February 2019

সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-মন্দ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এর আগে এই শিরোণামায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিলুম৷ কিন্তু সেটা ছিল আংশিক৷ তার পর পুরোটা লেখা হয়ে ওঠেনি৷ তাই এবার পরিবর্তিত আকারে এই বিষয়ের ওপর আবার লিখছি৷ আগে লিখেছিলুম--- প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ এক বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক , হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ৷

মোদিজীর অরুণাচল সফরে চীনের আপত্তি

গত ৯ই ফেব্রুয়ারী নরেন্দ্র মোদি  আসন্ন লোকসভায় প্রচারাভিযানে অরুণাচলে  এক জনসভায়  বত্তৃণতা দেন৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদির এই অরুণাচল সফর নিয়ে আপত্তি  জানাল চীন৷ চীনের বক্তব্য  ওই এলাকা  চীনের  অন্তর্গত৷

এর উত্তরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক  স্পষ্ট জানিয়ে  দিয়েছে, অরুণাচল  ভারতের  অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ ভারতের নেতারা এখানে যাবে কি না--- এটা  ভারতের ব্যাপার৷ চীনের মাথা  ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই৷

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকেই অরুণাচলের একটা বড় অংশকে চীনের ভূখণ্ড বলে চীন দাবী করে৷ এ নিয়ে কয়েকবার যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷

নিম

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে নিমের অনেক প্রজাতি আছে – কেউ খুব তেঁতো, কেউ কম তেঁতো, বা কেউ একেবারেই তেতো নয়–যেমন মিঠা নিম বা কারি লিফ্৷ ভারতের যে সকল স্থানে তেজপাতা জন্মায় না সেখানকার মানুষ তেজপাতার বদলে এই মিঠা নিম বা কারি লিফ্ ব্যবহার করে থাকেন৷

পৃথিবীর চারটি মৌলিক জনগোষ্ঠী

পৃথিবীতে মৌলিক জনগোষ্ঠী আছে চারটি–ককেশীয়, মঙ্গোলীয়, অষ্ট্রিক ও নিগ্রো৷ অনেকে অবশ্য সেমিটিক জনগোষ্ঠীকে এর মধ্যে ফেলতে চান না৷ তাদের মতে সেমেটিকরা আলাদা জনগোষ্টী, এরা মধ্যপ্রাচ্যের লোক৷ আবার কারো কারো মতে এরা ককেশীয় ও নিগ্রোদের বিমিশ্রণ৷ ককেশীয়দের তিনটি শাখা রয়েছে–(১) নর্ডিক •Nordic— (২) এ্যালপাইন (alpine), (৩) ভূমধ্যসাগরীয়৷ ‘নর্ডিক’ কথাটার অর্থ হচ্ছে ‘উত্তুরে’৷ লাতিন ‘নর্ড’ (Nord) কথাটা থেকে ‘নর্ডিক’ শব্দটি এসেছে৷ এ্যালপাইনরা বেশী উত্তরেও নয়, আবার বেশী দক্ষিণেও নয় অর্থাৎ এরা মধ্যদেশীয়, আল্প্স্ পর্বতের সানুদেশের বাসিন্দা৷ নর্ডিকদের নাক উঁচু, চুল সোণালী, রঙ লাল ও আকারে দীর্ঘ৷ এ্যালপাইনরা অপেক্

প্রার্থনা

মনোজ পাতর

অন্ধকারের ভাবজড়তা ছিন্ন করে–

আলোর দিশা দাও হে প্রভু মুক্ত দ্বারে৷

চিত্ত করো ভয় শূন্য মুক্ত করো প্রাণ,

জ্ঞানের শিখা জ্বালিয়ে দিও ভালবাসার গান৷

মানব সেবার ব্রত দিও ধন্য করো জীবন,

সৃজনশীল ক্ষমতা দিও – বিশ্বপ্রেমের বন্ধন৷

সত্যনিষ্ঠার মন্ত্রবলে যেন করতে পারি জয়–

জনমানসের মন্ত্র যেন বলতে পারি অভয়৷

নোতুন–নোতুন প্রেরণা দাও–দাও ঈশ্বর প্রেমে

একুশে ফেব্রুয়ারী

আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত

এই সেই দিন এই সেই দিন

একুশে ফেব্রুয়ারী এই সেই দিন,

ভাষা-শহীদের রক্তে রঙীন

আতাউর, সফিউর, রফিক, সালাম

বরকত, জববর, সালাউদ্দিন---

ভাষা-শহীদের রক্তে রঙীন৷৷

বাঙলা ও বাঙালীর প্রাণের আশা

আমার মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা৷

সইব না সইব না এ অপমান---

প্রতিবাদে কত ভাই দিল তাজা প্রাণ৷৷

রাঢ়ের চাণ্ডিলের মাটির ’পরে

লক্ষ্মণ মাহাতোর রক্ত ঝরে৷

করিমগঞ্জ আর দূর শিলচর

ভাষা-শহীদের কথা স্মরণ করে৷৷

ভুলিনি, ভুলবো না তোমাদের দান

এ পারের ও পারের ভাই-ভাইজান৷

আজও ধমনীতে বাজে তোমাদের বীন

‘‘ওদের পৃথিবী’’

শিবাশীষ সেনগুপ্ত

আমার কবিতা ছাপলে কি ভাবো

সূর্যে তেজ কমে যাবে?

আমার কবিতা ছাপলে কি ভাবো

সমাজের রং বদলে যাবে?

আমার কবিতা ছাপলে কি ভাবো

মৃত মানুষেরা  প্রাণ ফিরে পাবে

মানবতাহীন স্বার্থদ্বন্দ্ব দেখে

এত ভয় তুমি পাবে তুমি না কখনো

লাশকাটা ঘরে শুয়ে থেকে

ওদের কীর্তি না লেখাই ভালো

নিলর্জ্জের  হবে পরিপাটি---

ওরা যেন ভাবে ওদের মুঠোয়

এই পৃথিবীর চাবিকাটি

স্বার্থলুব্ধ বৈশ্য আদর্শ মাতো

নিক্তিতে ন বিশ্বকে ---

শুষে নিতে চায় এক গণ্ডুষে

অগণ্য আর্ত ও নিঃস্বকে

আমার কবিতা ছাপলেও ওরা

খ্যাটনভোঁদড় ভট্টাচার্য

‘খেট্’ একটি প্রাচীন ধাতু৷ ধাতুটি পরস্মৈপদী’৷ এর ক্রিয়ারূপ দু’ধরণের৷ ‘লট্তি’–তে যদি বলি ‘খেটতি’ তার মানে হবে খঁুড়িয়ে খঁুড়িয়ে চলা বা পা’ টেনে টেনে চলা৷ যদি ক্রিয়ারূপে বলি ‘খোটয়তি’ তাহলে তার একটি মানে হবে ঔদরিকের মত অতিভোজন করা৷

ঔদরিক পটোল ঘোষ

আমার গ্রামে পটোল ঘোষ নামে একজন ঔদরিক ছিলেন৷ নেমন্তন্ন বাড়িতে তাঁর নুচি (নুচি/লুচি দুই–ই শুদ্ধ) খাওয়ার সর্বনিম্ন মান ছিল ১০১৷

পঞ্চাশোর্দ্ধে তিনি দারুণ অম্ল রোগে ভুগতে লাগলেন৷ সঙ্গে সব সময় থাকত সোডি–বাইকার্বের টিন৷ কিন্তু তাঁর অর্জিত চ্যাম্পিয়ানশিপ বজায় রাখার জন্যে নেমন্তন্ন বাড়িতে ১০১–এর একটিও কম নুচি খেতেন না৷ বলতুম ১০১ আবার কেন, ১০০–তেই তো সোজা হিসেব থাকবে৷ উনি বলতেন–১০০টা খেলুম, আর একটি ভবিষ্যতের নিশ্চিততার জন্যে (নিশ্চয়তা’ ভুল) অর্থাৎ ওই একটির মাধ্যমে জানিয়ে দিলুম যে ভবিষ্যতে আরও এক হাজার খেতে পারি৷ এই ভবিষ্যতের জন্যে জানানোকে ‘জানান দেওয়া’ বলে৷

আমেরিকায়  বাস্কেটবলে সফল  দুই  ভারতীয়

কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়েই গত রবিবার  ছিল অভিনব প্রতিযোগিতা ‘বাস্কেটবল উইদাউট বর্র্ডর’ বা বিডব্লিউবি৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিশ্রুতিমান খোলোয়াড়দের নিয়ে প্রতিযোগিতা৷ এ বছর ভারতের প্রতিনিধি দু’জন৷ গার্লিয়রের হর্ষবর্ধন তোমার ও বেঙ্গালুরুর গ্রিশমা নিরঞ্জন৷  হর্ষবর্ধনের মা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন৷ তাঁর উৎসাহেই ক্রিকেট ছেড়ে  বাস্কেটবল বেছে  নেন বছর আঠারোর হর্ষবর্ধন৷ ট্রায়াল দিয়ে সুযোগ পান নয়ডায় এনবিএ অ্যাকাডেমিতে৷ তবে চোটের কারণে ক্লাস ইলেভেনের হর্ষবর্ধন এখন খেলতে পারছেন না৷  হতাশ ভারতের প্রতিশ্রুতিমান বাস্কেটবলার বললেন, ‘‘কয়েক দিন আগে চোট পেলাম৷ তাই আর ঝঁুকি নিইনি৷ মার্কিন মুলুকে এই কয়েকদি