হায় সভ্যতা !

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

এ কোন সভ্যতার বিকাশ------

চতুর্দিকে সর্বদাই  মানবতার দেখি সর্বনাশ৷

নরপিশাচের ঘৃণ্য লালসার আস্ফালন

বিদ্যার অঙ্গনে চালায় চরম শিশু নির্র্যতন৷

প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রাঘাতে নরহত্যা

ক্যামেরার সামনে পেট্রোল সহযোগে জ্বলন্ত চিতা৷

বঙ্গের আফরাজুল জীবন্ত দগ্দ রাজস্থানে

হায় সভ্যতা ! এ কার পাপে,  কোন বিধানে?

*     *      *

মনে পড়ে, ১৯৮২-র তিরিশে এপ্রিলের কথা৷

সুন্দরী তিলোত্তমা কল্লোলিনী কলকাতা---   

বিজন সেতু, বন্ডেল গেটের আশে পাশে,

কেঁপেছিল মানুষ পশু-পক্ষী

অসহায়ের আর্তনাদে, ত্রাসে

ধর্মনিষ্ঠ, সর্বত্যাগী সতেরো সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ

জগৎ কল্যাণে যাঁরা সঁপেছিল অমূল্য জীবন

মানবতার শত্রু নররূপী হিংস্র হায়েনার দল

সেবাব্রতীদের দেহ খুঁচিয়ে,

চোখ উপড়ে,ঢেলেছিল পেট্রোল

সপ্তদশ দধীচির চিতার আগুনে  পুড়েছিল সভ্যতা

সমগ্র পৃথিবী হেনেছিল ক্ষোভ,ঘৃণা, মর্মব্যথা৷

 

আজও কি মানুষ র’বে নিশ্চিন্ত, নির্লিপ্ত

বিক্ষোভের আগ্ণেয়গিরি হ’তে 

লাভাস্রোত হবে না নিক্ষিপ্ত

রোষের দাবানল উঠবে না লেলিহান শিখায় জ্বলে---

বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষ 

মরবে শুধু  শোষণের জাঁতাকলে?

 

ওই দেখ, পূর্র্বকাশে রক্তিম লালিমার ঊন্মেষ

অনাচার, ব্যাভিচার, শোষণ, অত্যাচার করিবারে শেষ

ডাকে নোতুন দিনের সূর্য্য, জাগো সবে আজ

গড়তেই হবে নোতুন সভ্যতা,

নোতুন পৃথিবী, শোষণমুক্ত সমাজ৷