January 2018

তরমুজ

পৃথিবীতে তরমুজের অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ ভারতীয় তরমুজের ওপর–শাদা, ওপর–সবজে ও ওপর–কালচে–তিন প্রজাতিই রয়েছে৷ সাধারণতঃ ভারতীয় তরমুজের ভেতরটা ঘোর লাল অথবা ফিকে লাল হয়ে থাকে৷ গোয়ালন্দ, আমতা, তারকেশ্বর, ৰর্দ্ধমান, ভাগলপুর ও সাহারাণপুরের তরমুজেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ আকারে সবচেয়ে ৰড় হয়ে থাকে ভাগলপুরী তরমুজ৷ যার ভেতরটা হলদে সেই চীনা তরমুজের আকার কিছুটা ছোট হয় কিন্তু মিষ্টত্ব খুবই বেশী৷ বর্ত্তমানে সাক্ষেকী জাপানী বর্গীয় তরমুজ দক্ষিণ ৰাংলায় সমুদ্র–ঘেঁষা অঞ্চলে ভালই জন্মাচ্ছে–এর স্থানিক নাম দেওয়া হয়েছে সাগরশ্রী৷ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ৰলেন তরমুজের আদি বাসস্থান নাকি আরব দেশে৷ অনুমিত হয় জলপথে এই তরমুজ কলিঙ্গ

ঋষি / মুনি

‘ঋষ্’ ধাতুর অনেকগুলি অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হচ্ছে ঊধর্বগতি অর্থাৎ ওপরের দিকে ওঠা৷ কোন বাড়ীর একতলা থেকে ওপরে ওঠার জন্যে এই ‘ঋষ্’ ধাতু ব্যবহূত হয়৷ ‘ঋষ্’ ধাতুূ‘ইন্’ করে ‘ঋষি’ শব্দ পাচ্ছি যার ভাবারূূার্থ হচ্ছে যিনি ওপরের দিকে ওঠেন আর যোগারূূার্থ হচ্ছে উন্নতমানস.....উন্নতধী.....উন্নত ভাবনার পুরুষ৷ ‘ঋষি’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ ‘ঋষ্যা’ হলেও অভিন্নলিঙ্গ (ন্তুপ্সপ্পপ্পপ্সু ন্ধন্দ্বুস্তুন্দ্বব্জ) ‘ঋষি’ শব্দটিও চলতে পারে৷ অর্থাৎ কোন পুরুষকে যেমন ‘ঋষি’ বলা যায় কোন নারীকেও তেমনি ‘ঋষি’ বলা যেতে পারে আবার ‘ঋষ্যা’ তো চলতেই পারে উন্নত চেতনার মানুষদের ঋগ্বেদীয় যুগ থেকে ‘ঋষি’ বলে আসা হয়েছে৷ প্রতিটি মন্ত্র যেম

ব্রাহ্মণ / বিপ্র

‘ব্রাহ্মণ’ শব্দটির নানান ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে৷ তবে মুখ্যতঃ এর অর্থ হ’ল ব্রহ্মজ্ঞ৷ মনে রাখা উচিত, বিপ্র ও ব্রাহ্মণ এক শব্দ নয়৷ ‘বিপ্র’ মানে ৰুদ্ধিজীবী (intellectual) আর ‘ব্রাহ্মণ’ শব্দের ব্যাখ্যায় ৰলা হয়েছে–    ‘‘জন্মনা জায়তে শূদ্রঃ সংস্কারাৎ দ্বিজ উচ্যতে৷

বেদপাঠাৎ ভবেৎ বিপ্রঃ ব্রহ্ম জানাতি ব্রাহ্মণঃ’’৷৷

হিন্দু

স্পষ্ট কথা প্রাচীনকালে ‘হিন্দু’ শব্দটি ছিল না৷ ‘হিন্দু’ শব্দটি হচ্ছে একটি ফার্সী শব্দ, যার মৌল অর্থ হচ্ছে সিন্ধু নদীর অববাহিকা অথবা তৎসন্নিহিত এলাকায় যে জনগোষ্ঠী বাস করে থাকেন৷ তা’ তাঁরা যে কোন ধর্মমতাবলম্বী হউন না কেন, তাঁরা সবাই হিন্দু৷ অর্থাৎ ‘হিন্দু’ শব্দটি সম্পূর্ণতই একটা দেশবাচক শব্দ৷ আজকাল যাঁদের হিন্দু বলি তাঁরা দেশবাচক অর্থে হিন্দু তো বটেই, ধর্মগত কারণে ‘আর্ষ’ মতাবলম্বী৷ কিন্তু বর্ত্তমানে যেহেতু আর্ষ মতের বদলেও ‘হিন্দু’ শব্দটা ব্যবহূত হচ্ছে তাই আজ যাঁরা তথাকথিত হিন্দু তাঁরা দেশবাচক অর্থেও হিন্দু মতগত বিচারেও হিন্দু৷ কিন্তু ভারতে যাঁরা তথাকথিত অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোক রয়েছেন তাঁর দে

আনন্দলোক

শ্যামলী দেব

তোমাদের ছেড়ে যেতে মন নাহি চায়

কমোর আহ্বানে তবু যেতে হয়৷

তোমাদের হাসি মুখ দেখে পাই সুখ

পীতির পরশে যে এ আনন্দলোক৷

কত কথা বাজে কাণে থাকি যবে কাজে

মধুরতা ভরা ধরা বৃহৎ এক রাজে৷

সবেতেই এক মন আব এক ঘর

একই আত্মা বিরাজিত নাহি কেহ পর৷

রবে সাথে সব দিন জানি সে গো জানি

ভালবাসা বাসি তাই আনি সবে টানি৷

সবাই আপন

রাহুল মাহাত

আমি যদি হতুম ময়ূরছানা

হিংস্র সাপ হতো আমার খানা৷

বনে বনে নাচতুম সারাদিন

বাজতো তখন ভালবাসার বীণ

পেখম তুলে চলতুম রাজার মত

দেখতে আসতো লোক শত শত

ভীম একাদশী করলে

লোভী মানুষের মত লোভী জানোয়ারও কোন কিছু পড়ে থাকলে তা’ তুলে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে৷ এই ধরনের অতিলোভী ও অতিভোজী একটি জীব হচ্ছে নেকড়ে বাঘ যা উত্তর ভারতে লাকড়া বা লকড়বাঘা নামে পরিচিত, কথ্য ৰাংলায় ‘নেকড়ে’, ইংরেজীতে প্সপ্তন্দ্র, সংসৃক্তে ‘বৃক’ বা ‘বৃক–ব্যাঘ্র’৷ নেকড়ে প্রচুর পরিমাণে খায়৷ নিজের প্রয়োজনের তুলনায় চার–পাঁচ গুন বেশী খায়৷ নিজের দৈহিক ওজনের চেয়েও বেশী ওজনের ভোজ্য গ্রহণ করে৷ তারপর কয়েকদিন অসাড় হয়ে পড়ে থাকে, উঠতে–বসতে চায় না৷ তারপর হজম হয়ে যাবার পর আবার গা–ঝাড়া দিয়ে ওঠে৷

সোনির অভাব পূরণ করতে মোহনবাগানের নতুন চমক পেন

মোহনবাগানে সোনি নর্দে এখন দলের বাইরে৷ চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁকে বিদেশে পাড়ি দিতেSoni হ’ল৷ গুরুত্বপূর্ণ এই মিডফিল্ডারের অভাবে বাগান দল দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ স্বভাবতই দলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দলের বাইরে চলে যাওয়ার জন্যে সমর্থকরা হতাশ৷ সোনি তাঁবু ছাড়ার সময় কেঁদে ফেললেন৷ কর্মকর্তারা সোনির অভাব পূরণের জন্যে পেন ওরজিকে দলে আনছেন৷ এই নাইজেরিয় যথেষ্ট কুশলী খেলোয়াড়৷ বাগান কর্মকর্তা তথা সদস্য-সমর্থকরা আ

আবার গড়পেটায় জড়িত ক্রিকেটকর্তা

এবার খোদ ক্রিকেট  কর্তার  বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল  ক্রিকেট দুর্নীতির৷  মেট্রোপলিটান  ক্রিকেট সংস্থার  কোষাধ্যক্ষ  ও মাকর্টিং ডিরেক্টর রাজন নায়ারের বিরুদ্ধে তিন দফায় ক্রিকেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ আই.সি.সির৷  এক ক্রিকেটারকে  অর্থের বিনিময়ে  আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়পেটার প্রস্তাব দেন৷  গত বছর  অক্টোবর মাসে  জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক গ্রেম ক্রেমার  ওয়েস্ট ইন্ডিজের  বিরুদ্ধে প্রথম টেষ্টের আগে গড়াপেটার যে প্রস্তাব দেওয়ার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা আই.সি.সি.

শ্রীসন্থ কি অন্য দেশের হয়ে খেলবেন?

প্রাক্তন জাতীয় দলের ক্রিকেটার শ্রীসন্থকে বিবিসিআই নির্বাসিত করেছিল৷ সম্প্রতি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বিসিসিআইকে নির্দেশ দিয়েছে শ্রীসন্থের নির্বাসন তুলে দিতে৷ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিসিসিআই ডিভিশন বেঞ্চে আপীল করে৷ কেরালার হাইকোর্টে সেই নির্বাসন আবার বহাল রাখার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ফলে শ্রীসন্থের জাতীয় বা রাজ্য দলে খেলার ব্যাপারে প্রশ্ণচিহ্ণ দেখা দিয়েছে৷