July 2018

ভয়াবহ জল সংকট আসছে

ভারতের ‘কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগ’ কমিটি থেকে দেশের ভয়াবহ জলসংকটের ওপর একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বর্তমানে দেশের ৬০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছে না৷ পরিশ্রুত জল না পেয়ে প্রতি বছর ২ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে৷ আর ২০৩০ সালে দেশের এই জলসংকট ভয়াবহ রূপ নেবে৷

এই রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে, দেশের ২১টি বড় শহরে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর খুব কমে আসছে৷ ২০৩০ সালে তা মারাত্মক পর্যায়ে এসে পৌঁছবে৷

যেভাবে গভীর নলকূপ খনন করে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হচ্ছে, চাষের জন্যেও যেভাবে ব্যাপকভাবে মাটির নীচের জল তুলে নেওয়া হচ্ছে, তাতে জলাভাবে মানুষ, গাছপালা সবকিছুই ধবংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷

নারী নির্যাতনে ভারত শীর্ষে

বিশ্বের বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা রয়টারের সেবামূলক এক সংঘটন---‘দ্য টমসন রয়টার্স ফাউণ্ডেশন’ -এর এক বিশ্ব সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতবর্ষ বর্তমানে নারীদের পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র৷ এখানে নারীর স্বাধিকার সবচেয়ে বেশী অস্বীকৃত৷ নারী নির্যাতন, সামাজিক কুপ্রথা, নারী পাচার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্ত্রী-পুরুষের বৈষম্য, নারী স্বাস্থ্য, যৌন নিগ্রহ প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে সমগ্র বিশ্বের ৫৪৮ জন তথ্য বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট পেশ করেছে রয়টার্সের এই শাখা সংঘটনটি৷ তাদের সমীক্ষায় প্রকাশ, সাত বছর আগে যখন এই সমীক্ষা করা হয়েছিল তখন ভারতের স্থান ছিল চার নম্বরে৷ এক নম্বরে ছিল আফগানিস্তান৷ বর্তম

শিলিগুড়ি ও পুরুলিয়ায় আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ২২, ২৩ ও ২৪ জুন ঃ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে ও দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া শহরে নডিহাতে আনন্দমার্গের প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় দু’টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হ’ল৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত আনন্দমার্গ দর্শনের ‘ব্রহ্ম সদ্ভাব’ ও ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক দর্শন---‘প্রাউট’-এর সুসংবদ্ধ কৃষি ও সামাজিক সুবিচার প্রভৃতি বিষয় ছিল---এই সেমিনারের আলোচ্য বিষয়৷

শিলিগুড়িতে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতনগর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে প্রায় ২৫০ জন আনন্দমার্গী ভাই-বেনেরা এই সেমিনারে যোগদান করেন৷

ডি.এ নিয়ে হইচই! সাধারণ মানুষের কথা ভাববে কে?

প্রভাত খাঁ

আর্থিক উন্নয়ন, বেকার সমস্যা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ---এসব ঠান্ডা ঘরে পড়ে৷ ডি.এ নিয়ে হইচই হচ্ছে সরকারী কর্মচারীদের জন্য৷ আলোচনা করা যাক ব্যাপারটা কতদূর গড়াচ্ছে৷ প্রায় তিন বছর হলো গত ২৭.১১.২০১৫ সালে রাজ্য বেতন কমিশন বসান রাজ্য সরকার৷ কমিশন কোন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন নি৷ কমিশনের আগামী ২৬/১১/২০১৮তে রায় দেওয়ার কথা কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সরকার ১৮ শতাংশ ডি.এ ঘোষণা করলেন ১৯শে জুন ২০১৮তে ৷ আর এটা নাকি দেওয়া হবে রাজ্য সরকারী ও আধা সরকারী কর্মীদের আগামী ২০১৯ সালের ১লা জানুযায়ী থেকে৷ জানুয়ারী মাস আসতে তো বেশ কিছুমাস বাকি?

সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণ

পূর্ব প্রকাশিতের পর

গণতন্ত্রের আওতায় এই ধরণের আদর্শের প্রতিষ্ঠা মোটেই সম্ভব নয়, কেন না সেখানে বোটপাবার জন্যে চোর, ডাকাত তথা নানান ধরণের সমাজ-বিরোধী মানুষের দ্বারস্থ হতে হয়৷ জাতিভেদ, প্রাদেশিকতা, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদির ধুয়া তুলে সমর্থ ও যোগ্য প্রার্থীদের পরাজিত করা হয় আর যারা রাজনীতি, শাসন পরিচালনা, শিক্ষা, দ্ধিমত্তা, নীতি ইত্যাদি বিষয়ে একেবারে অনভিজ্ঞ, তারাই প্রতিনিধিদের ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব পেয়ে থাকে৷

আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস

অাচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

গত ২৬শে জুন আন্তর্জাতিক মাদক  বিরোধী দিবস পালিত হ’ল৷ মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা আনার লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালের  ৭ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে  এই আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস ঘোষণা  করা হয়৷

প্রকৃতপক্ষে মদ,গাঁজা, হেরোইন, তামাকজাতীয় দ্রব্য প্রভৃতি  নানান্  নেশার  দ্রব্য সমাজের চরম ক্ষতি সাধন  করছে৷ সমাজে  খুন খারাবি, নারী নির্যাতন, বলাৎকার  প্রভৃতি  প্রায় সমস্ত অপরাধ মূলক কার্যের সঙ্গে  নেশা-জাতীয় দ্রব্যের যোগাযোগ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ৷ আমরা শহরে-বাজারে  গা-গঞ্জে প্রায়ই দেখে  থাকি  মদ খেয়ে নেশায়  চুর হয়ে মানুষ  এই সমস্ত  অপরাধ  করে৷

নেশা ছাড়ুন, নেশা ছাড়ান, নেশামুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

আজকের আধুনিক সভ্য সমাজে সবচেয়ে বড় অভিশাপ হ’ল মাদকের নেশা৷ মাদক বলতে শুধু মদই নয় মদ, গাঁজা, আফিম, সিদ্ধি, ভাঙ্, ড্রাগ, হেরোইন, তামাক, গুটকা ইত্যাদি সব ধরণের উগ্র নেশাদ্রব্যকেই এককথায় মাদক বলা হয়৷ এ কথা হয়তো অনেকেই জানে না যে, যে কোন মাদকের নেশাই শরীর ও মনের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর–

          ১৷     মাদকের নেশায় শরীর–স্বাস্থ্য নষ্ট হয়

          ১৷     লিভার, কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়

          ২৷     ক্যানসারের মত প্রাণঘাতী রোগের আক্রমণ ঘটে

          ৩৷     মস্তিষ্ক্ ও স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়

          ৪৷     বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়, স্মৃতিশক্তি লোপ পায়

অবহেলিত  বীরভূম সম্বন্ধে   দু’চারকথা

প্রভাত খাঁ

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার  তাঁর ‘বাংলা  ও বাঙালী’ গ্রন্থের  প্রথম  খন্ডে  ‘সভ্যতার  আদিবিন্দু রাঢে’  বীরভূম সম্বন্ধে  বলেছেন---‘‘অষ্ট্রিক ভাষায় ‘বীর’ মানে অরণ্য৷ সাঁওতাল  পরগণা জেলার  রাজমহল ও পাকুড় মহকুমা, বর্তমান বীরভূম  জেলার  রামপুরহাট  মহকুমা, মুর্শিদাবাদ জেলার  কান্দি মহকুমা ও রাঢ় অংশে (ভাগীরথীর পশ্চিম তীরবর্ত্তী অঞ্চলে)  বীরভূমের সিংহ  পদবীধারী কায়স্থ  রাজারা রাজত্ব করতেন৷ এঁরা বহুকাল  বৌদ্ধধর্মকে  ঠেকিয়ে  রেখেছিলেন৷’’

‘সামাজিক বোঝা’

জিজ্ঞাসু

মানুষের দেহ পেলেই তাকে মানুষ বলা যাচ্ছে না৷ যুক্তি বুদ্ধির মুক্তি যেখানে নেই, নিজের সামর্থ্যকে চেতনায় বিস্তারিত করার এষণা যার নেই, বিশালকে দেখে বা অতি ক্ষুদ্র জিনিসে লুকোনো সুন্দরকে দেখে যদি সে বিস্মিত হতে না জানে, দুর্গম অজানাকে জানার অনন্ত জিজ্ঞাসা যার নেই, পরিশ্রম নেই তেমন স্বার্থপর মানুষ হ’ল অসহায় পোকার মত৷ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এদেরকেই বলেছেন ‘লোক না পোক’৷ এরা থাকা না থাকা সমান৷ মানুষ হিসেবে এরা ‘সামাজিক বোঝা’৷ এদের মধ্যে অনেকের তথাকথিত ডিগ্রি আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের, চাকরী বা ব্যবসা আছে, ভালো পোষাক আছে গায়ে, দুনিয়ার খোঁজ-খবরও রাখে আর তাই নিয়ে তর্ক করে৷ জীবনে কোনদিন ফুটবলে পা লাগায়নি এমন মান