January 2018

স্বামীজীর ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উৎসব

আজ ১২ই জানুয়ারী সারা দেশব্যাপী স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম জন্ম বার্ষিকী উৎসব পালন করা হচ্ছে৷ স্বামীজীর প্রতিকৃতিকে ফুল–মালা দিয়ে সাজিয়ে তাঁর সামনে গুরু–গম্ভীর বত্তৃণতা, নাচ, গান প্রভৃতি হচ্ছে৷ কিন্তু উৎসব শেষে আবার সবাই যথারীতি স্বামীজীকে ভুলে যাবেন বা ভুলে থাকবেন৷ এভাবেই তো বর্তমানে মহাপুরুষদের জন্মোৎসব প্রভৃতি পালিত হয়৷

স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণে

প্রভাত খাঁ

ন্যায়, সত্য, মানবতার মূর্ত্ত প্রতীক

বিবেকের আনন্দ তুমি,

তুমি বিবেকানন্দ৷ তোমার অমৃত

বাণী জাগায়েছে বিশ্ব সংসারে

একসূত্রে বেঁধে দিতে মানব সমাজে৷

তুমি জাতপাত ভেদাভেদ দূর করি’

                আচণ্ডালে ভালবেসে

মাটির–পৃথিবী পরে সচেষ্ট

                ছিলে এক মানব সমাজ–গড়ি’

তার মনে আনন্দ জাগাতে৷

হে বীর, দৃঢ় চেতা সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী

ভারত আত্মায় তুমি প্রতিষ্ঠা করে গেছো

বিশ্ব সংসারে অধ্যাত্মজ্ঞানের

বাণী দিকে দিকে ছড়ায়৷

ক্ষণজন্মা তুমি তোমার

কর্ম এষণা তোমাকে

ভাষার ক্ষেত্রে অবদমন চলবে না

ভাষা মানুষের অন্তরের ভাব প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই ভাষা মানুষের প্রাণীন সম্পদ–যা তার প্রাণধর্ম অর্থাৎ সত্তাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ নিজস্ব মাতৃভাষায় একজন যেমন স্বচ্ছন্দে ও সাবলীল ভাবে নিজের ভাবকে প্রকাশ করতে পারে তেমনটি অন্য কোন ভাষায় পারে না৷ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে সে অসুবিধা বোধ করে৷ প্রতিনিয়তই যদি অন্য ভাষায় কথা বলিয়ে এরূপ অস্বচ্ছন্দ বোধ করতে তাকে বাধ্য করান হয়, তবে তার প্রাণশক্তি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে–ক্রমশ প্রাণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে৷ এই রকম পরিস্থিতিতে সেই ব্যষ্টি বা ব্যষ্টি সমূহের মধ্যে এক মনস্তাত্ত্বিক সংকট দেখা দেবে৷ প্রথমেই তার মধ্যে দেখা দেবে এক ধরণের হীন

লালুর সাড়ে ৩ বছরের জেল

 গত ৬ই জুন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুজীর বিরুদ্ধে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারী মামলার রায়ে সিবি আই-এর বিশেষ আদালতে  তাঁর সাড়ে ৩ বছরের জেল ও ১০ লক্ষ টাকা  জরিমানা হ’ল৷ এই মামলায় লালুজীসহ ১৬ জনের  বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়৷  দেওঘর ট্রেজারী থেকে ভুয়ো পশুখাদ্যের বিল দেখিয়ে ৮৯ লক্ষ টাকা তুলে  নেওয়ার  জন্যে এই মামলা দায়ের  হয়েছিল৷

তিন তালাক হিমঘরে

লোকসভায় তিনতালাক বিল পাশ হবার পর মুসলিম নারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল৷  কিন্তু রাজ্যসভায়  বি.জে.পি  সরকার   এই বিল পেশ করতে না পারায় এই বিল হিমঘরে  চলে গেল৷ এখানে রাজ্যসভায় বিজেপির  সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই৷  এখন শীতকালীন  অধিবেশ‘ শেষ৷  আগামী ২৯ শে জানুয়ারী  লোকসভার বাজেট  অধিবেশন শুরু হবে৷ বিজেপি  ওই অধিবেশনের  দিকে তাকিয়ে আছে৷ এই বিল আদৌ পাশ হতে পারবে কিনা--- এই আশংকায়  মুসলীম নারীরা দিন গুনছে৷

 

অসম রাজ্য থেকে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাঙালী বিতাড়নের চক্রান্তের  প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’ বৃহত্তর আন্দোলনের পথে

অসম রাজ্য বলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্রে  যে  ভূখন্ডটি বর্তমানে চিহ্ণিত, সেটি ইতিহাসের দৃষ্টিতে  মূলতই প্রাচীন অখণ্ড বঙ্গদেশের  অন্তর্ভুক্ত ও এর পূর্বেকার নাম ছিল প্রাগ্জ্যোতিষপুর৷  ব্রিটিশ সরকার বাংলার সেই অংশ কেটে নিয়ে ‘বঙ্গ ও অসম প্রদেশ’ তৈরী করে ৷ এছাড়া অহম বা অসমীয়রা  প্রকৃত বিচারে মঙ্গোলীয় গোষ্ঠীভুক্ত ও বার্র্ম (বর্তমান মায়ানমার) থেকে আগত৷ সুতরাং তারা এদেশে বহিরাগত৷ কিন্তু ব্রিটিশ শাসকদের পরও হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্রে বিগত ১৯৫০ সালে অসমে ‘বঙাল খেদা’ আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল৷  অসমের নেলির গণহত্যার পচা ঘা এখনও শুকোয়নি ৷ মানুষ আজও ভুলতে পারেনি বরাকভ্যালী তথা কাছাড়ে এ

চাই নোতুন নেতা, নোতুন পরিকল্পনা

অরুণাভ গুপ্ত

জনগণের  যাঁরা প্রতিনিধি তাঁদের নীতিবাদী  হতেই হবে৷ জনগণের  প্রতিনিধি রূপ আইনসভায় গিয়ে জনগণের  স্বার্থে আইন পাশ করবেন, জনগণের সেবা করবেন--- এই কারণেই তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্র্বচিত  করা হয়েছে৷ এই কাজের  জন্যে  জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্সরূপে সংগৃহীত অর্থ থেকে  তাঁদের বিপুল অংকের বেতন তথা ভাতা দেওয়া  হয়৷ রাজার মত সুযোগ সুবিধা তাঁরা ভোগ করেন৷

সামাজিক-অর্থনৈতিক  ক্ষেত্রে ধর্মের ভূমিকা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমানে সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়৷ সামাজিক ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই নারী-নির্র্যতন শ্লীলতাহানি, বৃদ্ধ পিতা মাতার প্রতি তাদের পুত্রদের  অমানবিক আচরণ, এসব থেকে শুরু করে নানান্ অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ  চলছে, যা আজকের সভ্য সমাজকে  লজ্জা দেয়৷ বিজ্ঞান প্রযুক্তির নব নব  আবিষ্কারের---যেমন কম্প্যুটর, মোবাইল  ইন্টারনেটের  এমন ধরণের  অপব্যবহার  চলছে  যে সমাজের শান্তি রক্ষকদের  চোখের ঘুম ছুটে গেছে৷

রাঢ়ের ওপর শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকারের অবদান

অধ্যাপক চণ্ডীচরণ  মুড়া

১৯ নবেম্বর ২০১৭ আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের  রেনেসাঁ ইউনিভার্র্সল-এর আহ্বানে  পুরুলিয়ার  আনন্দনগরে  গিয়েছিলাম ‘রাঢ়’ নিয়ে বলতে৷ আমার বলবার  বিষয় ছিল ‘‘রাঢ়ের ওপর  শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের অবদান ’’৷ সহবক্তা ছিলেন  উত্তরপাড়া স্বামী নিঃসম্বলানন্দ গালর্স কলেজের অধ্যাপক  ও লেখক শুভমানস ঘোষ মহাশয় (বিষয়ঃ ‘‘সাহিত্য ও দায়িত্ব’’), সিধু-কানু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক লক্ষ্মীরাম  গোপ মহাশয় (বিষয়: ‘‘নব্যমানবতাবাদ শিক্ষা’’), সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন সঙ্ঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সুবক্তা ও পাণ্ডিত্যের অধিকারী এই বিদগ্দ আচার্য শ্রী সরকারের অর্

এন,আর, সি, নাম দিয়ে অসমরাজ্য থেকে বাঙালীর উৎখাতের ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও  জেহাদ ঘোষণা ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিবের

অসম সরকার আবার বাঙালীদের হেনস্থা করার নামে বড় রকমের ভুলপথে পা  বাড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিবে বকুল চন্দ্র রায়ের ৷ ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে এক জরুরী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে অসম থেকে বাঙালী বিতাড়নের বিষয়টি খুবই  উদ্বেগজনক ৷ একে কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না৷ তাই অতি শীঘ্রই আগরতলায়, শিলচরে, গুয়াহাটিতে, শিলিগুড়িতে ও কোলকাতায় পৃথকভাবে সাংবাদিক সম্মেলন দলের বিক্ষোভের কথা জানানো হবে৷  তারপরও যদি বাঙালীদের হেনস্থা ও উৎখাত করার পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার পরিত্যাগ না করেন, তাহলে বাধ্য হয়েই আমরা বাঙালী দল বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করবে৷