January 2018

কী দিয়ে পূজিব

সাক্ষীগোপাল দেব

কী দিয়ে পূজিব তোমায় প্রভু

                কোন উপাচারে তোমায় তুষি

কোন অর্ঘ্য পায়ে দিব ঢালি

                বল কিসে তুমি হবে খুশী৷৷

কত ফল ফুলে ধরণী ভরা

                সকলি তোমার নিজ হাতে গড়া

তব ফল-ফুলে কেমনে পূজি

                লজ্জা দীনতা মরমে পশি৷৷

তব দেওয়া এ দেহ মন-প্রাণ

                আমার অহং তাও তব দান

মোর তন মন প্রাণ দিনু ঢালি

                তোমার চরণ প্রান্তে বসি৷৷

 

তাঁর স্মরণে

রতন কুমার দে

জীবন আছে ঠিক করা

কত ছন্দে ভরা

শুরু থেকে শেষ

চলেছে বেশ তাঁর বিধান মত

এখন বুঝে চলো সেই মত৷

মনে রেখো

কিছুই ছিল না

এখন আছ পরে থাকবে না

তাঁকে স্মরণে রেখে

যেন তাঁর চরণ ধরে

হয়ে নত

হে মন তাঁকে ডাক অবিরত

যেন তাঁকে পাও অবিরত৷৷

ভারতের রত্ন

শ্যামল বসাক

আমার দেশের বীর শিবাজী

                আমার দেশের বীর ক্ষুদিরাম

                                আমার দেশের শ্রেষ্ঠ যে বীর

                                                নেতাজী সুভাষ তাঁহার নাম৷৷

আমার দেশের বিদ্যাসাগর

                দ্বিজেন্দ্রলাল, নজরুল ইসলাম

                                আমার দেশের ঋষি অরবিন্দ

                                                শ্রীরামকৃষ্ণের তীর্থস্থান৷৷

বিশ্বকবি আমার দেশের

                বিবেকানন্দ দেশের মান

                                বিশ্বসভায় করল প্রচার

নারী ও দুঃসময়

রীণা বোস

এত পশুত্ব নীচতা নারীদের ইজ্জত নিয়ে,

পুলিশ কর্তারাও হচ্ছেন হন্যে,

এর প্রতিকার করতে গিয়ে৷

হে নারী যারা তোমাদের ইজ্জত নিয়ে

করে টানাটানি,

হয়ে ওঠো তাদের কাছে দেবী চৌধুরাণী

শিখো ক্যারাটে শিখো জুডো কর আত্মরক্ষা,

তাহলেই দেখবে ভগবান

তোমাদের করবেন রক্ষা৷

অতীতে রক্তবীজকে বধ করেছিলেন মা–কালী

যারা বে–ইজ্জত করে নারীদের

তাদের দাও বলি৷

বিদ্যাসাগর

সন্দীপ পাল

দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর,

                বিদ্যা দান করে,

অমর হয়ে আছো তুমি

                এ বিশ্ব মাঝারে৷

গরীব জনে দয়া কর

                তুমি যে মহান,

আমি তোমায় ভালবাসি

                লহ মোর প্রণাম৷

নুকাইঁ নুকাইঁ

তৃতীয় ধরনের কপটাচরণও আমরা কম দেখি না৷ শুনেছিলুম, আমেরিকায় এক ভদ্রলোক একটি প্রচণ্ড রকমের মদ্যপান–বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন৷ এক জনসভায় মদের অপকারিতা সম্ক্ষন্ধে তিনি ওজস্বিনী ভাষায় ঠায় এক ঘণ্ঢা বত্তৃণতা করেছিলেন৷ তারপর বললেন–উঃ, উঃ গলা শুকিয়ে গেছে, এক গ্লাস ব্র্যাণ্ডি দাও৷      *        *        *  

আনন্দনগরে মহাসমারোহে ধর্মমহাসম্মেলন সুসম্পন্ন

আনন্দনগর, পুরুলিয়া ঃ আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে গত ১লা, ২রা ও ৩রা জানুয়ারী পাহাড় –নদী ঘেরা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে উৎসাহী দশ সহস্রাধিক আনন্দমার্গীর যোগদানের মধ্য দিয়ে আনন্দমার্গের কর্মকেন্দ্র আনন্দনগরে তিনদিনের বিশাল ধর্মমহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হ’ল৷ এবারের শীতকালীন ধর্মমহাসম্মেলন শুরু হয় গত ১লা জানুয়ারী৷ সংঘের অধিকাংশ কর্মী ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার আনন্দমার্গী সদস্যরা এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দিয়ে ধর্মমহাসম্মেলনটি সাফল্যমণ্ডিত করে তোলেন৷ এছাড়া বহির্দেশের ভক্তমার্গীরাও সম্মেলনে যোগ দেন৷ দেশের ও বহির্দেশের মার্গীদের যোগদানে মহাসম্মেলন আনন্দমুখর হয়ে ওঠে৷ তাঁদের সম্মিলিত কীর্ত্তন–ভজন

মার্গগুরু–প্রতিনিধির্ প্রবচন

আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুক রঞ্জন সরকার ধর্মমহাসম্মেলনের এই বিশাল আনন্দমার্গী সমাবেশে মার্গগুরুর প্রতিনিধি হিসেবে প্রবচন দেন৷ তিন দিনই সকাল–সন্ধ্যায় তিনি প্রবচন দেন৷ ৩ তারিখ রাত্রিতে ধর্মমহাসম্মেলনের মূল প্রবচনে অর্থাৎ শেষ প্রবচনে তিনি যা বললেন তার সংক্ষিপ্তসার নিম্নে প্রদত্ত হ’ল ঃ

মানবসভ্যতার রক্ষা

গীতায় বলা হয়েছে–

‘‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্৷৷

পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্৷

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে৷৷’’

স্বামীজীর ভাবশিষ্য নেতাজীর দর্শন চিন্তা

সুধাংশু গঙ্গোপাধ্যায়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

১৯/২০ বছর বয়সেই নেতাজী শঙ্করাচার্যের অদ্বৈত মায়াবাদে ভীষণ ভাবে বিশ্বাসী হয়ে পড়লেন৷ তাঁর যুক্তিবাদী ভাবুক মনটি মায়াবাদের দৃঢ়ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে Ignatius Loyola–র কিছু কিছু বক্তব্যে আকর্ষণ বোধ করতে থাকে৷ এই নবতর আকর্ষণের মূলে ছিলো এক Jesuit father–এ সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা৷ পাদ্রী ভদ্রলোক ছিলেন মস্ত পণ্ডিত৷ কিন্তু তা সত্বেও অসাধারণ তীক্ষ্ণধী যুবক সুভাষের সঙ্গে তর্ক জালে জড়াতে জড়াতে একদিন তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন্ - ‘‘I admit that Shankara's position is logically the soundest – but to those who cannot live up to it, we offer the next best.’’