May 2018

বকফুল, ডুমুর, ঘি–করলা

বকফুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ক্ষাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷

ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল?

বাঙলার একটি বৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছে (কিষাণগঞ্জ মহকুমায় এ ধরণের একটি স্থানের নামই হচ্ছে দীঘলবাঁক৷ নামেতেই স্থানটির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে৷ অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোককেও স্থানটির নাম উচ্চারণ করতে শুণেছি ‘ডিগাল ব্যাঙ্ক’) ও এরই ফলে বাঁকের কাছে জলের তলায় ঘুর্ণীর সৃষ্টি হয়েছে৷ এইসব জায়গা নৌকা বা জাহাজের পক্ষে বিপজ্জনক৷ যাইহোক, কৃষ্ণনগরের কাছে জলঙ্গী নদী যেখানে বাঁক (সংস্কৃত, বক্র>বংক>বাঁকা) নিয়েছে সেখানেও নদীতে এইরূপ একটি ঘুর্ণী ছিল৷ সেকালে কলকাতা থেকে জলঙ্গী নদীর পথে পদ্মায় পৌঁছে সেখান থেকে ঢাকা যাওয়া হ’ত জলপথে৷ ওই ঘু

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

হৃদরোগীদের জন্যে গাজর

প্রতিদিন গাজর খেলে হৃদরোগের ভয় কমে যায়৷ দীর্ঘ গবেষণার পর জানা গেছে যে গাজরের খাদ্য মূল্য অত্যন্ত অধিক৷ গাজরে আছে বিটা–ক্যারোটিন যা হৃদরোগের আক্রমণ থেকে অনেকাংশে বাঁচায়৷ একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যাঁরা নিয়মিত গাজর তরকারি করে খান তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ৬৮ শতাংশ কমে যায়৷ সুতরাং প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে হৃদরোগে ভয় অনেকটাই কমে যায়৷

মাতৃভাষা আমার ভালবাসা

শরৎসুনীল নন্দী

ও আমার বাংলা ভাষা

                তোমার কথা মনে এলে

বুকের কোণে সুখের আশা

                এ চিরদিন আপনি খেলে৷

তাই কবিতায় খেলছে কথা

                খেলছে গানে সুরের বাণী,

এ আয়োজন সুধা রসের

                সে কথাটা সবাই মানি৷

এ শুধু নয় মাতৃভাষা

                ছন্দে বাঁধা জন্মান্তরে

বোশেখ থেকে চৈতী রাতে

                জ্যোছ্না ছড়ায় বাড়ি–ঘরে

যতই ভালবাসি তোমায়

                জীবন জোড়া এ যে নেশা

হৃদয় ধরে টান মারে সে

                মাতৃভাষা আমার ভালোবাসা৷

মানুষ

কল্যাণী ঘোষ

ঈশ্বর পাঠালো মানুষ করে৷

মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব ধরণীর পরে৷৷

সম্পদ যাহা কিছু আমাদের তরে৷

ভালবেসে তা’ দিলেন উজাড় করে৷৷

একটি জীবন সে তো নয় চিরতরে৷

তার কাছে ঋণী মোরা ভুলি কী করে৷৷

তিনি সদা জাগ্রত হৃদয় জুড়ে৷

শুভবোধ নিয়ে চলি শুভপথ ধরে৷৷

তাঁহার আশিস নিয়ে সকলের তরে

জীবন সফল করি ভালো কাজ করে৷৷

শাক-সব্জির কাব্য

অরুণিমা

ঝিঙে বলে, আমায় খেলে

                বাড়বে তোমার বুদ্ধি,

পালং বলে, আমায় খেলে

                বাড়বে সবার শক্তি৷

নিম বলে, আমার পত্রে

                চর্ম রোগের মুক্তি,

কাঁকরোল বলে, আমায় খেলে

                বাড়বে স্মৃতিশক্তি৷

গাজর বলে, আমায় খেলে

                অনেক বড় হবে,

লাউ বলে, আমায় খেলে

                দৃষ্টিশক্তি বাড়বে৷

মুলো বলে, আমায় খেলে

                লিভার ভালো থাকবে,

উচ্ছে বলে, মুলোর আগে

                আমায় তবে রাখবে৷

আমরা সবাই তোমার সেবা

বেগুন পোড়া

কোন বস্তু অগ্ণির সংস্পর্শ এলে তাতে তিন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ তার দ্বারা বস্তুকে পোড়ানো যায়, জ্বালানো যায় ও ঝলসানো যায়৷ এ ছাড়া স্যাঁকাও যায়৷