December 2017

ফুলকপি–ৰাধাকপি

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তোমরা হয়ত জান ফুলকপি–ৰাধাকপি, লেটুস [Letuca sativa], ব্রকোলি এরা সবাই আদিতে এক প্রজাতির ছিল৷ ওদেরই কিছুটা দূর সম্পর্কের জ্ঞাতি ছিল কুকসিমা, ক্যালেণ্ডুলা ও পপির পূর্বপুরুষেরা৷ কুকসিমা, ক্যালেণ্ডুলা ও গাঁদা বর্গীয় গাছেদের রক্তপাত নিবারণের ক্ষমতা আছে৷ ওদের থেকে তাই এই ধরনের ওষুধও তৈরী হয়৷ কপিতেও এই ধরনের গুণ অল্পমাত্রায় আছে৷ প্রাচীনকালে এক থাকতে থাকতে পরে লেটুস প্রশাখা ও ফুলকপি প্রশাখা পৃথক হয়ে যায়৷ ফুলকপি প্রশাখায় এসে যায় এক সঙ্গে অগুণতি শাদা বা হরিদ্রা বর্ণের ফুল৷ আমরা ভাবি একটি ফুলকপি বুঝি একটি ফুল৷ না, না, তা নয়  একটি ফুলকপি অগুণতি ফুলের সমাহার৷ লেটুস ও ৰাধাকপিও কতকটা এক৷

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ৰাংলায় অনেকে চালকুমড়োও ৰলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ক্ষেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ক্ষেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

হাট/ঘাট

ৰাংলায় আর একটা কথা রয়েছে ‘হাট’৷ সংসৃক্ত ‘হট্ট’ শব্দ থেকে ‘হাট’ শব্দটি এসেছে৷ যেমন পাশাপাশি সাজানো অনেকগুলি হাট, সংসৃক্তে ‘হট্টমালা’৷ ‘হট্টমালার গল্প’ তোমরা অনেকেই নিশ্চয় পড়েছ৷ সংসৃক্তে ৰড় ৰড় হাটকে ৰলে ‘হট্টিক’৷ হট্টূ‘ষ্ণিক্’ প্রত্যয় করে ‘হট্টিক’৷ যদিও বৈয়াকরণিক বিচারে ‘হট্টিক’ মানে ছোট হাট  হওয়া উচিত কিন্তু আসলে ৰড় হাট অর্থেই ‘হট্টিক’ শব্দটি ব্যবহার করা হ’ত৷ ‘হট্ট’–এর তদ্ভব ৰাংলা হচ্ছে ‘হাট’৷ যেমন রাজারহাট, বাগেরহাট, মাঝেরহাট প্রভৃতি৷ ‘হট্টিক’ শব্দের ৰাংলা ‘হাটি’৷ যেমন ‘নবহট্টিক’ থেকে ‘নৈহাটি’, ‘নলহট্টিক’ থেকে ‘নলহাটি’, ‘গুবাকহট্টিক’ থেকে ‘গৌহাটি’  (গুয়াহাটি) প্রভৃতি৷ দক্ষিণ ৰাংলায় হাটকে ‘হ

আবাদ

আর্যদের বসতি স্থাপনের ফলে প্রয়াগ অঞ্চলটা শিক্ষা ও সংসৃক্তির গৌরবময় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল৷ তার অনেক কাল পরে পাঠান–মোগল যুগে এটা একটা ঘিঞ্জি শহরে পরিণত হয়েছিল আর তার সঙ্গে ছিল প্রতি বর্ষাতেই বন্যার তাণ্ডব৷ তাই পাঠান যুগে এরই অনতিদূরে আর একটি নতুন শহর তৈরী করা হ’ল যার নাম দেওয়া হ’ল আল্লাহ–আবাদ অর্থাৎ কিনা ত্ব্প্সস্তুন্দ্ব প্সন্দ্র ট্টপ্তপ্ত্ত্রড়–আল্লাহ্ যেখানে থাকেন৷ এই আল্লাহ্–আবাদ স্থানটিকে পরবর্ত্তীকালে শিয়ারা নাম দিয়েছিলেন ইলাহাবাদ৷ বর্ত্তমান হিন্দী ভাষায় শহরটিকে ইলাহাবাদ বলে৷ উর্দ্দু ভাষায় আল্লাহবাদ ও ইলাহাবাদ দুই নামই চলে৷ এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখতে হবে, যে সমস্ত শহরের নামের শেষে ‘আব

দেশাত্মবোধক গান

সন্তোষ মাহাত

আমরা –

আমরা নতুন প্রভাতের সূর্য্য,

আছে তরুর মতো ধৈর্য্য,

আছে ভীমের মতো শৌর্য৷ আমরা –

মোরা আকাশের মতো নির্মল,

মোরা তারার মতো উজ্জ্বল৷

মোরা সুধীর শান্ত যোগী

বিষয় বাসনা ত্যাগী৷

করি ভগবানের আরাধনা

দিয়ে হূদয়ের অর্ঘ্য৷ আমরা –

মোরা হিংসা ভেদা–ভেদ ঠেলে দূরে,

রাখবো পৃথিবীটাকে আলো করে৷

বাসবো না পর কোন জনে,

সবারে নেব বুকে টেনে৷

মোরা সত্যটাকে করবো স্বর্গ

দিয়ে মোদের কর্ম৷ আমরা –

মোরা ভয় করিনা ঝড় ঝঞ্ঝা,

মোদের ওড়াতে দেব না মনোবাঞ্ছা৷

এগিয়ে যাব বাধা ঠেলে,

মানুষের কর্তব্য

মানব জীবনের লক্ষ্য কী? ঘাত–প্রতিঘাতের মাধ্যমে এগিয়ে চলতে হবে৷ সঞ্চরধারায় যে বিশুদ্ধ আত্মিক ভাব থেকে পঞ্চভূতাত্মক জড়জগতের উৎপত্তি বা প্রপঞ্চের সৃষ্টি হয়েছিল, প্রতিসঞ্চর ধারায় ওই প্রপঞ্চকে পুনরায় আত্মধাতুতে– মূলাধাতুতে রূপান্তরিত করতে হবে৷ এটাই মানবজীবনের লক্ষ্য, যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই পঁৌছে যাওয়া৷ চক্রের আবর্তন পূর্ণ করা৷ এটাই মানবজীবনের লক্ষ্য৷ পশুজীবনের লক্ষ্য জড়তার উপাসনা করা৷ মানবজীবনের লক্ষ্য কেন্দ্রে (নিউক্লিয়াসে) পঁৌছে যাওয়া৷ এছাড়া মানবজীবনের দ্বিতীয় কোনো লক্ষ্য থাকতে পারে না৷ মানব জীবনের একমাত্র লক্ষ্য আধ্যাত্মিক সাধনা করা, অন্য কোনো সাধনা নয়৷

সমবায়ই একমাত্র সমাধান

সমবায় সম্পর্কে অনেকের মনে প্রশ্ণ জাগতে পারে৷ কারণ আজ বেশীর ভাগ দেশেই সমবায় অসফল হয়েছে৷ এই উদাহরণের ওপর ভিত্তি করে’ সমবায়কে দোষারোপ করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে না৷ কারণ সমবায়ের সাফল্যের যে অপরিহার্য তত্ত্ব তা বেশীর ভাগ দেশ সৃষ্টি করতে পারেনি৷ সমবায়ের সাফল্য নির্ভর করে মূলতঃ তিনটি তত্ত্বের ওপর–নীতিবাদ, কড়া তত্ত্বাবধান ত্রব্ভহ্মন্দ্বব্জ্লন্ব্দ্ ও জনগণের হদয় দিয়ে সমবায়কে গ্রহণ৷ এ তিন তত্ত্বের মধ্যে যেখানে যতটুকু রয়েছে সেখানে সমবায় ততটুকুই সাফল্য অর্জন করেছে৷ যেমন, ইজরায়েল চতুর্দিকে শত্রু বেষ্টিত হবার জন্যে ওখানকার জনগণের মধ্যে এক স্বয়ং–নির্ভরশীলতা চেতনা গড়ে’ উঠেছে–কারণ জনগণ মন–প্রাণ দিয়ে তাদের অ

প্রতি বছর ভারতে বায়ুদূষণের বলি ১৮ লক্ষ মানুষ : বায়ুদূষণ যে কত মারাত্মক হতে পারে তার উদাহরণ সাম্প্রতিক দিল্লী

ধূলা ও ধোঁয়া মিশ্রিত ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে দিল্লীর জনজীবনে এখন নাভিঃশ্বাস উঠছে৷ সরকার বাধ্য হয়ে সুকল বন্ধ করে দিয়েছেন৷ সকালে প্রাতঃভ্রমণ বন্ধ৷ সকালে বাইরে বেরুলে ধূলা-ধোঁয়ার মিশ্রণ---ধোঁয়াশা ফুসফুসে প্রবেশ করায় কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ প্রভৃতি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ১৯৫২ সালে লণ্ডনে একবার এইভাবে ধোঁয়াশার হলুদ চাদরে চারদিন ঢাকা পড়ে থাকায় শহরে চার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল৷ দিল্লীর অবস্থাও কাছাকাছি সেইরকম হতে চলেছে৷ বিশেষ করে ডিজেল চালিত গাড়ীর ধোঁয়া, রাস্তার ধুলো  এসব মিলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করছে৷ দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের অভিযোগ পঞ্

ইরাক-ইরান সীমান্তে ভূমিকম্প ঃ বহু হতাহতের সংবাদ

১৩ই সেপ্ঢেম্বর রাত সাড়ে ৯-টায় আচমকা দারুণভাবে দুলে উঠল গোটা বাড়ীটা৷ যেন আস্ত বাড়ীটাকে নিয়ে কেউ লোফালুফি করছে৷ লন্ডভন্ড সমস্ত কিছু৷ এমনি অভিজ্ঞতা ইরান-ইরাক সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল পূর্ব ইরাকের হালাবজা শহর থেকে ৩১ কিমি দূরে৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৩৷ ভূমিকম্পের ফলে চার শতাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ অনুমান আহত কমপক্ষে আড়াই হাজার৷ উদ্ধার ও ত্রাণকার্য অব্যাহত৷

 

নৈহাটির ‘ঐকতান’ মঞ্চে  প্রভাত সঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্ত্তি উপলক্ষ্যে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান

বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও সঙ্গীতগুরু শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে  ১২ই নভেম্বর ২০১৭, রবিবার বিকেল ৫টায় রেণেশাঁ আর্টিষ্ট এ্যন্ড রাইটার্স এ্যসোসিয়েশন কাঁকিনাড়া ও নৈহাটি শাখার যৌথ উদ্যোগে বাংলার সাংসৃকতিক পীঠস্থান নৈহাটির ‘ঐকতান’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হ’ল প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান ও এক মনোজ্ঞ  আলোচনা সভা৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে কাঁকিনাড়া রাওয়া শিল্পী গোষ্ঠী সমবেত প্রভাত সঙ্গীত ‘‘সবারে করি আহ্বান’’ পরিবেশন করেন৷ উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট মাননীয় শ্রী জয়ন্ত দাশ মহাশয়৷ অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক  ছিলেন গৌতম মন্ডল৷  সভাপতির আসন