January 2018

আন্তর্র্জতিক  নববর্ষে নোতুন পথের দিশা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কালের প্রবাহ  বয়ে চলেছে  অনাদি  কাল থেকে  অনন্তকাল৷ আর সেই  কালপ্রবাহের একটা খন্ড অংশে আমাদের  জীবন৷ এও বয়ে যায় কাল প্রবাহের ছন্দে৷ একটা  জাতি, দেশ বা সমগ্র  মানবজাতির  ইতিহাসও এই একই ভাবেই  বয়ে চলে কালের  প্রবাহের সঙ্গে৷ এই ইতিহাসকেও  গড়ে  তুলি  আমরাই--- সামূহিকভাবে৷

কালপ্রবাহ  অখন্ড হলেও  চলার পথে আমরা এই কালপ্রবাহকে খণ্ড খণ্ড করে বৎসর,মাস, দিন ইত্যাদিতে বিভক্ত করেছি৷ কারণ সব গতিই উহ-আবোহাত্মক, অগতি-অগতির বা সংকোচ বিকাশাত্মক  তরঙ্গায়িত  পথ বেয়ে  এগিয়ে চলে৷  তাই দিনের চলার পর  রাতের বিশ্রাম, আবার নোতুন উদ্যম নিয়ে পথ চলা৷

পুঁজিবাদ নয়, মার্কসবাদ নয়, চাই নোতুন আদর্শ

প্রবীর  সরকার 

শুভ নববর্ষ৷ সবাইকে আন্তর্জাতিক নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই৷ ২০১৭ সাল পেরিয়ে ২০১৮ সালে পা দিলুম৷ আমরা কোথায় আছি? পেছনের দিকে তাকিয়ে আমরা কী দেখছি? একদিকে এক শ্রেণীর ধনিক ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর বিপুল বিলাসিতা, পাশাপাশি জনসাধারণের বৃহদংশের চরম দারিদ্র্য ও বেকারত্ব৷ দুর্নীতিতে সারা দেশ ভরে গেছে৷ গরীব মানুষের টাকা লুঠে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধির মুখোসধারী এক শ্রেণীর ভদ্র লুঠেরা৷ অথচ এঁরাই সমাজে নেতা বলে পরিচিত৷ তারপর মেয়েদের ওপর জঘণ্য নারকীয় অত্যাচার–যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না৷ মনে হয় মানুষ এখন তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে বিবেক বিচারবুদ্ধিহীন পশুতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে৷

প্রাউটের দৃষ্টিতে গ্রামোন্নয়ন

একর্ষি

‘‘বাণিজ্যে  বসতি লক্ষ্মী’’–এই প্রবাদ বাক্যটি দিয়েই মূল প্রসঙ্গে আসা যাক৷ ভারতীয় ‘‘দেব–দেবী ভাবনায় ‘লক্ষ্মী’ হ’ল ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী৷ কিন্তু যেখানেই ‘ধন’ সেখানেই অর্থের কেন্দ্রীকরণ৷ অর্থ এক জায়গায় সঞ্চিত অথবা এক বা মুষ্টিমেয় মানুষের কুক্ষীগত না হলে ধন সৃষ্টি হয় না৷ পুঁজিপতি হওয়া যায় না৷ অতিরিক্ত ধন বা পুঁজি কেন্দ্রীকরণ হলেই বঞ্চনা শোষণের ক্ষেত্র তৈরী হয়৷ আবার বাণিজ্যে ধনাগম মানেই মুনাফামুখী অর্থনৈতিক ক্রিয়া–কলাপ৷ সর্বাধিক মুনাফা যেখানে লক্ষ্য, সেখানে শোষণ–বঞ্চনার ক্ষেত্র তৈরী হয়৷ কেননা জনস্বার্থ এক্ষেত্রে  উপেক্ষিতই থেকে যায়৷ কাজেই মানুষের সর্বাধিক কল্যাণ কাম্য হলে অর্থ–মুনাফার কেন্দ্রীয়কর

স্বামীজীর ভাবশিষ্য নেতাজীর দর্শন চিন্তা

এগার বছরের ছেলেটি৷ র্যাভেনশ কলেজিয়েট সুক্লের ছাত্র৷ ভারি সুন্দর দেখতে৷ টানা টানা চোখ৷ একমাথা কালো চুল৷ পুষ্টল গোলগাল মিষ্টি মুখখানা৷ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ভালবাসতে ইচ্ছে করে৷ কিন্তু যে বয়সের যা   তার ভীষণ ব্যতিক্রম এই ছেলেটির স্বভাবে৷ কোথায় সারাদিন খেলা–ধুলো নিয়ে মেতে থাকবে তা’ নয় – লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছেলেটি – সকলের সঙ্গ এড়িয়ে – একাকী বসে বসে কী সব ভাবতেই যেন ভালাবাসে৷ ভাসা ভাসা চোখের প্রসারিত দৃষ্টি মেলে সে যখন বসে থাকে – দেখে মনে হয় – সে কিছুই যেন দেখছে না, শুধু ভাবছে আর ভাবছে   আবার কখনো মনে হয় কী যেন খুঁজছে অথবা ঢুকতে চাইছে কোনো গভীরতর ভাবনার অন্তরঙ্গ প্রদেশে৷

বাতরোগ

রোগের লক্ষণ ঃ রক্তে অম্লদোষ ৰেড়ে গেলে বাত রোগের সৃষ্টি হয়৷ এখানে বাতরোগ বলতে বিশেষ করে গ্রন্থিবাতের ( গেঁটে বাত) কথাই ৰলা হচ্ছে৷

ঔষধ ঃ এই বাতরোগ কোন ঔষধের বহিঃপ্রয়োগে খুব ভাল ভাবে সারে না৷ তবে সাময়িক ভাবে উপশম হয়৷ বাতরোগে মালিশ জাতীয় বস্তুর মধ্যে যেগুলি উত্তম মানের তাদের অনেকেরই উপাদান হ’ল ধুতুরা ফল৷ কণ্ঢকযুক্ত ধুতুরা ফল খাদ্য হিসেবে কথঞ্চিৎ বিষাক্ত হলেও বহিঃপ্রয়োগে ভাল ফল দেয়৷ তবে কৃষ্ণ ধুতরোর ফলেতে এই গুণ একটু বেশী৷

বেদ–সুপ্রাচীন মানব ঐতিহ্যের প্রতিভূ

ঋগ্বেদ মুখ্যতঃ স্তুতি সম্বন্ধীয় হলেও তাতেও অন্যান্য কথা ও কথনিকা রয়েছে৷ সেই সকল কথা ও কথনিকার সকল অংশ সমান আধ্যাত্মিক মূল্য বহন না করলেও তারা সুপ্রাচীন মানব ঐতিহ্যের প্রতিভূ......ক্রমঃদ্রুতিতে অগ্রসৃত মানব–মননের তথা সমাজ–সংরচনার একটি আলেখ্য৷ সেদিক দিয়ে বিচারে ঋগ্বেদ ভাষা, সাহিত্য ও অভিব্যক্তির জগতে বিশেষ মূল্য বহন করে৷ ঋগ্বেদীয় যুগে লিপি ছিল না সত্য কিন্তু ধবন্যাত্মক অক্ষর ও আক্ষরিক ব্যাহৃতি তথা ধবনিবিক্ষেপ.....প্রক্ষেপ ও উপন্যাস–রীতি (উপস্থাপিত করবার পদ্ধতি) ছিল৷ ঋগ্বেদে বিভিন্ন অক্ষরের জন্যে স্বতন্ত্র উচ্চারণ–রীতিও প্রচলিত ছিল যা ঋগ্বেদের অনুগামীরা পরবর্তীকালে গুরুপ্রমুখাৎ শিখে নিতেন৷ আমা

একান্ত

প্রভাত খাঁ

একান্তই তুমি আমার৷ এটাই

আমার গর্ব ও অহংকার৷ দয়া

করে এইটুকু  কেড়ে নিওনা দোহাই

তোমায়৷ তোমার রাতুল চরণ

আমায় স্পর্শ করে ধন্য হতে দাও৷

তোমার চোখের মিষ্টি হাসিটা

যেন আমি মুগ্ধ বিমূূ হয়ে

দু’চোখ ভরে পাই৷ আমার

এমন গুণ নেই যা দিয়ে তোমায়

আমার করে ধরে রাখি৷ প্রিয়তম

তুমি অহেতুক কৃপাকণা

দানে আমায় ধন্য করো৷

তোমায় আমার মাঝে কেউ

দূরত্ব সৃষ্টি করুক এটা আমি

আর সহ্য করবো না৷ শুধু তুমি

আমার, তাই এ বাঁধন আমি

আলগা করবো না৷

যুগের দাবী

শ্রীরামদাস বিশ্বাস

যুগের দাবী নাওগো মেনে

                অন্ধকারে আর থেকো না৷

আঁধার রাতে ভয়ের সাথে

                বৃথা তুমি আর যুঝ না৷৷

আসছে যাহা জেনো তাহা

                অবশ্য তা’ সত্যবহ

পুরাতনে আঁকড়ে কেন

                অনন্তকাল চুপটি রহো

শ্বাশ্বত যা চিরকালই

                একই রবে তাও বোঝ না৷৷

লক্ষ্য তোমার শ্বাশ্বত হোক

                সেই তো তোমার আদর্শ

অপরিবর্তনীয় সে

                লক্ষ কোটি আলোক–বর্ষ

অনাগতে করতে বরণ

                আদর্শকে ছেড়ো না৷৷

এস তুমি

কল্যাণী ঘোষ

তাল তমালের বনের ধারে

আমার কুঁড়েঘর৷

সেখানেই থাকি আমি

নইতো যাযাবর৷

পথিকের আনাগোনা

দেখি দু’চোখ মেলে

কেউ আসেনা আমার কাছে

যায় যে অবহেলে৷

মন বলছে আসবে ‘তুমি’

আমার কাছটিতে৷

নয়ন মুদে বসে আছি

আসনখানি পেতে৷

মালা গেঁথে অপেক্ষা

করবো ‘তোমায়’ বরণ৷

নয়ন জলে ধোওয়াবো

‘তোমার’ রাতুল চরণ৷

ভক্তি অর্ঘ্য দিয়ে ‘তোমায়’

করবো আত্মসমর্পণ৷

থেকো ‘তুমি’ আমার সাথে

দিবারাতি অনুক্ষণ৷৷

ছীতল অইয়া জায়

গুপ্তযুগের সবচেয়ে ৰড় রাজা ছিলেন সমুদ্রগুপ্ত৷ কিন্তু গুপ্তযুগের কথা বলতে গিয়ে যে নামটি প্রথমেই ভেসে ওঠে তিনি চন্দ্রগুপ্ত৷ যদিও সমুদ্রগুপ্ত দিগ্বিজয়ী বীর হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন, ....ভারতে এক অতি  ক্ষৃহৎ সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন....সাংসৃক্তিক জীবনে বিরাট পরিবর্ত্তন এনেছিলেন কিন্তু গুপ্তযুগের অনল–পুরুষ ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত৷ তাঁর প্রজা–প্রীতি ছিল ইতিহাসপ্রসিদ্ধ৷ তাঁর প্রেরণা ও প্রচেষ্টাতেই সংসৃক্ত ভাষা নবজীবন লাভ করেছিল৷