February 2018

ঘামাচী (ঘর্মচচী)

চামড়াকে ঘর্মচচী থেকে বিমুক্ত করার জন্যে সমপরিমাণ তাজা দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে অল্পক্ষণ আঙ্গুলে ফেনিয়ে বা ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর সারা শরীরে ওই সর–ময়দা মেখে ১৫/২০ মিনিট আলো–হাওয়া যুক্ত শুকনো জায়গায় (রোদে নয়) বসে থাকতে হয়৷ তারপর ওই লেপটে যাওয়া সর–ময়দাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে হয় ও সাবান না মেখে স্নান করতে হয়৷ সর–ময়দা ব্যবহারে সামান্যতম ক্ষতি হয় না৷ বরং ১৬ আনা লাভ হয়৷ শীতের দিনে চামড়া ফেটে গেলে অথবা অন্য যে কোন কারণে চামড়া খসখসে হয়ে গেলে, মেয়ে–পুরুষ যে কেউই সর–ময়দা ব্যবহার করতে পারেন৷

হলুদ–গাত্র–হরিদ্রা ঃ

মধু

আয়ুর্বেদাচার্য

নেবুর রস ও মধু

ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দিতে গরম জলের সাথে নেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে অসুস্থতা দূর হয়ে যায়৷ গল্ ব্লাডারে ও লিভারের ব্যাধি দূর করতেও মধু যথেষ্ট সাহায্য করে৷ নেবুর রস, মধু আর অলিব ওয়েল মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে লিভার ও গল্ ব্লাডারের ব্যাধি দূর হয়ে যায়৷

কলার বিচি ও মধু

প্রভাতী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ও–ই ঘুচেছে অন্ধকার–

ও–ই খুলেছে বদ্ধদ্বার

ভোরের আলোর আলতো চুম

কাঁপালো শরীর ভাঙলো ঘুম৷

কালো রাতের বক্ষ চিরে

আলোর ধারা ঝরুক শিরে৷

বিহঙ্গরা ছেড়েছে নীড়,

ঢেউ ভেঙেছে নদীর তীর৷

সবুজ ক্ষেতের অবুঝ হাসি,

রাখাল বাজায় খুশীর বাঁশি

পাপড়ি মেলে ফুল দুললো

মউমাছিরা উৎফুল্ল৷

পাখীর শিসে ধানের শীষে

আনন্দ আজ কার যে কিসে৷

ভোরের আলো গায়ে মেখে

ঘর থেকে সব আনছে ডেকে৷

দুষ্টু যত ছেলেমেয়ে

বন বাদাড়ে ছুটছে ধেয়ে৷

ও–ই ঘুচেছে অন্ধকার

লাগলো প্রাণে ছন্দ কার?

প্রার্থনা

মনোজ পাতর

অন্ধকারের ভাবজড়তা ছিন্ন করে–

আলোর দিশা দাও হে প্রভু মুক্ত দ্বারে৷

চিত্ত করো ভয় শূন্য মুক্ত করো প্রাণ,

জ্ঞানের শিখা জ্বালিয়ে দিও ভালবাসার গান৷

মানব সেবার ব্রত দিও ধন্য করো জীবন,

সৃজনশীল ক্ষমতা দিও – বিশ্বপ্রেমের বন্ধন৷

সত্যনিষ্ঠার মন্ত্রবলে যেন করতে পারি জয়–

জনমানসের মন্ত্র যেন বলতে পারি অভয়৷

নোতুন–নোতুন প্রেরণা দাও–দাও ঈশ্বর প্রেমে

এ জীবন ধন্য করো আলোক সংগ্রামে৷

একুশের আশ্বাস

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

একুশ ফেব্রুয়ারী---

তোমার ঊজ্জ্বল স্মৃতি বাঙালীর মর্মে গাঁথা

তুমি শোষিতের রুক্ষ অন্তরে ফল্গুর সরসতা৷

নিপীড়িত, বঞ্চিত বুকে জাগায়েছো আশা

তোমার পরশে মানুষ   পেয়েছে মুখের ভাষা৷৷

 

বাঙলার মাটি ভাষা-শহীদের রক্তে রাঙা

তারাই ভেঙেছে পরাধীনতার শিকল,

                শোষণ যন্ত্রণা৷

একুশের বলিদান গেয়েছে জীবনের জয়গান

পৃথিবীর কুর্ণিশে

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের’ সম্মান৷৷

 

মানব-ওষ্ঠে যতদিন রবে কথা,

ধমনীতে শোণিত

 একুশের আশ্বাস-বাণী সততঃ হবে উচ্চারিত৷

পতাকার রঙ

দেশ সেবক

বলত দেখি পতাকায় মোদের

কয়টি রঙ আছে?

শিক্ষক এসে শুধালেন হেসে

দ্বিতীয় শ্রেণীর কাছে৷

 

একসাথে মিলে সব ছেলে বলে

চিৎকার করে জোরে

তিনটি বর্ণ রয়েছে রাঙানো

জাতীয় পতাকা জুড়ে৷

শ্রেণীর পিছনে বেঞ্চের কোণে

শিশু ছিল এক বসে,

‘পতাকার মাঝে পাঁচ রঙ আছে’

বলল সে মৃদু ভাষে৷

কথা তার শুণে বাকি শিশুগণে

হেসে খায় লুটোপুটি

শিক্ষক রেগে  বলে হেঁকে

বোঝাও কি করে পাঁচটি ?

 

মাথা নিচু করে  ভয়ার্ত স্বরে

সরল শিশুটি বলে,

ওপরে গেরুয়া মাঝখানে সাদা

কাণ্ড

গোপনে কাউকে উপদেশ-নির্দেশ দেওয়াকেও ‘কাণ্ড’ লা হয়ে থাকে৷ সবাইকে সদুপদেশ সকলের সামনে দেওয়া যায় না৷ এই যে ব্যষ্টিগত ভাবে কাউকে উপদেশ দেওয়া, একেও বলা হয় ‘কাণ্ড’৷

গোপনে পরামর্শ দেওয়া লতে একটা ছোট্ট গপ্প মনে পড়ে গেল৷ তোমরা  পা ছড়িয়ে সে মুড়ি-আলুর চপ খেতে খেতে  গপ্পটা শোণো৷

এক ছিল বামুণ.........এক ছিল বামণী৷ বামণী ছিল ড় দজ্জাল৷ বামুণকে সব সময় জ্বালা দিত৷ বামুণ যখন যেটি লত তাতে তাকে খেঁকিয়ে তো উঠতই আর করত তার উল্টোটা৷ একবার  বামুণ বামণীকে বললে, ‘‘দেখ বামণী, এই আসছে হপ্তায় আমার পিতামাতাঠাকুরের বাৎসরিক শ্রাদ্ধ? শ্রাদ্ধটাতো করতে হর্ে৷  তাই স ব্যবস্থা-ট্যাবস্থা করে রাখ’’৷

রিয়াল কোচ জিদান সব ম্যাচকেই গুরুত্ব দিতে চান

লেগানেস ম্যাচের গুরুত্বটা যাই হোক না কেন মাঠে নামার আগে রিয়াল দলের ম্যানেজার  জিনেদিন জিদান দারুণ সিরিয়াস৷ আসলে নিজের খেলোয়াড় জীবনেও সব ম্যাচকেই এভাবে গুরুত্ব দিতেন৷ যদিও লা-লিগা জেতা এখন একপ্রকার অসম্ভব জিদানের কাছে৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সিলোনা ২৪ ম্যাচে ৬২ পয়েণ্ট পেয়ে লা-লিগা ঘরে তোলার অনেকটাই এগিয়ে গেছে৷ যেখানে রিয়াল ২৩ ম্যাচে ৪৫ পয়েণ্ট ঘরে তুলতে পেরেছে৷ তবে লেগানেস ম্যাচকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখারও একটা কারণ আছে৷ এই লেগানেসের কাছে হেরেই ‘কোপা-দেল-রে’ থেকে ছিটকে যায় রিয়াল মাদ্রিদ৷ তাই রিয়াল প্রতিশোধ নেওয়ার প্লাটফর্ম হিসেবেও এই ম্যাচকে বেছে নিয়ে মাঠে নামতে চায়৷

সমর্থকদের সঙ্গে ফুটবলারের হাতাহাতি তদন্ত করবে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন

এফ এ কাপের একটি ম্যাচে শেষ মুহূর্ত্তে গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় উইগান দলটি৷ গোল করেন তাদের স্ট্রাইকার উইল গ্রিগ৷ হার মানতে হয় এফ এ কাপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেষ্টার সিটি৷ দলটি বেশ ভাল খেলে চলেছে৷ পেপ গুয়ার্দিওয়ালার প্রশিক্ষণে ম্যান-সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও দারুন খেলছে৷ কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন৷ প্রায় অনামী দলের কাছে হার মানতে হলো৷ আর ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই৷ ম্যাচ শেষে তখন জয়ী দলের সমর্থকেরা উৎসবে মেতেছে---তারা মাঠে নেমে পড়েছে৷ সেই সময় খেলোয়াড়রাও মাঠে৷ একে অন্যের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন৷ এমন সময় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র অ্যাগুয়েরার সঙ্গে উইগান সমর্থকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়৷ তারপর হাতাহাতি৷ অ

রাজাবাজারের তিন কন্যা সমস্ত বাধা অতিক্রম করে ফুটবল খেলতে গেল মুম্বাই

তেহসিনা, আলফিসার ও সমা৷ এই তিন কন্যা সম্প্রতি বাঙলা থেকে মুম্বাই গেল ফুটবল খেলতে৷ তিনজনই দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার৷ দর্শক আজ তাদের ফুটবলার হিসেবে চিনবে কিন্তু কি পরিস্থিতিতে আর কতটা কণ্টকময় পথ অতিক্রম করে একজন মহিলা ফুটবলার হতে হয় তা জানতে মুম্বাইগামী ট্রেনে ওঠার সময় আলফিসারদের মুখোমুখি হতেই শোণা গেল তাদের অতীত দিনের কিছু কথা৷ বর্তমানে তেহসিনা তিন বছরের এক সন্তানের মা৷ তাঁর স্বামী কিছুতেই চাইতেন না স্ত্রী ফুটবল খেলুক৷ রাজাবাজারের মাঠে প্র্যাকটিস থাকতো সকাল ছ’টা থেকে৷ মাঠে যাবার জন্য যখন তেহসিনা তৈরী হতেন তখন তাঁর স্বামী তাঁদের সন্তানকে জাগিয়ে দিতেন৷ যাতে সন্তানকে ফেলে মা মাঠে যেতে না পারেন৷