May 2018

আম/আবঁ

ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে৷ কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল৷ কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না৷ অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট৷

জাম

ফলের মধ্যে জম্বুফল বা জাম সর্বগুণাধার৷ কিছুটা কষ থাকায় তা মধুমেহ রোগের প্রতিষেধক৷ মধুমেহের প্রতিষেধক রয়েছে জামের অস্থির (আঁটির) অন্তর্গত সারবত্তাতে (সার অংশে)৷ জামের (ফলের) ভিতরের অংশও ত্নব্ভপ্তহ্মগ্গ মধুমেহের ঔষধ৷ জামফলের বীজ ভেঙ্গে তার ভেতরের শাঁস এক আনা পরিমাণ (সিকি চামচ) মধু সহ লেহন করে খেলে মধুমেহ রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়৷

তাল

মোটামুটি বিচারে তাল একটি পুষ্টিকর খাদ্য৷ পাকা তালের রস ঙ্মআঁশযুক্ত আঁটি ঘসে ঘসে রস বের করে তা দিয়ে বড়া, ক্ষীর ইত্যাদি নানা ভোজ্য তৈরী করা হয়৷ খুবই পুষ্টিকর, কিন্তু উদরাময়ের পক্ষে খারাপ৷ কাঁচা অবস্থায় তালশাঁস স্নায়ুর পক্ষে ভাল হলেও আমাশয় রোগীর অভক্ষ্য৷ পাকা তালের আঁটির ভেতরকার শাঁস লঘুপাচ্য পুষ্টিকর জিনিস৷ আঁটির ভেতরের সংলগ্ণ কিছুটা কঠিন শাঁস ঙ্মস্নেহ পদার্থযুক্ত অর্থাৎ তার থেকে তেল তৈরী হতে পারে৷ ওই তেল রন্ধন কার্যে ও সাবান শিল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ দক্ষিণাপথের তাল রসে অল্প জ্বাল দিয়ে ‘নীরা’ নামে যে বস্তুটি তৈরী হয় তারও পুষ্টিগত মূল্য রয়েছে৷ তালরস (গাছ চেঁছে) থেকে যে গুড় তৈরী হয় তার গুণ

কলা

যদিও সাধারণ অর্থে ‘কদলী’ বলতে সব কলাকেই ক্ষোঝায়, তবু বিশেষ অর্থে ‘কদলী’ অর্থে কাঁচকলা আর ‘রম্ভা’ মানে পাকা কলা৷ এখানে কাঁচকলা বলতে আমরা সেই কলাকে ক্ষোঝাচ্ছি যা কাঁচা অবস্থায় তরকারী রেঁধে খাওয়া হয়, আর পাকা অবস্থায় সাধারণতঃ খাওয়া হয় না৷ কলা সমস্ত গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই জন্মায়৷ তবে কলার আদি নিবাস পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ–ড্র্ত্রব্দব্ধ ঢুস্তুন্ন্দ্বব্দ ট্টব্জন্তুড়ন্হ্মন্দ্বপ্) অর্থাৎ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশ৷ ভারতও অন্যতম কলা–উৎপাদনকারী দেশ৷ কেবল ভারতেই শতাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে৷ ভারত ও বহির্ভারত নিয়ে সমগ্র বিশ্বে কলার প্রজাতির সংখ্যা দেড় হাজারের মত৷ ভারতের কেরলেই সবচেয়ে বেশী প

রাঢ়ের সভ্যতা

মানুষের উদ্ভব পৃথিবীতে কয়েকটি বিশেষ বিশেষ বিন্দুতে হয়েছিল৷ কে আগে আর কে পরে–এই নিয়ে বিশদ আলোচনা না করেও বলতে পারি, রাঢ়ভূমিতে মানুষের উদ্ভব অতি প্রাচীন৷ এর চেয়ে প্রাচীনতর মনুষ্য–নিবাসের কোন সন্ধান পাওয়া যায় না৷ পৃথিবীতে যখন অরণ্য এল রাঢ়ের এই কঠিন শিলা, বিবর্তিত শিলা, আগ্ণেয় শিলা ও পাললিক শিলার ওপরে জন্ম নিল নিবিড় অরণ্য৷ সেই অরণ্যই একদিন মানুষ–জনপদ রাঢ়কে প্রাণ–সুধা জুগিয়েছিল, এই অরণ্যই রাঢ়ের নদীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করত৷ ওই অরণ্যই বরফ–ঢাকা পাহাড়গুলি ক্ষয়ে যাবার পরে আকাশের মেঘকে ডেকে আনত রাঢ়ভূমিতে৷ রাঢ়ভূমিতে পর্জন্যদেবের কৃপাবর্ষণ হ’ত অফুরন্ত, অঢেল৷ এই আমাদের রাঢ়ভূমি–অনেক সৃষ্টি–স্থিতি–লয়ের জীবন্ত

রবিকবির জীবন সাধনা

শ্রীপথিক

ওগো কবি –

‘কড়ি ও কোমল’ সুরে

                কার গান গাও?

‘সোণার তরী’টি বেয়ে

                কোথা তুমি যাও?

‘খেয়া’ঘাট পেরিয়ে

                মাঠ–বাট ছাড়িয়ে

চুপি চুপি কার তুমি ‘অভিসারে’ যাও?

কোন ‘মানসী’রে ‘গীতিমাল্য’ পরাও?

লইয়া ‘গীতাঞ্জলী’ ‘নৈবেদ্য’র থালি

‘বলাকা’র সাথে সাথে কোথা তুমি ধাও?

‘জীবন দেবতা’ তরে অর্ঘ্য সাজাও?

রবীন্দ্র প্রণাম

প্রভাত খাঁ

কোন পুণ্য ফলে এ ধরার ধূলিতে

তুমি এসেছিলে বঙ্গ জননীর ক্রোড়ে৷

তোমার সৃষ্টির মাঝে মানুষেরে–

দিয়েছো মর্যাদা, গাছপালা

ফলফুল জীবজন্তু সকলের

রয়েছে যে স্থান তোমার

জগতে৷ ব্রাত্য তুমি৷

হে মহান মূূ ম্লান মুখে

তুমি যোগায়েছ ভাষা৷

সাহিত্যের ফুলবনে ফোটায়েছ

ফুল ব্রাহ্মীচেতনার, তাই

তুমি কাব্যের জগতে

কবিগুরু হয়ে বিরাজিছো

এ মর্ত্যভূমিতে৷ যতদিন

চন্দ্র, সূর্য রবে ততদিন

তোমার কিরণ ছটা

রবে উজ্জ্বল৷

পরাধীনতার গ্লানি

বুকে বেজেছিলো

তাই বাজাইয়া রুদ্রের বিষাণ

ইচ্ছে

অনির্বান

মনের গভীর থেকে উঠে আসা এক রাশ ইচ্ছে---

মিশিয়ে তাঁর সংকল্পে৷

ফুলে ফুলে ঢাকা সেই ইচ্ছেকে বয়ে নিয়ে যাও৷

পথের দু’ধারে একটা একটা করে

ফুলের কুড়ির সৌরভ---এখন সারা বিশ্বে৷

পশুর দল ছুটে পালাচ্ছে, পাশবিকতা মুখ থুবড়ে

শোষণের পতাকা শতছিন্ন৷

স্বর্ণালি সূর্যের সোনালী আলোয় স্নানযাত্রা৷

মুগ্দ সবাই, নোতুন আলোয় ধোয়া চোখে৷

তাঁর বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়েছে প্রাণ ভরে৷

দৃষ্টি ধুয়েছে তাঁর আলোয় নোতুন করে৷

খুশির জোয়ারে ভরে গেছে মন-প্রাণ৷

গভীর থেকে উঠে আসা একরাশ ইচ্ছে

নিঃশ্বাস নিল নোতুন বাতাসে৷

২১টি তাজা প্রাণ বলি  - গণতন্ত্রের বেনামীতে গণমেধ যজ্ঞ

গণতন্ত্রের নামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  যা চলছে --- তাকে আর যাই হোক গণতন্ত্র বলা  চলে না৷