০১৭৷ কিন্তু এতদিন পর এটি পৌঁছায় পি.টি.আই-এর হাতে৷  তিনি এর আগেও এ বিষয়ে বহু দফতরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছিলেন , যেমন-ক্রীড়ামন্ত্রক, স্বাস্থ্য দফতর ইত্যাদি ৷ তাঁরা এর জবাবে বলেন, তাঁদের এই কথাটি পছন্দ হলেও বিপুল সংখ্যক খেলোয়াড়দের এর আওতায় আনা এ মুহূর্

বাংলা বানান প্রসঙ্গে৷

* ও, আর/এবং–সংযোজক ‘ও’–এর পরিবর্ত্তে অনেকে প্রায়শঃ ‘এবং’ শব্দটির ব্যবহার করে থাকেন৷ কিন্তু ‘এবং’ মানে ‘ও’ নয়৷ ‘এবং’ বাংলা শব্দও নয় এটি একটি সংসৃক্ত শব্দ, যার মানে ‘এইভাবে’, ‘এইরকমে’৷ যেমন, ‘এবং কুরু’ মানে এইভাবে করো৷ সুতরাং ‘ও’–র পরিবর্ত্তে ‘এবং’ প্রয়োগ করলে চলক্ষে না৷ পরিবর্ত্তে ‘ও’ বা ‘আর’ লিখলেই ভাল হয়৷

ভারতবর্ষ ও আধ্যাত্মিকতা

এখন ভারতবর্ষ ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক৷ এই দেশের নাম ভারতবর্ষ৷ জানতো, পৃথিবীতে যা কিছু শব্দ আছে সবই অর্থপূর্ণ৷ গ্রামের নামই হোক বা নদীর নাম, সবেরই একটা অর্থ আছে৷ এ দেশের নাম ভারতবর্ষ কেন রাখা হ’ল? প্রাচীনকালে এখানকার বাসিন্দা ছিল দ্রাবিড়, অষ্ট্রিক ও মঙ্গোলিয়ন৷ আর্যরা যখন এল তখন তারা এর নামকরণ করলে ‘ভারতবর্ষ’৷ এমন নাম কেন করা হ’ল?

যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম হিসাবে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার বাঞ্ছনীয়

কোন অঞ্চলের সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা ও অফিসগুলিতে স্থানীয় ভাষাকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ভাষা মানুষের অন্তরের ভাব প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই ভাষা মানুষের প্রাণীন সম্পদ–যা তার প্রাণধর্ম, অর্থাৎ সত্তাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ নিজস্ব মাতৃভাষায় একজন যেমন স্বচ্ছন্দে ও সাবলীলভাবে নিজের ভাবকে প্রকাশ করতে পারে, তেমনটি অন্য কোন ভাষায় পারে না৷ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে সে অসুবিধা বোধ করে৷ প্রতিনিয়তই যদি অন্য ভাষায় কথা বলিয়ে এরূপ অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে তাকে বাধ্য করান হয়, তবে তার প্রাণশক্তি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে–ক্রমশ প্রাণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে৷ এই রকম পরিস্থিতিত

ভৈরব ও ভৈরবী

আজকে আমি তন্ত্রের ইতিহাসের একটা অর্দ্ধলুপ্ত কথা বলব৷ প্রায় সকলেই জান যে আদি তান্ত্রিক, মহাকৌল ছিলেন সদাশিব৷ সদাশিবের ব্রত ছিল–‘‘কুর্বন্তু বিশ্বং তান্ত্রিকম্,’’ গোটা বিশ্বকে তান্ত্রিক করে ফেলা৷ তান্ত্রিক মানে, যে মানুষের সমস্ত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করে জয়ী হয়ে বিশ্বমানবতার মহান বাণী প্রচার করবে৷ মানুষ যে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব, সেটা কেবল কথায় নয়, নীতিগত ভাবে নয়, কাজে প্রমাণ করবে৷

শাক

মানুষ যে সকল সহজলভ্য খাদ্য খেয়ে থাকে তার অন্যতম হচ্ছে শাক৷ শব্দটাই বলে দিচ্ছে শাক মানে তাই–ই যা শক্তি জোগায়৷ তোমরা জান অধিকাংশ শাকেই যথেষ্ট পরিমাণ লোহা থাকে যা রক্ত বৃদ্ধির সহায়ক৷ কেবল শাক খেয়েও বেঁচে থাকা যায়৷ তবে শাকের পুষ্টি মূল্য আয়তনের তুলনায় কম৷ বাংলায় ‘শাক’ শব্দটি অত্যন্ত সীমিত অর্থে চলে৷ আমরা শাক বলতে ৰুঝি পালং শাক, নটে শাক, শুশুনি শাক প্রভৃতিকে৷ কিন্তু আসলে cereal বা মূল ভোজ্যের পাশে যা কিছু পার্শ্বভোজ্য (রন্ধনের পদ বা রেস্তোরাঁর মেনু) আছে সবাই শাক পর্যায়ভুক্ত৷ অর্থাৎ শাক মানে যে কেবল ‘সাগ’ [হিন্দিতে] তাই নয়, সব রকমের শাক–সব্জীও শাক৷ অর্থাৎ যে বস্তু মোটামুটি বিচারে vegetable পর্যায়